বারাসত, 10 অগাস্ট : "দিদিকে বলো" কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ নিজেদের দাবি জানাবেন ৷ কিন্তু, সেই চাহিদা পূরণের পথে অন্তরায় অর্থ ৷ ফলে প্রত্যেকের চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব নয় ৷ জনসংযোগে বেরিয়ে আজ একথা বলেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷
লোকসভা ভোটে ভালো ফল হয়নি ৷ একাধিক বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল ৷ তাই কয়েকদিন আগে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে রাত কাটানোর জন্য বিধায়কদের নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী ৷ সেইমতো বারাসত পৌরসভার 32 নম্বর ওয়ার্ডে যান চিরঞ্জিত ৷ সঙ্গে ছিলেন পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল মুখার্জি, উপ পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণবনন্দন চৌধুরি সহ অন্যরা । স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক ৷ প্রদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এলাকায় পাকা রাস্তার জন্য তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে দরবার করেছিলেন ৷ কিন্তু, টাকা নেই বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি ৷ তা শুনে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন বিধায়ক ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন, "20 বছর আগে এখানে কোনও রাস্তা ছিল না ৷ 5-6 বছর পরে হয়েছে ৷ উন্নয়নই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৷ তারপরও কেন আমরা ভোট পাব না?" তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও একগুচ্ছ অভিযোগ শুনতে হয় চিরঞ্জিতকে ৷ কোথাও রাস্তা না হওয়া, কোথাও নিকাশি, পানীয় জল নিয়ে বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা ৷
পরে চিরঞ্জিত বলেন, "অভাব-অভিযোগ নিয়ে স্থানীয়রা তো কাউন্সিলরকে বলছে ৷ এখানে আলো লাগাতে হবে ৷ সেটা আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে দেখতে পারি ৷ বাকিটা পৌরসভা দেখে নিতে পারবে ৷ উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দও হয়ে গেছে ৷ তা দিয়ে অনেক কাজ করা যাবে ৷" সমন্বয়ের অভাবের জেরেই কি ঠিকমতো উন্নয়ন হচ্ছে না ? এনিয়ে তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না, এখানে কোনও সমন্বয়ের অভাব আছে ৷ আর্থিক সমস্যাই এর কারণ ৷ "
এরপর বিধায়ক বলেন, "আমি সবথেকে বেশি চিন্তিত, মমতা যে "দিদিকে বলো" কর্মসূচি করেছেন তা নিয়ে । সাধারণ মানুষের বিপুল চাহিদা পূরণ করতে হাজার হাজার কোটি টাকা লাগবে, সেটা (কোথা থেকে আসবে) আমি জানি না ৷ সেটা সম্ভব নয় ৷ তবু তো শুনতে হবে ৷ ছেলের কথা শুনতে হবে ৷ মেয়ের কথা শুনতে হবে ৷ স্কুলের পরীক্ষায় কত টাকা লাগবে? ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে গেলে কত টাকা লাগবে? এটা তো শুনতে হবে আমাকে৷ হয়তো পারব না । চেষ্টা করব ৷ বাবাকে তো শুনতে হবে ৷ সেই হিসেবে মাকেও শুনতে হবে ৷ এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে ৷"