ETV Bharat / state

"স্বামী-ছেলের কাছে ফিরতে চাই", দুবাইয়ে প্রতারিত বারাসতের যুবতি - Woman trapped in Dubai

কথা ছিল দুবাইয়ে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ৷ কিন্তু তার বদলে মিলেছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ৷ ফেসবুক লাইভে দুবাই থেকে এই অভিযোগ করছেন বারাসতের তানিয়া চক্রবর্তী ৷

Fake Job consultancy
তানিয়া চক্রবর্তী
author img

By

Published : Feb 4, 2020, 4:38 AM IST

Updated : Feb 4, 2020, 9:17 AM IST

বারাসত, 4 ফেব্রুয়ারি : স্বামী শেয়ার বাজারের কাজের সঙ্গে জড়িত ৷ কিন্তু কয়েকমাস মন্দা চলছিল সেই কাজ ৷ সেই ভাবে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছিল না ৷ তাই স্বামীকে সাহায্য করতে নিজেও কিছু কাজ করবেন বলে ঠিক করেছিলেন বারাসতের তানিয়া চক্রবর্তী ৷ কাজের খোঁজখবর শুরু করেন ৷ সেই সূত্রেই প্রায় আট মাস আগে কাকদ্বীপের মিঠুন বাগের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় চক্রবর্তী দম্পতির ৷ মিঠুন নিজেকে কনসালট্যান্সি এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয় ৷ জানায়, তানিয়াকে সে দুবাইয়ে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেবে ৷ বিশ্বাসও করেন তানিয়া ৷ আর সেই বিশ্বাসই কাল হল ৷ প্রতিশ্রুতি মতো তানিয়াকে দুবাই পাঠিয়েছে মিঠুন ৷ কিন্তু, নার্সের কাজের ব্য়বস্থা করে দেয়নি ৷ সেখানে পরিচারিকার কাজ করছেন তানিয়া ৷ ফেসবুক লাইভে দুবাই থেকে এই অভিযোগ করেছেন তানিয়া ৷ স্ত্রী'কে দেশে ফেরত আনতে চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তানিয়াদেবীর স্বামী সায়ক চক্রবর্তী ৷

আরও পড়ুন : রেলে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, ধৃত 6

ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিয়োতে তানিয়া জানান, দেশ ছাড়ার পরেই তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৷ দুবাইয়ে চাকরি দেওয়ার কথা হলেও তাঁকে পাঠানো হয় ওমানের কাতারে ৷ অভিযোগ, সেখানে প্রায় 6 মাস কাজ করলেও তাঁকে ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয়নি ৷ এরপর, আচমকাই একদিন তাঁকে বেশি মাইনের চাকরির দেওয়ার নামে দুবাইয়ে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু সেখানেও প্রতারণার শিকার হন ৷ নার্সের চাকরির বদলে তাঁকে পরিচারিকার কাজে ঢোকানো হয় ৷ সেই কাজ করতে না চাওয়ায় তাঁর পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র ও যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি কেড়ে নেওয়া হয় ৷ তানিয়া ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, "আমি আর পারছি না ৷ আমাকে আমার ছেলে-স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার ব্য়বস্থা করে দিন ৷ এখানে আমাকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না ৷ আরও অনেক মহিলা ভারত থেকে এখানে এসে আছে ৷ তারাও কষ্ট সহ্য় করে আছে ৷"

স্বামী-ছেলের কাছে ফিরতে চান দুবাইয়ে প্রতারিত যুবতি

আরও পড়ুন : চাকরির নামে প্রতারণা চক্র, গ্রেপ্তার আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট

তানিয়ার স্বামী সায়ক চক্রবর্তী স্ত্রী'কে দেশে ফেরানোর উদ্য়োগ নিয়েছেন ৷ তিনি ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগণার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে ৷ চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ও বিদেশ মন্ত্রকেও ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি ৷ ফলে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে তানিয়ার পরিবার ।

বারাসত, 4 ফেব্রুয়ারি : স্বামী শেয়ার বাজারের কাজের সঙ্গে জড়িত ৷ কিন্তু কয়েকমাস মন্দা চলছিল সেই কাজ ৷ সেই ভাবে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছিল না ৷ তাই স্বামীকে সাহায্য করতে নিজেও কিছু কাজ করবেন বলে ঠিক করেছিলেন বারাসতের তানিয়া চক্রবর্তী ৷ কাজের খোঁজখবর শুরু করেন ৷ সেই সূত্রেই প্রায় আট মাস আগে কাকদ্বীপের মিঠুন বাগের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় চক্রবর্তী দম্পতির ৷ মিঠুন নিজেকে কনসালট্যান্সি এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয় ৷ জানায়, তানিয়াকে সে দুবাইয়ে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেবে ৷ বিশ্বাসও করেন তানিয়া ৷ আর সেই বিশ্বাসই কাল হল ৷ প্রতিশ্রুতি মতো তানিয়াকে দুবাই পাঠিয়েছে মিঠুন ৷ কিন্তু, নার্সের কাজের ব্য়বস্থা করে দেয়নি ৷ সেখানে পরিচারিকার কাজ করছেন তানিয়া ৷ ফেসবুক লাইভে দুবাই থেকে এই অভিযোগ করেছেন তানিয়া ৷ স্ত্রী'কে দেশে ফেরত আনতে চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তানিয়াদেবীর স্বামী সায়ক চক্রবর্তী ৷

আরও পড়ুন : রেলে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, ধৃত 6

ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিয়োতে তানিয়া জানান, দেশ ছাড়ার পরেই তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৷ দুবাইয়ে চাকরি দেওয়ার কথা হলেও তাঁকে পাঠানো হয় ওমানের কাতারে ৷ অভিযোগ, সেখানে প্রায় 6 মাস কাজ করলেও তাঁকে ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয়নি ৷ এরপর, আচমকাই একদিন তাঁকে বেশি মাইনের চাকরির দেওয়ার নামে দুবাইয়ে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু সেখানেও প্রতারণার শিকার হন ৷ নার্সের চাকরির বদলে তাঁকে পরিচারিকার কাজে ঢোকানো হয় ৷ সেই কাজ করতে না চাওয়ায় তাঁর পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র ও যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি কেড়ে নেওয়া হয় ৷ তানিয়া ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, "আমি আর পারছি না ৷ আমাকে আমার ছেলে-স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার ব্য়বস্থা করে দিন ৷ এখানে আমাকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না ৷ আরও অনেক মহিলা ভারত থেকে এখানে এসে আছে ৷ তারাও কষ্ট সহ্য় করে আছে ৷"

স্বামী-ছেলের কাছে ফিরতে চান দুবাইয়ে প্রতারিত যুবতি

আরও পড়ুন : চাকরির নামে প্রতারণা চক্র, গ্রেপ্তার আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট

তানিয়ার স্বামী সায়ক চক্রবর্তী স্ত্রী'কে দেশে ফেরানোর উদ্য়োগ নিয়েছেন ৷ তিনি ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগণার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে ৷ চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ও বিদেশ মন্ত্রকেও ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি ৷ ফলে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে তানিয়ার পরিবার ।

Intro:চাকরির টোপ দিয়ে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে বারাসতের এক মহিলাকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল।শুধু তাই নয়,তার পাসপোর্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র,এমনকি যাবতীয় নথিও কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।সেখানে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ।তারফলে এখন অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তানিয়া চক্রবর্তী নামে ওই মহিলার।সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে তার করুন পরিনতির কথা তুলে ধরেছেন ওই মহিলা।সেখানে তাকে উদ্ধারের জন্য কাতর আরজি-ও জানিয়েছেন।তুলে ধরেছেন তার সঙ্গে হওয়া জালিয়াতি ও নিযাতনের ঘটনাও। Body:বারাসতঃচাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে বারাসতের এক মহিলাকে দুবাইতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল।শুধু তাই নয়,তার পাসপোর্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র,এমনকি যাবতীয় নথিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।সেখানে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ।ফলে,অসহায় অবস্থায় এখন দিন কাটছে তানিয়া চক্রবর্তী নামে ওই মহিলার।সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করে সে দুবাই থেকে তাকে উদ্ধারের কাতর আর্জি জানিয়েছেন।তুলে ধরেছেন তার সঙ্গে হওয়া জালিয়াতি ও নির্যাতনের ঘটনাও।তানিয়ার স্বামী সায়কও স্ত্রীকে দেশে ফেরাতে ইতিমধ্যে বিদেশ মন্ত্রক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।কিন্তু,কোথাও থেকে এখনও অবধি কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ।ফলে,চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তানিয়ার পরিবারও।

জানা গেছে,বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের একটি আবাসনে স্ত্রী,১৩ বছরের ছেলে,বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকেন সায়ক।তিনি শেয়ার বাজারের কাজের সঙ্গে জড়িত।কিন্তু,ইদানিং সেই কাজে মন্দা যাওয়ায় তানিয়াও চাকরির চেষ্টা করছিলেন।প্রায় ৮ মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিঠুন বাগ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।মিঠুনের বাড়ি কাকদ্বীপে।সে নিজেকে একটি কনসালটেন্সির এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয়।এরপর,আলাপের মাধ্যমেই একদিন দুবাইয়ে নাসিংয়ে-র কাজ পাইয়ে দেওয়ায় প্রলোভন দেয় মিঠুন।তাতে রাজি হন চক্রবর্তী দম্পতি।কাজের জন্য তাদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।মাস ছয়েক আগে দুবাইয়ে পাড়ি দেন তানিয়া।অভিযোগ,তাকে দুবাইয়ের পরিবর্তে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ওমানের কাতারে।সেখানে প্রায় ৬ মাস কাজ করলেও তাকে ঠিকমতো মাইনে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।এরপর,আচমকাই একদিন তাকে বেশি মাইনের চাকরির দেওয়ার নামে দুবাইতে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু,সেই চাকরির বদলে ওই মহিলাকে জোর করে পরিচারিকার কাজে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়।তাতে সে রাজি না হওয়ায় তার পাসপোর্ট,গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র ও যাবতীয় নথি কেড়ে নেয় সেখানকার অফিসের কর্মীরা।এমনকি,তার ওপর অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ।সম্প্রতি,দুবাই থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের করুন পরিনতির কথা তুলে ধরেছেন তানিয়া।সেখানে তিনি বলেন,"মিঠুন বাগ আমাকে দুবাইয়ে নার্সের চাকরির প্রলোভন দেখায়।কিন্তু এখানে আসার বুঝতে পারি সমস্তটায় জালিয়াতি।আমাকে আপনারা উদ্ধার করুন।আমি আমার ছেলে ও স্বামীর কাছে ফিরতে চায়।আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।এখানে আমার মতো অনেক অসহায় মহিলারাও রয়েছে।যাদের কাকদ্বীপের মিঠুন বাগের মতো লোকেরা নিয়ে এসে আটকে রেখেছে।আমি খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছি"।বারাসত থানার সামনে দাঁড়িয়ে তানিয়ার স্বামী সায়ক চক্রবর্তী বলেন," মিঠুন বাগের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমারও পরিচয় হয়।ও দুবাইয়ে চাকরির প্রস্তাব দিতেই আমরাও তাতে রাজি হয়ে যায়।কিন্তু,চাকরির নামে আমার স্ত্রীকে ওখানে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।আমি চায় আমার স্ত্রী সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসুক।আমার বাড়িতে অসুস্থ মা ও ছেলে রয়েছে।ও ওর মায়ের জন্য দিনরাত কেঁদে চলেছে।আমরা সকলেই ওর জন্য চিন্তায় রয়েছি"।তার কথায়,"স্ত্রীকে দেশে ফেরাতে বিদেশ মন্ত্রক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি।আবেদন করেছি উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক,পুলিশ সুপার, দক্ষিণ 24 পরগনার পুলিশ সুপার,বারাসত থানার আইসি,কাকদ্বীপ থানার আইসি-র কাছেও।কিন্তু,কোথাও থেকে এখনও অবধি তেমন কোনও সাড়া মেলেনি।প্রয়োজনে আবারও বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হব স্ত্রীকে দেশে ফেরাতে"।Conclusion:এখন দেখার ওই মহিলাকে দেশে ফেরাতে বিদেশ মন্ত্রক কিংবা এখানকার প্রশাসন নতুনভাবে উদ্যোগী হন কিনা।
Last Updated : Feb 4, 2020, 9:17 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.