গারুলিয়া, 16 সেপ্টেম্বর : কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও নৈহাটির মতই গারুলিয়া পৌরসভার চার কাউন্সিলর সম্প্রতি BJP ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে BJP ৷ আজ পৌরসভার এগজ়িকিউটিভ অফিসারের কাছে পৌরপ্রধান সুনীল সিং-এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন পৌরসভার মোট 12 জন কাউন্সিলর ৷
2010 সাল থেকে 21 ওয়ার্ড বিশিষ্ট গারুলিয়া পৌরসভা ছিল তৃণমূলের দখলে । দীর্ঘ 9 বছর পৌরপ্রধান হিসেবে কার্যভার সামলেছেন সুনীল সিং ৷ সুনীলবাবু সম্পর্কে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর ভগ্নীপতি ৷ গারুলিয়া পৌরসভায় তৃণমূলের 19, নির্দল-1, ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন কাউন্সিলর ছিলেন । সম্প্রতি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন BJP-র অর্জুন সিং ৷ তারপরই কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর, ভাটপাড়া পৌরসভায় পালা বদল হয় । অধিকাংশ তৃণমূল কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদান করেন ৷ ফলে ওই সমস্ত পৌরসভাগুলি BJP-র দখলে চলে যায় । গারুলিয়া পৌরসভায় তৃণমূলের 19 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 12 জন BJP-তে যোগদান করেছিল ৷ ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে গারুলিয়া পৌরসভার দখল নিয়েছিল BJP ৷ পৌরপ্রধান সুনীল সিং-ও BJP-তে চলে যান ৷ সম্প্রতি BJP-তে ছেড়ে চার কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন ৷ ফলে BJP সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় । BJP-র কাউন্সিলর কমে দাঁড়ায় 8-এ ৷ তৃণমূলের কাউন্সিলর বেড়ে দাঁড়ায় 12 ও ফরওয়ার্ড ব্লকের 1 জন । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজ গারুলিয়া পৌরসভার এগজ়িকিউটিভ অফিসারের কাছে পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের 12 কাউন্সিলর ।
এখন পৌরপ্রধানের হাতে 15 দিন রয়েছে । এই সময়সীমার মধ্যে যদি আস্থা অর্জন করতে পারলে বোর্ড BJP-র থেকে যাবে । আর তা না হলে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে ৷
এ বিষয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় সিং বলেন, "যারা BJP-তে গেছিলেন তাঁরা মানুষের কাছে যেতে পারছেন না ৷ কারণ BJP-র কোন কাজটা আছে যেটা দেখিয়ে মানুষের কাছে যাবেন ? অন্যদিকে দিদি অনেক কাজ করেছেন ৷ যার বাড়িতে যাবেন, তাঁকে বলতে পারবেন যে দিদি এই কাজটা করেছেন ৷ তাই ওঁরা BJP-র হয়ে কাজ করতে পারছেন না বলে ফিরে এসেছেন ৷"
অন্যদিকে পৌরপ্রধান সুনীল সিং বলেন, "19 জন কাউন্সিলরই যদি BJP-তে যোগাদন করেন তাহলে আগামীদিনে পৌরসভা BJP-র দখলে আসবে ৷"