কামারহাটি, 19 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজভবনে 'শান্তি কক্ষ' খুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই নিয়ে রাজ্যপালকে চরম আক্রমণ শানালেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। রাজ্যপালের 'শান্তি কক্ষ' নাকি অপরাধীদের 'সেফ হাউস' বললেন কামারহাটির বিধায়ক। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, রাজভবনকে বিজেপির জন্য অস্ত্র ভাণ্ডার তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। মদন মিত্রের আরও অভিযোগ, রাজভবনে থাকলে এই দুষ্কৃতীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না।
সোমবার এই সেফ হাউসে নিজের জন্য আশ্রয় চেয়েছেন মদন মিত্র। আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সংশয় রয়েছে জানিয়েছেন শাসকদলের 'কালারফুল' বিধায়ক। একইসঙ্গে তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে শওকত মোল্লার সবচেয়ে বেশি জীবন সংশয় রয়েছে। আপনি যে সেফ হাউস করেছেন তাঁকে সেখানে আশ্রয় দেবেন! জীবন সংশয় রয়েছে উদয়ন গুহ, আরাবুল ইসলামেরও ৷ আপনি কি তাদের সেফ হাউজে নেবেন?" এদিন কিছুটা হুমকির সুরও শোনা গিয়েছে মদন মিত্রের গলায়।
তিনি বলেন, "রাজ্যপাল মশাই আপনি জানেন রাজভবনের ক'টা গেট? আমার কলকাতায় দেড়শো বছরের বাড়ি। আমিও গেটগুলোকে চিনি। রাজ্যপালের গেটের উপর আমাদেরও লোক পাহারায় থাকবে। আমাদেরও সার্ভিলেন্স থাকবে। আমরা ডিম্যান্ড করছি, রাজ্যপালের বাড়ির চারদিকে সিসিটিভি লাগানো হোক, কারা এই সেফ হাউজের আড়ালে রাজভবনকে অস্ত্র ভাণ্ডারে পরিণত করতে চাইছে সেটা প্রকাশ্যে আনা হোক বলে দাবি তুলেছেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন: দেড় ঘণ্টা ধরে 30 জন বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ শুনলেন রাজ্যপাল
এদিন মদন মিত্র আরও বলেন, "এই রাজ্যপালের চরিত্র নষ্ট করে দিয়ে গিয়েছেন ধনকড়। ক'দিন জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা হাতি মাথা নাড়ে করে দু-চার খানা টুইট করে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমান রাজ্যপালও ভাবছেন আমি তাঁকেও সুইপ করে যাব। ইনিও সেটাই চাইছেন, অ-এ অজগর, খ-এ খুন, র-এ রক্ত বলছেন। আসলে রাজ্যপালের হাতেখড়ি, রাজ্যের গলায় দড়ি।" মদন মিত্র দাবি করেছেন, এসবের মাধ্যমে আসলে কেন্দ্রের থেকে বড় পদ চাইছেন রাজ্যপাল।