বারাসত, 1 সেপ্টেম্বর: ধৃত দুই আল-কায়দা জঙ্গি আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসান উল্লাহকে বৃহস্পতিবার ফের বারাসত আদালতে পেশ করল এসটিএফ । কড়া নিরাপত্তায় এদিন দুপুরে ধৃত ওই দুই জঙ্গিকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন(jail custody of 2 suspected al qaeda terrorists)। আদালত সূত্রে খবর, ধৃত আল কায়দার সন্দেহভাজন এই দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । ফলে, তদন্ত যত এগিয়েছে ততই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে আল কায়দা(Al Qaeda militant)জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় ৷
17 অগস্ট শাসনের খড়িবাড়ি থেকে সন্দেহভাজন আল-কায়দার এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ । গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মেলে বিভিন্ন নথিপত্র, লিফলেট এবং একাধিক মোবাইল । ধৃতদের মধ্যে আব্দুর রকিব বাংলার দু’টি মসজিদে ইমাম হিসেবে কাজ করতেন । জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ সূত্রে ।
আরও পড়ুন : ছেলের জঙ্গিযোগ মানতে নারাজ আল কায়দা সন্দেহে ধৃত আবদুর রকিবের পরিবার
কিন্তু কেন সে এই কাজ করত ? এসটিএফ বলছে, বাংলায় আল-কায়দার জঙ্গি মডিউলকে আরও শক্তিশালী করতেই আব্দুর রকিবের কাঁধে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । তবে, এর সঙ্গে সে আরও একাধিক কাজ করত । কখনও গাড়ির ব্যবসা, আবার কখনও শিক্ষকতা ৷ তবে প্রতিক্ষেত্রেই তার উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গি কার্যকলাপকে আরও শক্তিশালী করা । আপাতত আল কায়দার ধৃত এই দুই জঙ্গি এসটিএফের হেফাজতে থাকার পর বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে । এসটিএফ হেফাজতে থাকার সময় একদিকে তাদের যেমন জেরা পর্ব চলেছে, তেমনই ধৃত দুই জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়েছে ৷
জেরায় নানা তথ্য উঠে এসেছে এসটিএফের হাতে । এখনও পর্যন্ত এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, প্রাথমিকভাবে এলাকা চিহ্নিত করার কাজ করতেন রাকিব । এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেকার যুবক-যুবতিদের চিহ্নিত করে তাদের মগজ ধোলাই দেওয়া হত জঙ্গিদের তরফে । তাদের মনে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বীজ বপনের কাজ সুচারুভাবে করতেন আব্দুর রকিব । জেরায় ধৃত রাকিব জানিয়েছে সে বাংলাদেশ থেকে একাধিক জঙ্গিকে এই বাংলায় এনেছে ।
কিন্তু তারা এই রাজ্যের কোন কোন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বা আত্মগোপন করে রয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ এসটিএফের কাছে । তবে তথ্য হাতে আসতেই ওই জঙ্গিদের সন্ধানে কাজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা । এছাড়া, ইমাম হিসেবে আব্দুর রকিব মূলত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা ৷ ধৃত দুই জঙ্গি আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ার সাব কন্টিনেন্টের সক্রিয় সদস্য বলেও জানতে পেরেছেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন : আহসানউল্লাহর গ্রেফতারিতে হতবাক আত্মীয়, প্রতিবেশীরা