ETV Bharat / state

"দিদিকে বলো"-তে সব চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়, বলছেন চিরঞ্জিত - TMC Arraignment

"দিদিকে বলো"-র মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে বক্তব্য চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর ।

চিরঞ্জিত
author img

By

Published : Aug 10, 2019, 8:21 PM IST

বারাসত, 10 অগাস্ট : "দিদিকে বলো" কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ নিজেদের দাবি জানাবেন ৷ কিন্তু, সেই চাহিদা পূরণের পথে অন্তরায় অর্থ ৷ ফলে প্রত্যেকের চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব নয় ৷ জনসংযোগে বেরিয়ে আজ একথা বলেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷

লোকসভা ভোটে ভালো ফল হয়নি ৷ একাধিক বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল ৷ তাই কয়েকদিন আগে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে রাত কাটানোর জন্য বিধায়কদের নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী ৷ সেইমতো বারাসত পৌরসভার 32 নম্বর ওয়ার্ডে যান চিরঞ্জিত ৷ সঙ্গে ছিলেন পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল মুখার্জি, উপ পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণবনন্দন চৌধুরি সহ অন্যরা । স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক ৷ প্রদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এলাকায় পাকা রাস্তার জন্য তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে দরবার করেছিলেন ৷ কিন্তু, টাকা নেই বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি ৷ তা শুনে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন বিধায়ক ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন, "20 বছর আগে এখানে কোন‌ও রাস্তা ছিল না ৷ 5-6 বছর পরে হয়েছে ৷ উন্নয়ন‌ই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৷ তারপরও কেন আমরা ভোট পাব না?" তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও একগুচ্ছ অভিযোগ শুনতে হয় চিরঞ্জিতকে ৷ কোথাও রাস্তা না হ‌ওয়া, কোথাও নিকাশি, পানীয় জল নিয়ে বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা ৷

পরে চিরঞ্জিত বলেন, "অভাব-অভিযোগ নিয়ে স্থানীয়রা তো কাউন্সিলরকে বলছে ৷ এখানে আলো লাগাতে হবে ৷ সেটা আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে দেখতে পারি ৷ বাকিটা পৌরসভা দেখে নিতে পারবে ৷ উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ‌ও হয়ে গেছে ৷ তা দিয়ে অনেক কাজ করা যাবে ৷" সমন্বয়ের অভাবের জেরেই কি ঠিকমতো উন্নয়ন হচ্ছে না ? এনিয়ে তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না, এখানে কোন‌ও সমন্বয়ের অভাব আছে ৷ আর্থিক সমস্যাই এর কারণ ৷ "

এরপর বিধায়ক বলেন, "আমি সবথেকে বেশি চিন্তিত, মমতা যে "দিদিকে বলো" কর্মসূচি করেছেন তা নিয়ে । সাধারণ মানুষের বিপুল চাহিদা পূরণ করতে হাজার হাজার কোটি টাকা লাগবে, সেটা (কোথা থেকে আসবে) আমি জানি না ৷ সেটা সম্ভব নয় ৷ তবু তো শুনতে হবে ৷ ছেলের কথা শুনতে হবে ৷ মেয়ের কথা শুনতে হবে ৷ স্কুলের পরীক্ষায় কত টাকা লাগবে? ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে গেলে কত টাকা লাগবে? এটা তো শুনতে হবে আমাকে৷ হয়তো পারব না । চেষ্টা করব ৷ বাবাকে তো শুনতে হবে ৷ সেই হিসেবে মাকেও শুনতে হবে ৷ এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে ৷"

বারাসত, 10 অগাস্ট : "দিদিকে বলো" কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ নিজেদের দাবি জানাবেন ৷ কিন্তু, সেই চাহিদা পূরণের পথে অন্তরায় অর্থ ৷ ফলে প্রত্যেকের চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব নয় ৷ জনসংযোগে বেরিয়ে আজ একথা বলেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷

লোকসভা ভোটে ভালো ফল হয়নি ৷ একাধিক বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল ৷ তাই কয়েকদিন আগে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে রাত কাটানোর জন্য বিধায়কদের নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী ৷ সেইমতো বারাসত পৌরসভার 32 নম্বর ওয়ার্ডে যান চিরঞ্জিত ৷ সঙ্গে ছিলেন পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল মুখার্জি, উপ পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণবনন্দন চৌধুরি সহ অন্যরা । স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক ৷ প্রদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এলাকায় পাকা রাস্তার জন্য তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে দরবার করেছিলেন ৷ কিন্তু, টাকা নেই বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি ৷ তা শুনে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন বিধায়ক ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন, "20 বছর আগে এখানে কোন‌ও রাস্তা ছিল না ৷ 5-6 বছর পরে হয়েছে ৷ উন্নয়ন‌ই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৷ তারপরও কেন আমরা ভোট পাব না?" তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও একগুচ্ছ অভিযোগ শুনতে হয় চিরঞ্জিতকে ৷ কোথাও রাস্তা না হ‌ওয়া, কোথাও নিকাশি, পানীয় জল নিয়ে বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা ৷

পরে চিরঞ্জিত বলেন, "অভাব-অভিযোগ নিয়ে স্থানীয়রা তো কাউন্সিলরকে বলছে ৷ এখানে আলো লাগাতে হবে ৷ সেটা আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে দেখতে পারি ৷ বাকিটা পৌরসভা দেখে নিতে পারবে ৷ উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ‌ও হয়ে গেছে ৷ তা দিয়ে অনেক কাজ করা যাবে ৷" সমন্বয়ের অভাবের জেরেই কি ঠিকমতো উন্নয়ন হচ্ছে না ? এনিয়ে তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না, এখানে কোন‌ও সমন্বয়ের অভাব আছে ৷ আর্থিক সমস্যাই এর কারণ ৷ "

এরপর বিধায়ক বলেন, "আমি সবথেকে বেশি চিন্তিত, মমতা যে "দিদিকে বলো" কর্মসূচি করেছেন তা নিয়ে । সাধারণ মানুষের বিপুল চাহিদা পূরণ করতে হাজার হাজার কোটি টাকা লাগবে, সেটা (কোথা থেকে আসবে) আমি জানি না ৷ সেটা সম্ভব নয় ৷ তবু তো শুনতে হবে ৷ ছেলের কথা শুনতে হবে ৷ মেয়ের কথা শুনতে হবে ৷ স্কুলের পরীক্ষায় কত টাকা লাগবে? ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে গেলে কত টাকা লাগবে? এটা তো শুনতে হবে আমাকে৷ হয়তো পারব না । চেষ্টা করব ৷ বাবাকে তো শুনতে হবে ৷ সেই হিসেবে মাকেও শুনতে হবে ৷ এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে ৷"

Intro:"দিদিকে বলো" কর্মসূচি সফল করতে বেরিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তৃনমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বললেন,সাধারন মানুষের বিপুল চাহিদা পূরন করতে যে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন,তা কোথা থেকে আসবে! ফলে,সব মানুষের চাহিদা পূরন হ‌ওয়া নিয়েও সন্দিহান তৃনমূল বিধায়ক।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-"দিদিকে বলো"-র মাধ্যমে সাধারন মানুষের সমস্ত চাহিদা পূরন করা সম্ভব নয়! বিতর্কিত মন্তব্য বারাসতের বিধায়ক ও চিত্রাভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর।আজ বারাসত পৌরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে "দিদিকে বলো" কর্মসূচি সফল করতে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন পৌরসভার পৌর প্রধান সুনীল মুখার্জী, উপ-পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রনব নন্দন চৌধুরীও।সাধারন মানুষের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ শোনেন তৃনমূলের ওই তারকা বিধায়ক। তাঁদের হাতে "দিদিকে বলো" কার্ড‌ও তুলে দেওয়া হয়।এরপর‌ই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন,"আমি সবথেকে বেশি চিন্তিত,মমতা যে "দিদিকে বলো" কর্মসূচি নিয়েছে।তারজন‍্য সাধারন মানুষের বিপুল চাহিদা পূরন করতে হাজার হাজার কোটি টাকা লাগবে!সেই টাকা কোথা থেকে আসবে?সেটাই ভাবনার বিষয়!তাই,সাধারন মানুষের সব চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব"! তাঁর কথায়,"তবুও তো লোকের কথা শুনতে হবে! ছেলের কথা শুনতে হবে!মেয়ের কথা শুনতে হবে!স্কুলের পরীক্ষায় ফিস কত? দিতে হবে কত? ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে গেলে কত টাকা লাগবে? এটাতো শুনতে হবে আমাকে! হয়তো পারব না। চেষ্টা করব!বাবাকে তো শুনতে হবে!সেই হিসাবে মা-কেও শুনতে হবে!এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে সাধারন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে! ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃনমূলের তারকা বিধায়ক বলেন,"অভাব অভিযোগ নিয়ে ওরা তো কাউন্সিলরকে বলছে! এখানে লাইট লাগাতে হবে!যেটা আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে দেখতে পারি!বাকিটা পৌরসভা দেখে নিতে পারবে! উন্নয়নের জন্য একটা টাকা বরাদ্দ‌ও হয়ে গেছে!সেটা দিয়ে অনেক কাজ করা যাবে"! উন্নয়নের কাজ ঠিকমত না হ‌ওয়ার জন্য কি কোন‌ও সম্বনয়ের অভাব রয়েছে! সেই অভিযোগ উড়িয়ে বিধায়ক বলেন,"আমার মনে হয়না এখানে কোন‌ও সম্বনয়ের অভাব আছে! আর্থিক সমস্যায় এর কারন! এদিকে,আজ সকালে "দিদিকে বলো" কর্মসূচিতে বেরিয়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর প্রনব নন্দন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ শুনতে হয় দলের‌ই বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে। কোথাও রাস্তা না হ‌ওয়া, আবার কোথাও নিকাশি,পানীয় জল নিয়ে বিধায়কের কাছে অভিযোগ করেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।আজ ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাশায় প্রদীপ ঘোষের বাড়িতে প্রথমে যান তৃনমূলের তারকা বিধায়ক। সেখানে ঢুকতে না ঢুকতেই চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে!এরপর,রাজ‍্য সরকারের প্রাক্তন কর্মচারী প্রদীপ বাবুকে পাশে বসিয়ে তাঁর কাছে বিধায়ক জানতে চান, আপনার সঙ্গে যোগাযোগ কে করেছিল? আপনার নাম পেল কিভাবে? এনিয়ে আমার জানার ইচ্ছে রয়েছে! রহস্য আছে! প্রত‍্যুত্তরে প্রদীপ বাবু বলেন,"দিদিকে বলো"-র মাধ্যমে ফোনে যোগাযোগ করেছিলাম!এরপর‌ই, রেজাল্ট কেন খারাপ হল? আপনাদের কি কোনও অভাব অভিযোগ আছে?কি কারনে আপনারা আমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হলেন? কোনও জায়গায় কি খামতি আছে?এরকম নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রদীপ বাবুর উদ্দেশ্য। তিনি সব প্রশ্ন শুনে বিধায়ককে বলেন,"আমি এখানে ১৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি! উন্নয়ন‌ও দেখেছি! কিন্তু, এখানে পাকা রাস্তার জন্য তৃনমূল কাউন্সিলরকে বলেছিলাম! তিনি টাকা নেই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান! তাঁর অভিযোগ শুনে অস্বস্তিতে পড়ে বিষয়টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী!বলেন,"২০ বছর আগে এখানে কোন‌ও রাস্তা ছিলনা!সেটা ৫-৬ বছর পরে হয়েছে! উন্নয়ন‌ই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব! তারপরেও কেন আমরা ভোট পাবনা? পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রদীপ বাবুর উদ্দেশ্যে?এরপর, বেরনোর সময় পরিবারের এক সদস্য পৌর প্রধান সুনীল মুখার্জীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের জায়গায় পয়সা খরচ করে উঁচু করতে হয়েছে! প্রশ্ন শুনে থতমত খেয়ে পৌর প্রধান আজব যুক্তি দেন!বলেন,বেশি উঁচু করলে তো আপনাদের বাড়ির জল‌ই পাস করতে পারবে না! ওয়ার্ড থাকলেও তাঁদের এলাকায় যে উন্নয়ন হয়নি, সেই কথাও পৌর প্রধানের সামনে তুলে ধরা হয়।এরপর, তড়িঘড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে যান বিধায়ক সহ তৃনমূলের জন প্রতিনিধিরা!এরপর,একে একে সঞ্চিতা বাছার, দিব্যেন্দু রায়, তুষার মিত্র, তুষার চক্রবর্তী প্রমুখের বাড়িতে গিয়ে জন সংযোগ সারেন তৃনমূলের তারকা বিধায়ক। দুপুরে রামকৃষ্ণ পল্লীতে গোকুল সরকারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। বিকালে এলাকার একটি পার্টি অফিসে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। সন্ধ্যায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শেষ হয় বিধায়কের "দিদিকে বলো" নিয়ে দিনভর কর্মসূচি।Conclusion:চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাস্তব কথাই বলেছেন। জানিয়েছেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার সাধারন সম্পাদক তুহিন মন্ডল। তিনি বলেন,লোককে বোকা বানাতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে!এসব করে কোনও লাভ হবেনা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.