বারাসত, 13 জানুয়ারি: 'গোলি মারো শালো কো'-কে বলেছিল ? উনিই তো সংসদে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে এই ভাষায় কথা বলেছিলেন !' সন্দেশখালির ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুরনো মন্তব্য স্মরণ করিয়ে নাম না-করে অনুরাগ ঠাকুরকে পালটা দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
শনিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, "বাংলার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গিয়ে এখানে ইডি আধিকারিকদেরও আক্রান্ত হতে হচ্ছে।" এর প্রত্যুত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে তাঁর পুরনো মন্তব্যের কথা এদিন স্মরণ করিয়ে দিলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
এদিন বিকেলে বারাসতের বিদ্যাসাগর হলে দলের এক কর্মী সভায় যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি ছাড়াও এদিনের কর্মী সভায় হাজির ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য-সহ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, "ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তা উল্লেখযোগ্য। তিনি সবসময় দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে লড়াই চালাচ্ছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও তাতে অংশগ্রহণ করছে ৷"
এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর পিজি হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, "ওদের দল আলাদা। সংগঠনও আলাদা। তাঁদের দলের রাজ্য নেতৃত্ব যদি জোটের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কর্মসূচি নিয়ে থাকে সেটা ওদের ব্যাপার। আমাদের কোনও বিষয় নেই এখানে ৷" কিন্তু ইন্ডিয়া জোটে তো এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে ? সেই প্রশ্নের উত্তরে এদিন কার্যত নাম না-করে অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের এই চিকিৎসক সাংসদ। কাকলির কথায়, "যে যতই চেষ্টা করুক, কারও হাতের তামাক খেয়েও ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে পারবে না ৷"
এদিকে, শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিনই আবার কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "সন্দেশখালি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান মায়ানমারে পালিয়ে গিয়েছেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সেটিং করছেন ৷" এই প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, " যদি সত্যিই পালিয়ে গিয়ে থাকেন সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। কারণ, সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। সেটা ওঁর (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর) কাছেও লজ্জার বিষয় ৷" যদিও শেখ শাহজাহান নিয়ে কোনও জবাব দিতে চাননি তৃণমূল সাংসদ ৷
আরও পড়ুন