বসিরহাট, 2 সেপ্টেম্বর: চন্দ্রযান 3-এর পর আদিত্য এল-ওয়ান। ইসরোর সৌর অভিযানেও নাম জুড়ল বাংলার কৃতি সন্তান জয়ন্ত পালের। ইসরোর সৌর অভিযানের অন্যতম কারিগর তিনি। চন্দ্রযান-3 এর সাফল্যের ক্ষেত্রেও ইসরোর এই বিজ্ঞানীর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তাই আজ, শনিবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকেই ইসরো-র আদিত্য এল-ওয়ান মিশনের সাফল্য কামনা করেন।
সকাল থেকেই টিভি-তে চোখ রেখে বসেছিলেন জয়ন্তর বাবা অর্ধেন্দু পাল ও মা আলপনা পাল। জয়ন্তর নাম একদিনে দেশ তথা বিশ্ব যেন জানতে পারে সেটাই চাইছেন পরিবারের সকলে। এদিন সকাল 11টা 50 মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে 'আদিত্য এল-ওয়ান'-এর উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইসরো। যা সফলভাবেই হয়েছে বলে খবর। উত্তর 24 পরগনার বাদুড়িয়ার রামচন্দ্রপুরের ছেলে জয়ন্ত পাল। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী।
জয়ন্ত'র বাবা অর্ধেন্দু পাল পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। আর্থিক আনুকুল্য তেমন ছিল না কোনওদিনই। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ছেলের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁর মা, আলপনা পাল ছেলেকে শিক্ষার পথ থেকে সরে যেতে দেননি কখনও। আজ একের পর এক অভিযানে জয়ন্ত'র নামজুড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই গর্বিত পাল পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, 2018 সালে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে নিযুক্ত হন জয়ন্ত। 2019 সালে চন্দ্রযান 2-এর সময়েও অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।
সেই অভিযান পুরোপুরি সফল না-হলেও, সাফল্য এসেছে 2023-এ। চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান 3। আর সেই অভিযানের টিমেও অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার জয়ন্ত পাল। আর এবার সূর্যযান। এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে গ্রামবাসী সকলেই এদিন ফুল ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় জমান পাল বাড়িতে। জয়ন্ত'র পরিবার জানান, আদিত্য এল-ওয়ান মিশনের জন্য দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন তিনি।সেই পরিশ্রমের সুফল এসেছে এদিন। আপাতত জয়ন্ত'র ঘরে ফেরার অপেক্ষা করছেন পরিবারের সদস্যরা। তখন জয়ন্ত'র এই কৃতিত্ব যে পাল পরিবার ভাগ করে নেবেন তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: গন্তব্য সূয্যিমামার দেশ, মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর আদিত্য-এল 1