ETV Bharat / state

গোবরডাঙায় গন্ডগোলে ধৃত 21 BJP কর্মীর জামিন

গোবরডাঙায় গন্ডগোলে জড়িত 21 BJP কর্মীকে জামিন দিল বারাসত আদালত৷ বিক্ষোভ এড়াতে এদিন সকালে ধৃতদের বারাসত আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। কর্মতীর্থে ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার রাতেই গোবরডাঙা ও হাবরা থেকে অভিযুক্ত BJP নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Barasat Court
বারাসত আদালত
author img

By

Published : Jan 21, 2020, 6:12 PM IST

বারাসত, 21 জানুয়ারি: গোবরডাঙার নকপুলের ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত 21 BJP নেতা-কর্মীকে জামিন দিল বারাসত আদালত। এদিন একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে ধৃত নেতা-কর্মীদের আদালত চত্বরে নিয়ে আসে পুলিশ ৷ BJP-র বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে ।


প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবনে মাদ্রাসা হবে এই গুজব ছড়ানোয় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোবরডাঙার নকপুল এলাকা। নবনির্মিত কর্মতীর্থে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । এরপর পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় ৷ ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে । অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে । ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল । পরে RAF ও কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় BJP-র ২১ নেতা-কর্মী ।


নকপুলের ঘটনায় গতকাল রাতেই হাবরা ও গোবরডাঙা থেকে ওই 21 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন BJP-র গোবরডাঙা মণ্ডল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় (কর), স্থানীয় মহিলা মোর্চার অবজারভার মীরা সরকার প্রমুখ ৷ যদিও BJP-র দাবি, ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই । যা হয়েছে তা সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। স্থানীয় BJP নেতাদের দাবি, দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে । এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, গন্ডগোলের ঘটনায় জড়িতদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, ভাঙচুর, অবরোধ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আজ ধৃত 21 জনকে বারাসত আদালতে তোলা হয় ৷ পরে তাদের জামিন দেয় আদালত ৷

বারাসত, 21 জানুয়ারি: গোবরডাঙার নকপুলের ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত 21 BJP নেতা-কর্মীকে জামিন দিল বারাসত আদালত। এদিন একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে ধৃত নেতা-কর্মীদের আদালত চত্বরে নিয়ে আসে পুলিশ ৷ BJP-র বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে ।


প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবনে মাদ্রাসা হবে এই গুজব ছড়ানোয় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোবরডাঙার নকপুল এলাকা। নবনির্মিত কর্মতীর্থে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । এরপর পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় ৷ ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে । অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে । ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল । পরে RAF ও কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় BJP-র ২১ নেতা-কর্মী ।


নকপুলের ঘটনায় গতকাল রাতেই হাবরা ও গোবরডাঙা থেকে ওই 21 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন BJP-র গোবরডাঙা মণ্ডল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় (কর), স্থানীয় মহিলা মোর্চার অবজারভার মীরা সরকার প্রমুখ ৷ যদিও BJP-র দাবি, ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই । যা হয়েছে তা সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। স্থানীয় BJP নেতাদের দাবি, দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে । এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, গন্ডগোলের ঘটনায় জড়িতদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, ভাঙচুর, অবরোধ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আজ ধৃত 21 জনকে বারাসত আদালতে তোলা হয় ৷ পরে তাদের জামিন দেয় আদালত ৷

Intro:কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েই গোবরডাঙার গন্ডগোলের ঘটনায় ধৃত বিজেপির ২১ নেতা ও কর্মীকে সাত সকালেই বারাসত আদালতে পেশ করল পুলিশ।বিজেপির বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে।গন্ডগোলের ঘটনায় সোমবার রাতেই গোবরডাঙা ও হাবরায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিজেপির ওই নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তার করে। Body:বারাসতঃগোবরডাঙায় গন্ডগোলের ঘটনায় ধৃত বিজেপির ২১ নেতা ও কর্মীকে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই সাত সকালে বারাসত আদালতে নিয়ে আসল পুলিশ।বিজেপির বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গন্ডগোলের ঘটনায় গতকাল রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাবরা ও গোবরডাঙা থেকে বিজেপির ২১ জন নেতা ও কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।এদের মধ্যে বিজেপির গোবরডাঙা মন্ডল সভাপতি আশিস ব্যানার্জি,তার কাউন্সিলর স্ত্রী ঝুমা ব্যানার্জিও(কর)রয়েছেন।এছাড়া বিজেপির গোবরডাঙার মহিলা মোর্চার অবজারভার মীরা সরকার,স্থানীয় বিজেপি কর্মী রাজকুমার পাল,স্বপন নন্দী,অনিল সাহা,বিশ্বনাথ সরকার,সন্দীপ ঘোষ,দুলাল দাস,সৌমিত্র দাসও আছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।বিজেপির দাবি,ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।যা হয়েছে সেটা সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।তারপরও পুলিশ মিথ্যা মামলায় দলের নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।বিজেপির অভিযোগ,২১ জনেরও বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এদের মধ্যে নিরীহ লোকজনও রয়েছে।যদিও পুলিশ জানিয়েছে,গন্ডগোলের ঘটনায় যুক্তদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় নেই।পুলিশ সূত্রে খবর,ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা,ভাঙচুর,অবরোধ,পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।এদিকে,ধৃতদের আদালতে তুলতে যাতে কোনও বাধার মুখে পড়তে না হয় কিংবা বিজেপির বিক্ষোভ এড়াতে সাত সকালেই তাদের বারাসত আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ।গাড়ি থেকে নামানোর সময় ধৃতদের মুখে জয় শ্রী রাম,ভারত মাতা কি জয় স্লোগান শোনা যায়।বেলার দিকে বারাসত আদালত চত্বরে ভিড় বাড়তে থাকে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের।তবে,অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী।

প্রসঙ্গত,রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবন নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোবরডাঙার নকপুল এলাকা।স্থানীয় বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগানোর চেষ্টা করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট,পাটকেল ছুড়তে শুরু করে।পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায়।পরে,RAF ও কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।এই ঘটনাতেই গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির ২১ জন নেতা ও কর্মীকে।Conclusion:পুলিশ এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা,তা খতিয়ে দেখছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.