ETV Bharat / state

Barasat Karmatirtha : এক বছর পরও চালু হয়নি বারাসতের কর্মতীর্থ, উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার প্রশাসনের

এক বছর পার হয়ে গলেও অসম্পূর্ণ কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ । বারাসতে তৈরি হওয়া এই প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ উঠছে । যদিও তাতে কান দিচ্ছেন না প্রশাসনের আধিকারিকরা ।

Etv Bharat
চালু হয়নি বারাসতের কর্মতীর্থ
author img

By

Published : Apr 16, 2023, 9:02 PM IST

চালু হয়নি বারাসতের কর্মতীর্থ

বারাসত, 16 এপ্রিল: প্রায় তিন কোটি টাকা ব‍্যয়ে কর্মতীর্থ তৈরি হয়েও থমকে রয়েছে দোকানঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া । উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতে প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা । কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ অসম্পন্নতাকেই বরং বড় দায়ী করেছেন তারা ।

2014 সালে ব্লক এবং পৌরসভা ভিত্তিক একটি করে 'কর্মতীর্থ'-তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মূলত, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও দরিদ্র ব‍্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এখানে । সেই উদ্দেশ্যেই বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে তৈরির কাজ চলছিল কর্মতীর্থ প্রকল্পের দোকানঘর । তৃণমূল আমলে বিগত পৌরবোর্ডের শেষদিকে সরকারি সহায়তায় শুরু হয় কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ । এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল 2 কোটি 91 লক্ষ টাকা। পৌরসভার নিজস্ব জমিতেই গড়ে উঠেছে তিনতলা বিশিষ্ট এই 'কর্মতীর্থ'। প্রকল্পের নিচের তলার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে । দোতলা এবং তৃতীয় তলার কাজও সম্পন্ন হওয়ার মুখে ।

কর্মতীর্থের নিচের তলায় রয়েছে প্রায় 45টি দোকানঘর । দোতলায় রয়েছে অন্তত 46টি দোকান । এছাড়া তিনতলায় হবে আরও বেশ কয়েকটি দোকানঘর । প্রথমে কর্মতীর্থের কাজ জোরকদমে হলেও পরে তা ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ । যার ফলে দোতলা এবং তিনতলার কাজ শেষ হয়নি এখনও । তবে, নিচের তলার অধিকাংশ দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও তা ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । সেই দোকানঘর হস্তান্তর কিংবা তা চালু করার প্রয়োজন মনে করেনি জেলা প্রশাসন । ফলে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে ন্যায‍্য উপভোক্তাদের অভিযোগ এমনটাই ।

আরও পড়ুন: উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেশিয়াড়ির 'কর্মতীর্থ' এখন ভূতুড়ে বাড়ি

এই বিষয়ে প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী অজিত সাহা বলেন,"অনেকেই এসে জিজ্ঞাসা করেন, কবে থেকে চালু হচ্ছে কর্মতীর্থ প্রকল্প । যেহেতু বিষয়টি আমাদের জানা নেই । সেই কারণে সঠিকভাবে বলতেও পারি না অনেক সময় । কিছুদিন আগে ইঞ্জিনিয়াররা এখানে এসে সবকিছু খতিয়ে দেখেছেন । কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছে তা বলতে পারব না । যতদূর জানি পুরো বিল্ডিংয়ের কাজ এখনও শেষ করা যায়নি । সেই কারণেই চালু করা যাচ্ছে না ।"

একই সুর শোনা গিয়েছে বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অশনি মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও । তাঁর কথায়,"প্রকল্পের বরাদ্দকৃত কিছু অর্থ এসে ফিরে যাওয়ায় কাজ শেষ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে ঠিকই, তবে আশা করছি চার-পাঁচ মাসের মধ্যে প্রকল্পের দোকানঘর হস্তান্তর করতে পারব আমরা । ইতিমধ্যে সেই তালিকাও আমাদের তৈরি হয়ে গিয়েছে । প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেলেই তা চালু করা হবে ।"

অন‍্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসতের মহকুমাশাসক সোমা সাউ বলেন,"এটি একটি পাইলট প্রোজেক্ট । পৌরসভা এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রোজেক্টের কাজ চলছে । দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও সেখানে দরজা, জানালা এবং বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে । সেগুলো সম্পন্ন হতে আরও দু'থেকে তিনমাস সময় লাগবে আমাদের । তারপরেই চালু করতে পারব এই কর্মতীর্থ প্রকল্প ।"

চালু হয়নি বারাসতের কর্মতীর্থ

বারাসত, 16 এপ্রিল: প্রায় তিন কোটি টাকা ব‍্যয়ে কর্মতীর্থ তৈরি হয়েও থমকে রয়েছে দোকানঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া । উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতে প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা । কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ অসম্পন্নতাকেই বরং বড় দায়ী করেছেন তারা ।

2014 সালে ব্লক এবং পৌরসভা ভিত্তিক একটি করে 'কর্মতীর্থ'-তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মূলত, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও দরিদ্র ব‍্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এখানে । সেই উদ্দেশ্যেই বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে তৈরির কাজ চলছিল কর্মতীর্থ প্রকল্পের দোকানঘর । তৃণমূল আমলে বিগত পৌরবোর্ডের শেষদিকে সরকারি সহায়তায় শুরু হয় কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ । এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল 2 কোটি 91 লক্ষ টাকা। পৌরসভার নিজস্ব জমিতেই গড়ে উঠেছে তিনতলা বিশিষ্ট এই 'কর্মতীর্থ'। প্রকল্পের নিচের তলার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে । দোতলা এবং তৃতীয় তলার কাজও সম্পন্ন হওয়ার মুখে ।

কর্মতীর্থের নিচের তলায় রয়েছে প্রায় 45টি দোকানঘর । দোতলায় রয়েছে অন্তত 46টি দোকান । এছাড়া তিনতলায় হবে আরও বেশ কয়েকটি দোকানঘর । প্রথমে কর্মতীর্থের কাজ জোরকদমে হলেও পরে তা ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ । যার ফলে দোতলা এবং তিনতলার কাজ শেষ হয়নি এখনও । তবে, নিচের তলার অধিকাংশ দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও তা ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । সেই দোকানঘর হস্তান্তর কিংবা তা চালু করার প্রয়োজন মনে করেনি জেলা প্রশাসন । ফলে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে ন্যায‍্য উপভোক্তাদের অভিযোগ এমনটাই ।

আরও পড়ুন: উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেশিয়াড়ির 'কর্মতীর্থ' এখন ভূতুড়ে বাড়ি

এই বিষয়ে প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী অজিত সাহা বলেন,"অনেকেই এসে জিজ্ঞাসা করেন, কবে থেকে চালু হচ্ছে কর্মতীর্থ প্রকল্প । যেহেতু বিষয়টি আমাদের জানা নেই । সেই কারণে সঠিকভাবে বলতেও পারি না অনেক সময় । কিছুদিন আগে ইঞ্জিনিয়াররা এখানে এসে সবকিছু খতিয়ে দেখেছেন । কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছে তা বলতে পারব না । যতদূর জানি পুরো বিল্ডিংয়ের কাজ এখনও শেষ করা যায়নি । সেই কারণেই চালু করা যাচ্ছে না ।"

একই সুর শোনা গিয়েছে বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অশনি মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও । তাঁর কথায়,"প্রকল্পের বরাদ্দকৃত কিছু অর্থ এসে ফিরে যাওয়ায় কাজ শেষ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে ঠিকই, তবে আশা করছি চার-পাঁচ মাসের মধ্যে প্রকল্পের দোকানঘর হস্তান্তর করতে পারব আমরা । ইতিমধ্যে সেই তালিকাও আমাদের তৈরি হয়ে গিয়েছে । প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেলেই তা চালু করা হবে ।"

অন‍্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসতের মহকুমাশাসক সোমা সাউ বলেন,"এটি একটি পাইলট প্রোজেক্ট । পৌরসভা এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রোজেক্টের কাজ চলছে । দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও সেখানে দরজা, জানালা এবং বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে । সেগুলো সম্পন্ন হতে আরও দু'থেকে তিনমাস সময় লাগবে আমাদের । তারপরেই চালু করতে পারব এই কর্মতীর্থ প্রকল্প ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.