ETV Bharat / state

Medical Report Goof Up: হাবড়ায় সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট কেলেঙ্কারি, রামকৃষ্ণ মিশনে অনুদান 5 হাজার টাকা

author img

By

Published : Jan 14, 2023, 5:08 PM IST

একজনের রিপোর্ট অন্যজনকে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ (Habra City Scan Report Goof Up) ৷ সেই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য কমিশন ৷

SASTHYA BHAWAN
SASTHYA BHAWAN

কলকাতা, 14 জানুয়ারি: একজনের মেডিক্যাল রিপোর্ট গেল অন্যজনের কাছে । পদবি আলাদা হলেও নাম এক হয়ে যাওয়াই এই বিপত্তি ঘটে বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে অভিযোগ আসে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে৷ শুনানি শেষে এই ভুলের জন্য উত্তর 24 পরগনার (North 24 Parganas) হাবড়ার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তরফে জরিমানা দেওয়ার কথা বলা হয় ৷ তারা জানিয়েছে যে জরিমানা বাবদ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে 5 হাজার টাকা দান করবে বারাসত রামকৃষ্ণ মিশনে ৷ পরে কমিশনে সেই রশিদ জমা দেবে ৷

ঠিক কী ঘটেছিল: বীরেন্দ্রনাথ দাস নামে এক ব্যক্তি হাবড়ার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার (Diagnostic Centre) থেকে তাঁর বাবার মাথার সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করান । তাঁর বাবার নাম শান্তিরঞ্জন দাস । যেদিন রিপোর্ট দেওয়ার কথা, সেদিন ল্যাব থেকে তিনি রিপোর্ট নেন৷ সেখানেই গোলমাল ঘটে ৷ তাঁকে শান্তিরঞ্জন ঘোষের রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হয় ৷ ওই ব্যক্তিও মাথার সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করিয়েছিলেন ৷

কিন্তু তিনি খেয়াল করে দেখেননি যে রিপোর্টটা আসলে ওই নামেরই অন্য একজনের । তারপর সেই রিপোর্ট নিয়ে উনি চিকিৎসকের কাছে যান । চিকিৎসক সেই রিপোর্ট দেখে ওষুধও দেন । তিনিও দেখেননি যে রোগীর নাম বদলে গিয়েছে । পরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পক্ষ থেকেই এই ভুল প্রথম নজরে আসে ।

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (Health Commission) মনে করছে যে শান্তিরঞ্জন ঘোষ যখন রিপোর্ট নিতে এসে শান্তিরঞ্জন দাসের রিপোর্ট পান, সেই সময় এই ভুলটা ধরা পড়ে ও তিনি অভিযোগ জানান । তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সেই ভুল বুঝতে সেদিন বিকেলেই রিপোর্ট পরিবর্তন করে দেওয়া হয় ।

জানা গিয়েছে, শান্তিরঞ্জন দাসের বয়স 84 আর অন্যজনের বয়স 86 । দু’জনেরই মাথার সিটি স্ক্যান পরীক্ষা হয় । দু’জনেরই রিপোর্ট প্রায় এক বললেই চলে । চিকিৎসক খেয়াল করেননি । রোগীর ছেলেও খেয়াল করেননি । রিপোর্ট প্রায় এক বলে ওষুধেও খুব একটা ক্ষতি হয়নি । কিন্তু বড় রকমের ক্ষতি হতে পারত ।

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন কী বলল: রোগীর ছেলের রিপোর্ট দেখে নেওয়া উচিত ছিল । চিকিৎসকেরও দেখা নেওয়া উচিত ছিল । ল্যাবের পক্ষ থেকে যিনি রিপোর্ট দিয়েছেন, তিনিও ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । শুনানি চলাকালীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছিল । তাদের তরফে জানানো হয়, ক্ষতিপূরণ হিসেবে বারাসত রামকৃষ্ণ মিশনে (Barasat Ramkrishna Commission) তিনি 5 হাজার টাকা দান করবেন । সেই রশিদ কমিশনে জমা দেবেন ।

আরও পড়ুন: বয়স 77, ক‍্যানসার আক্রান্ত প্রৌঢ়ার সফল অস্ত্রোপচার বারাসত মেডিক্যালে

কলকাতা, 14 জানুয়ারি: একজনের মেডিক্যাল রিপোর্ট গেল অন্যজনের কাছে । পদবি আলাদা হলেও নাম এক হয়ে যাওয়াই এই বিপত্তি ঘটে বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে অভিযোগ আসে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে৷ শুনানি শেষে এই ভুলের জন্য উত্তর 24 পরগনার (North 24 Parganas) হাবড়ার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তরফে জরিমানা দেওয়ার কথা বলা হয় ৷ তারা জানিয়েছে যে জরিমানা বাবদ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে 5 হাজার টাকা দান করবে বারাসত রামকৃষ্ণ মিশনে ৷ পরে কমিশনে সেই রশিদ জমা দেবে ৷

ঠিক কী ঘটেছিল: বীরেন্দ্রনাথ দাস নামে এক ব্যক্তি হাবড়ার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার (Diagnostic Centre) থেকে তাঁর বাবার মাথার সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করান । তাঁর বাবার নাম শান্তিরঞ্জন দাস । যেদিন রিপোর্ট দেওয়ার কথা, সেদিন ল্যাব থেকে তিনি রিপোর্ট নেন৷ সেখানেই গোলমাল ঘটে ৷ তাঁকে শান্তিরঞ্জন ঘোষের রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হয় ৷ ওই ব্যক্তিও মাথার সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করিয়েছিলেন ৷

কিন্তু তিনি খেয়াল করে দেখেননি যে রিপোর্টটা আসলে ওই নামেরই অন্য একজনের । তারপর সেই রিপোর্ট নিয়ে উনি চিকিৎসকের কাছে যান । চিকিৎসক সেই রিপোর্ট দেখে ওষুধও দেন । তিনিও দেখেননি যে রোগীর নাম বদলে গিয়েছে । পরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পক্ষ থেকেই এই ভুল প্রথম নজরে আসে ।

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (Health Commission) মনে করছে যে শান্তিরঞ্জন ঘোষ যখন রিপোর্ট নিতে এসে শান্তিরঞ্জন দাসের রিপোর্ট পান, সেই সময় এই ভুলটা ধরা পড়ে ও তিনি অভিযোগ জানান । তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সেই ভুল বুঝতে সেদিন বিকেলেই রিপোর্ট পরিবর্তন করে দেওয়া হয় ।

জানা গিয়েছে, শান্তিরঞ্জন দাসের বয়স 84 আর অন্যজনের বয়স 86 । দু’জনেরই মাথার সিটি স্ক্যান পরীক্ষা হয় । দু’জনেরই রিপোর্ট প্রায় এক বললেই চলে । চিকিৎসক খেয়াল করেননি । রোগীর ছেলেও খেয়াল করেননি । রিপোর্ট প্রায় এক বলে ওষুধেও খুব একটা ক্ষতি হয়নি । কিন্তু বড় রকমের ক্ষতি হতে পারত ।

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন কী বলল: রোগীর ছেলের রিপোর্ট দেখে নেওয়া উচিত ছিল । চিকিৎসকেরও দেখা নেওয়া উচিত ছিল । ল্যাবের পক্ষ থেকে যিনি রিপোর্ট দিয়েছেন, তিনিও ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । শুনানি চলাকালীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছিল । তাদের তরফে জানানো হয়, ক্ষতিপূরণ হিসেবে বারাসত রামকৃষ্ণ মিশনে (Barasat Ramkrishna Commission) তিনি 5 হাজার টাকা দান করবেন । সেই রশিদ কমিশনে জমা দেবেন ।

আরও পড়ুন: বয়স 77, ক‍্যানসার আক্রান্ত প্রৌঢ়ার সফল অস্ত্রোপচার বারাসত মেডিক্যালে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.