হাবড়া, 2 অগস্ট : ধারালো অস্ত্র নিয়ে খুন করার চেষ্টা স্ত্রীর উপর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে হাবড়া বিচুলিহাটা এলাকায়। আক্রান্ত গৃহবধূর নাম ঝুমা দাসবন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূ হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশে কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
আক্রান্ত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে প্রেম করে ঝুমার বিয়ে হয়েছিল হাবড়া ঝরঝরিয়া তলা এলাকার অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বর্তমানে তাঁদের একটি চার বছরের সন্তানও রয়েছে।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে একাধিকবার ঝুমাকে মারধর করা হয়েছে। কোথাও কাজ করতে গেলে সেখান থেকে তাঁকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতেন অমিত। যা নিয়ে এর আগে একাধিকবার পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছিল। একসপ্তাহ আগে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন ওই গৃহবধূ তাঁর বাপের বাড়িতে চলে আসেন। স্বামীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চাননি। অমিত যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে তার জন্য নিজের ফোন ভেঙে ফেলেন ঝুমা। এক সপ্তাহ অমিতের সঙ্গে ঝুমার কথা হয়নি । আর তারপরেই হামলা।
আক্রান্ত গৃহবধূ বলেন, "আমি হাবড়া হাবড়া বিচুলিহাটা এলাকায় একটি পার্লারে কাজ করি। এদিন রাতে পার্লার থেকে বেরোতেই পেছন থেকে আমার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে অমিত। আমাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে।"
ঝুমার মা জানান, মেয়ে পার্লারে কাজ করে ৷ এর আগেও আরও এক জায়গায় কাজ করত মেয়ে ৷ সেখানে গিয়েও মারধর করে কাজ ছাড়িয়ে দেয় ৷ আজকেও মেয়ের উপরে হামলা করল ৷ তাঁর দাবি, অমিতের যেন কঠিন শাস্তি হয় ৷