মধ্যমগ্রাম, 18 ডিসেম্বর: বড়সড় সাফল্য! পাচারের আগেই চিতাবাঘের ছাল (চামড়া) সমেত ভিনরাজ্যের তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করল বন দফতর । ধৃতদের নাম বিশ্বেশ্বর বাগ, উপেন্দ্র বাগ এবং রাজেন বাগ । সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসাতের মধ্যমগ্রাম চৌমাথা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই তিন পাচারকারীকে ধরে ফেলেন আধিকারিকরা । তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে চিতাবাঘের একটি চামড়া। যেটির বাজারমূল্য প্রায় 20 লক্ষ টাকা।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ওড়িশায় । এদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের কোনও যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিতাবাঘের চামড়ার ভীষণ চাহিদা রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে । সম্ভবত সেই কারণেই এই তিন পাচারকারী বাঘের ছাল পাচার করার চেষ্টা করছিল ৷ পরিকল্পনা ছিল নেপালে অথবা বাংলাদেশে ছালটি পাচার করে দেওয়ার।
কিন্তু, তার আগেই সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বন দফতরের তৎপরতায়। এই তিন পাচারকারীর জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে হানা দেয় বন দফতর ৷ এসপি ফরেস্ট প্রোডাকশনের নেতৃত্বে জেলা বন দফতরের একটি টিম হাতেনাতে পাকড়াও করে ভিন রাজ্যের তিন পাচারকারীকে। প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন, ওড়িশার কোনও জঙ্গলে এই চিতাবাঘটিকে শিকার করা হয়ে থাকতে পারে । তারপর বাঘটির চামড়া পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল এখানে ।
চিতাবাঘের চামড়া দেখে তদন্তকারীদের সন্দেহ পাঁচ থেকে ছ'মাস আগে শিকার করা হয়েছে বাঘটিকে । বাজেয়াপ্ত হওয়া এই চিতাবাঘের ছালটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ছয় ফুট । শিকার হওয়া এই চিতাবাঘের বয়স কিংবা ছালটি কতদিনের পুরোনো, তা জানতে সেটি পাঠানো হবে জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দফতরে । এদিকে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা ৷ অন্যদিকে,ধৃত তিন পাচারকারীকে সোমবার দুপুরে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 12 দিনের বন দফতরের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ।
আরও পড়ুন: