অশোকনগর , 31 অক্টোবর : শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় ব্যক্তিকে মারধর মদ্যপ যুবকদের ৷ পরে আক্রান্তকে বাঁচাতে এলে তাঁর দাদাকেই ছুরি মারে মদ্যপরা । ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার অশোকনগরের । আক্রান্ত ব্যক্তির নাম সুশান্ত দাস (45) ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অশোকনগর 13 নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় কালীপুজোর রাতে একদল যুবক মদ্যপ অবস্থায় শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল । তখনই সুমিত্রা রায় নামে এক মহিলার বাড়ির ভিতরে বাজির ফুলকি ঢুকে যায় । তাতে তাঁর ঘরের ভিতরে আগুন লেগে যায় । প্রতিবেশী সুজয় দাস তখন শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করেন । অভিযোগ , তখনই মদ্যপ যুবকরা সুজয়বাবুর উপরে চড়াও হয় । তাঁকে মার খেতে দেখে দাদা সুশান্ত তাঁকে বাঁচাতে যান । মদ্যপ যুবকরা সুশান্তর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় । রক্তাক্ত অবস্থায় সুশান্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়েন । ঘটনাস্থানে যান স্থানীয় বাসিন্দারা । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মদ্যপ যুবকরা পালিয়ে যায় ।
সুশান্তবাবুকে প্রথমে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । আক্রান্তের পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে অশোকনগর থানায় তিন জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সঞ্জীব দাস নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে । তার কাছ থেকে পুলিশ একটি ছুরিও উদ্ধার করেছে । বাকিদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে ।
অশোকনগর থানার OC অয়ন চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, পূর্ববর্তী একটা গোলমাল ছিলই । কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটানো নিয়ে নতুন করে গোলমাল হয় । সুশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তির পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় । মঙ্গলবার রাতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আদালত তাকে 14 দিন জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে । অন্য দুই অভিযুক্ত পলাতক । তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।