ETV Bharat / state

বনগাঁ হাসপাতালের ঘটনায় 4 সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল বনগাঁ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুপার ।

investigation committee on Bangaon hospital incident
বনগাঁ হাসপাতাল
author img

By

Published : Jul 28, 2020, 6:23 AM IST

Updated : Jul 30, 2020, 10:50 AM IST

বনগাঁ, 28 জুলাই: অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় পড়ে গিয়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে বনগাঁয় । সকলেই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে অন্য কর্মীদের আচরণের নিন্দা করছেন । ইতিমধ্যে ঘটনার নিন্দা করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বনগাঁ হাসপাতালের সুপার শংকরপ্রসাদ মাহাত । সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে । তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার ।

গত শনিবার অসুস্থ স্বামীকে বনগাঁ হাসপাতালে ভরতি করেছিলেন আলপনা দত্ত । জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল মাধব নারায়ণ দত্তর ৷ রাতের দিকে তাঁকে রেফার করা হয় ব্যারাকপুরের কোরোনা হাসপাতালে । জ্বর, শ্বাসকষ্টে ধুঁকতে থাকা মাধববাবুকে বনগাঁ হাসপাতাল থেকে ব্যারাকপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা হয় ৷ কিন্তু কোরোনা সন্দেহে তাঁর স্ট্রেচার নিয়ে যেতে কেউ এগিয়ে আসেনি । রোগীর সাহায্যে স্ত্রী ছাঁড়া কেউ ছিল না । এরপর অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর আগেই মৃত্যু হয় মাধব নারায়ণ দত্তর । অনেক পরে হাসপাতালের এক চিকিৎসক এসে জানান, রোগীর মৃত্যু হয়েছে । সরকারি হাসপাতালের এমন অমানবিকতা সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে । এরপরই হাসপাতাল সুপার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন । একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বলেও সোমবার জানান তিনি ৷

মৃতের স্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিল হাসপাতাল ৷

মৃতের স্ত্রী আলপনা দত্ত বলেন, "হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের অমানবিক আচরণের জন্যই আমার স্বামী মারা গেলেন । আমি ছেলেমেয়ের বয়সি অনেককেই হাতজোড় করে সাহায্যের জন্য বলেছিলাম । কেউ এগিয়ে এল না । দোষীদের শাস্তি চেয়ে কী করব? আমার স্বামী তো আর ফিরে আসবে না ।"

আলপনা দেবীর দুই মেয়ে রাজ্যের বাইরে থাকেন । লকডাউনে তাঁদের পক্ষে দ্রুত বনগাঁয় আসা সম্ভব না । আবার কোরোনা পরিস্থিতিতে আলপনা দেবীর একার পক্ষে স্বামীর দেহ সৎকার করাও অসম্ভব । এই অবস্থায় তিনি হাসপাতালকে স্বামীর দেহ সৎকারের দায়িত্ব নিতে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন ৷ এই বিষয়ে সুপারকে চিঠি লিখেছেন তিনি ৷ হাসপাতাল সুপার জানান, হাসপাতালেই দেহ সৎকার করা হবে ৷

সুপার শংকরপ্রসাদ মাহাত বলেন, "একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । দু'জন চিকিৎসক, একজন নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট ও একজন সহকারি সুপারকে নিয়ে 4 সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে । তদন্তের জন্য 48 ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে । রিপোর্ট হাতে আসার পর যদি দেখা যায় হাসপাতালের কেউ জড়িত তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

বনগাঁ, 28 জুলাই: অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় পড়ে গিয়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে বনগাঁয় । সকলেই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে অন্য কর্মীদের আচরণের নিন্দা করছেন । ইতিমধ্যে ঘটনার নিন্দা করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বনগাঁ হাসপাতালের সুপার শংকরপ্রসাদ মাহাত । সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে । তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার ।

গত শনিবার অসুস্থ স্বামীকে বনগাঁ হাসপাতালে ভরতি করেছিলেন আলপনা দত্ত । জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল মাধব নারায়ণ দত্তর ৷ রাতের দিকে তাঁকে রেফার করা হয় ব্যারাকপুরের কোরোনা হাসপাতালে । জ্বর, শ্বাসকষ্টে ধুঁকতে থাকা মাধববাবুকে বনগাঁ হাসপাতাল থেকে ব্যারাকপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা হয় ৷ কিন্তু কোরোনা সন্দেহে তাঁর স্ট্রেচার নিয়ে যেতে কেউ এগিয়ে আসেনি । রোগীর সাহায্যে স্ত্রী ছাঁড়া কেউ ছিল না । এরপর অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর আগেই মৃত্যু হয় মাধব নারায়ণ দত্তর । অনেক পরে হাসপাতালের এক চিকিৎসক এসে জানান, রোগীর মৃত্যু হয়েছে । সরকারি হাসপাতালের এমন অমানবিকতা সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে । এরপরই হাসপাতাল সুপার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন । একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বলেও সোমবার জানান তিনি ৷

মৃতের স্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিল হাসপাতাল ৷

মৃতের স্ত্রী আলপনা দত্ত বলেন, "হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের অমানবিক আচরণের জন্যই আমার স্বামী মারা গেলেন । আমি ছেলেমেয়ের বয়সি অনেককেই হাতজোড় করে সাহায্যের জন্য বলেছিলাম । কেউ এগিয়ে এল না । দোষীদের শাস্তি চেয়ে কী করব? আমার স্বামী তো আর ফিরে আসবে না ।"

আলপনা দেবীর দুই মেয়ে রাজ্যের বাইরে থাকেন । লকডাউনে তাঁদের পক্ষে দ্রুত বনগাঁয় আসা সম্ভব না । আবার কোরোনা পরিস্থিতিতে আলপনা দেবীর একার পক্ষে স্বামীর দেহ সৎকার করাও অসম্ভব । এই অবস্থায় তিনি হাসপাতালকে স্বামীর দেহ সৎকারের দায়িত্ব নিতে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন ৷ এই বিষয়ে সুপারকে চিঠি লিখেছেন তিনি ৷ হাসপাতাল সুপার জানান, হাসপাতালেই দেহ সৎকার করা হবে ৷

সুপার শংকরপ্রসাদ মাহাত বলেন, "একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । দু'জন চিকিৎসক, একজন নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট ও একজন সহকারি সুপারকে নিয়ে 4 সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে । তদন্তের জন্য 48 ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে । রিপোর্ট হাতে আসার পর যদি দেখা যায় হাসপাতালের কেউ জড়িত তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

Last Updated : Jul 30, 2020, 10:50 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.