ETV Bharat / state

Al Qaeda Terrorists Arrest: 2 আল-কায়দা জঙ্গির জেল হেফাজত, চলবে জিজ্ঞাসাবাদ - 2 আল কায়দা জঙ্গির জেল হেফাজত

নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার(Al Qaeda Terrorists Arrest)সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাহকে বৃহস্পতিবার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷

Etv Bharat
আল কায়দা জঙ্গির জেল হেফাজত
author img

By

Published : Sep 1, 2022, 10:00 PM IST

বারাসত, 1 সেপ্টেম্বর: ধৃত দুই আল-কায়দা জঙ্গি আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসান উল্লাহকে বৃহস্পতিবার ফের বারাসত আদালতে পেশ করল এসটিএফ । কড়া নিরাপত্তায় এদিন দুপুরে ধৃত ওই দুই জঙ্গিকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন(jail custody of 2 suspected al qaeda terrorists)। আদালত সূত্রে খবর, ধৃত আল কায়দার সন্দেহভাজন এই দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । ফলে, তদন্ত যত এগিয়েছে ততই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে আল কায়দা(Al Qaeda militant)জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় ৷

17 অগস্ট শাসনের খড়িবাড়ি থেকে সন্দেহভাজন আল-কায়দার এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ । গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মেলে বিভিন্ন নথিপত্র, লিফলেট এবং একাধিক মোবাইল । ধৃতদের মধ্যে আব্দুর রকিব বাংলার দু’টি মসজিদে ইমাম হিসেবে কাজ করতেন । জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ সূত্রে ।

আরও পড়ুন : ছেলের জঙ্গিযোগ মানতে নারাজ আল কায়দা সন্দেহে ধৃত আবদুর রকিবের পরিবার

কিন্তু কেন সে এই কাজ করত ? এসটিএফ বলছে, বাংলায় আল-কায়দার জঙ্গি মডিউলকে আরও শক্তিশালী করতেই আব্দুর রকিবের কাঁধে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । তবে, এর সঙ্গে সে আরও একাধিক কাজ করত । কখনও গাড়ির ব্যবসা, আবার কখনও শিক্ষকতা ৷ তবে প্রতিক্ষেত্রেই তার উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গি কার্যকলাপকে আরও শক্তিশালী করা । আপাতত আল কায়দার ধৃত এই দুই জঙ্গি এসটিএফের হেফাজতে থাকার পর বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে । এসটিএফ হেফাজতে থাকার সময় একদিকে তাদের যেমন জেরা পর্ব চলেছে, তেমনই ধৃত দুই জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়েছে ৷

জেরায় নানা তথ্য উঠে এসেছে এসটিএফের হাতে । এখনও পর্যন্ত এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, প্রাথমিকভাবে এলাকা চিহ্নিত করার কাজ করতেন রাকিব । এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেকার যুবক-যুবতিদের চিহ্নিত করে তাদের মগজ ধোলাই দেওয়া হত জঙ্গিদের তরফে । তাদের মনে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বীজ বপনের কাজ সুচারুভাবে করতেন আব্দুর রকিব । জেরায় ধৃত রাকিব জানিয়েছে সে বাংলাদেশ থেকে একাধিক জঙ্গিকে এই বাংলায় এনেছে ।

কিন্তু তারা এই রাজ্যের কোন কোন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বা আত্মগোপন করে রয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ এসটিএফের কাছে । তবে তথ্য হাতে আসতেই ওই জঙ্গিদের সন্ধানে কাজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা । এছাড়া, ইমাম হিসেবে আব্দুর রকিব মূলত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা ৷ ধৃত দুই জঙ্গি আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ার সাব কন্টিনেন্টের সক্রিয় সদস্য বলেও জানতে পেরেছেন তাঁরা ।

আরও পড়ুন : আহসানউল্লাহর গ্রেফতারিতে হতবাক আত্মীয়, প্রতিবেশীরা

বারাসত, 1 সেপ্টেম্বর: ধৃত দুই আল-কায়দা জঙ্গি আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসান উল্লাহকে বৃহস্পতিবার ফের বারাসত আদালতে পেশ করল এসটিএফ । কড়া নিরাপত্তায় এদিন দুপুরে ধৃত ওই দুই জঙ্গিকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন(jail custody of 2 suspected al qaeda terrorists)। আদালত সূত্রে খবর, ধৃত আল কায়দার সন্দেহভাজন এই দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । ফলে, তদন্ত যত এগিয়েছে ততই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে আল কায়দা(Al Qaeda militant)জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় ৷

17 অগস্ট শাসনের খড়িবাড়ি থেকে সন্দেহভাজন আল-কায়দার এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ । গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মেলে বিভিন্ন নথিপত্র, লিফলেট এবং একাধিক মোবাইল । ধৃতদের মধ্যে আব্দুর রকিব বাংলার দু’টি মসজিদে ইমাম হিসেবে কাজ করতেন । জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ সূত্রে ।

আরও পড়ুন : ছেলের জঙ্গিযোগ মানতে নারাজ আল কায়দা সন্দেহে ধৃত আবদুর রকিবের পরিবার

কিন্তু কেন সে এই কাজ করত ? এসটিএফ বলছে, বাংলায় আল-কায়দার জঙ্গি মডিউলকে আরও শক্তিশালী করতেই আব্দুর রকিবের কাঁধে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । তবে, এর সঙ্গে সে আরও একাধিক কাজ করত । কখনও গাড়ির ব্যবসা, আবার কখনও শিক্ষকতা ৷ তবে প্রতিক্ষেত্রেই তার উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গি কার্যকলাপকে আরও শক্তিশালী করা । আপাতত আল কায়দার ধৃত এই দুই জঙ্গি এসটিএফের হেফাজতে থাকার পর বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে । এসটিএফ হেফাজতে থাকার সময় একদিকে তাদের যেমন জেরা পর্ব চলেছে, তেমনই ধৃত দুই জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়েছে ৷

জেরায় নানা তথ্য উঠে এসেছে এসটিএফের হাতে । এখনও পর্যন্ত এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, প্রাথমিকভাবে এলাকা চিহ্নিত করার কাজ করতেন রাকিব । এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেকার যুবক-যুবতিদের চিহ্নিত করে তাদের মগজ ধোলাই দেওয়া হত জঙ্গিদের তরফে । তাদের মনে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বীজ বপনের কাজ সুচারুভাবে করতেন আব্দুর রকিব । জেরায় ধৃত রাকিব জানিয়েছে সে বাংলাদেশ থেকে একাধিক জঙ্গিকে এই বাংলায় এনেছে ।

কিন্তু তারা এই রাজ্যের কোন কোন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বা আত্মগোপন করে রয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ এসটিএফের কাছে । তবে তথ্য হাতে আসতেই ওই জঙ্গিদের সন্ধানে কাজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা । এছাড়া, ইমাম হিসেবে আব্দুর রকিব মূলত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা ৷ ধৃত দুই জঙ্গি আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ার সাব কন্টিনেন্টের সক্রিয় সদস্য বলেও জানতে পেরেছেন তাঁরা ।

আরও পড়ুন : আহসানউল্লাহর গ্রেফতারিতে হতবাক আত্মীয়, প্রতিবেশীরা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.