বারাসত, 4 ফেব্রুয়ারি : স্বামী শেয়ার বাজারের কাজের সঙ্গে জড়িত ৷ কিন্তু কয়েকমাস মন্দা চলছিল সেই কাজ ৷ সেই ভাবে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছিল না ৷ তাই স্বামীকে সাহায্য করতে নিজেও কিছু কাজ করবেন বলে ঠিক করেছিলেন বারাসতের তানিয়া চক্রবর্তী ৷ কাজের খোঁজখবর শুরু করেন ৷ সেই সূত্রেই প্রায় আট মাস আগে কাকদ্বীপের মিঠুন বাগের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় চক্রবর্তী দম্পতির ৷ মিঠুন নিজেকে কনসালট্যান্সি এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয় ৷ জানায়, তানিয়াকে সে দুবাইয়ে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেবে ৷ বিশ্বাসও করেন তানিয়া ৷ আর সেই বিশ্বাসই কাল হল ৷ প্রতিশ্রুতি মতো তানিয়াকে দুবাই পাঠিয়েছে মিঠুন ৷ কিন্তু, নার্সের কাজের ব্য়বস্থা করে দেয়নি ৷ সেখানে পরিচারিকার কাজ করছেন তানিয়া ৷ ফেসবুক লাইভে দুবাই থেকে এই অভিযোগ করেছেন তানিয়া ৷ স্ত্রী'কে দেশে ফেরত আনতে চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তানিয়াদেবীর স্বামী সায়ক চক্রবর্তী ৷
আরও পড়ুন : রেলে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, ধৃত 6
ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিয়োতে তানিয়া জানান, দেশ ছাড়ার পরেই তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৷ দুবাইয়ে চাকরি দেওয়ার কথা হলেও তাঁকে পাঠানো হয় ওমানের কাতারে ৷ অভিযোগ, সেখানে প্রায় 6 মাস কাজ করলেও তাঁকে ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয়নি ৷ এরপর, আচমকাই একদিন তাঁকে বেশি মাইনের চাকরির দেওয়ার নামে দুবাইয়ে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু সেখানেও প্রতারণার শিকার হন ৷ নার্সের চাকরির বদলে তাঁকে পরিচারিকার কাজে ঢোকানো হয় ৷ সেই কাজ করতে না চাওয়ায় তাঁর পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র ও যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি কেড়ে নেওয়া হয় ৷ তানিয়া ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, "আমি আর পারছি না ৷ আমাকে আমার ছেলে-স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার ব্য়বস্থা করে দিন ৷ এখানে আমাকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না ৷ আরও অনেক মহিলা ভারত থেকে এখানে এসে আছে ৷ তারাও কষ্ট সহ্য় করে আছে ৷"
আরও পড়ুন : চাকরির নামে প্রতারণা চক্র, গ্রেপ্তার আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট
তানিয়ার স্বামী সায়ক চক্রবর্তী স্ত্রী'কে দেশে ফেরানোর উদ্য়োগ নিয়েছেন ৷ তিনি ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগণার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে ৷ চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ও বিদেশ মন্ত্রকেও ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি ৷ ফলে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে তানিয়ার পরিবার ।