বারাসত, 19 এপ্রিল : দমকল কর্মীদের যুদ্ধকালীন প্রচেষ্টায় অবশেষে প্রায় 26 ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এল বারাসতের সরকারি স্বাস্থ্য দফতরের গুদামের আগুন । তবে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে গুদামে রাখা করোনা কিট সহ বহু মূল্যমান ওষুধপত্র ৷ নষ্ট হয়েছে মাস্ক , স্যানিটাইজারও । ঠিক কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ।
বারাসত কিশলয় হোমের ঠিক উল্টোদিকে উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-2 এর কার্যালয় । তার পাশেই রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের সরকারি গুদাম । শুক্রবার রাত একটা নাগাদ আগুন লাগে সেই গুদামে । প্রচুর ওষুধপত্র মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে । প্রথমে স্থানীয় একটি বস্তির লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন । কিন্তু আগুনের বিভীষিকায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় । এরপর তাঁরা দমকলে খবর দেন ৷ খবর পেয়ে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় । আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের অন্তত 67 জন কর্মী হাত লাগায় । শেষ পর্যন্ত তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় শনিবার বিকেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় । আগুনে করোনার বিভিন্ন সরঞ্জাম , প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ক্ষতি হয়েছে ঠিকই । তবে, করোনা ভ্যাকসিন পাশের বিল্ডিংয়ে মজুত থাকা সত্ত্বেও আগুনে সেখানে কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে।
এই বিষয়ে বারাসতের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ঠিক কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় । ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে । রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে । "
আরও পড়ুন : ফের লকডাউনের ভ্রুকুটি, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা
দমকলের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান শটসার্কিট থেকে কোনওভাবে আগুন লেগে থাকতে পারে । তবে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এই ঘটনার ফলে আগুনে পুড়ে বহু মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জেলার হাসপাতালগুলিতে ওষুধের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । তবে সেই পরিস্থিতি এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে যাতে ওষুধ সরবরাহ করা যায় , সেই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে অবগত করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ।