শাসন, 1 ডিসেম্বর : বারাসত দু'নম্বর ব্লকের শাসনে "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" কর্মসূচির সূচনা করলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা । আজ শাসনের চৌমা হাইস্কুলে বিশেষ শিবির খুলে উপভোক্তাদের হাতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা তুলে দেওয়া হয় । শোনা হয় তাঁদের অভাব অভিযোগের কথাও । শিবিরে জেলাশাসকের সঙ্গে হাজির ছিলেন জেলাপরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি) ইউনুস রিচিন ইসমাইল,স্থানীয় BDO অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোয়ারা বিবি, BLRO শর্মিষ্ঠা বন্দোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ।
গোটা রাজ্যের সঙ্গে আজ উত্তর 24পরগনা জেলাতেও শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" কর্মসূচি । সরকারি প্রায় 12টি প্রকল্প সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতেই এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও ভোটের আগে রাজনীতি করতেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের । যদিও সেই অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ শাসকদল । বরং তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির রূপায়ণ করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন । সাধারণ মানুষকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে । যার ব্যতিক্রম নয় বারাসত দু'নম্বর ব্লকের শাসনও । এখানে চৌমা হাইস্কুলে বিশেষ শিবির খুলে সরকারি পরিষেবা প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে । যা চলবে আগামী প্রায় দু-মাস ।
এই বিষয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন,"মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের কর্মসূচির ভাবনা সত্যিই অনন্য । আমরা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর । শাসনের শিবিরে যেভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে মানুষের উন্মাদনা দেখা গিয়েছে তাতে আমরা সত্যিই উৎসাহিত ।"
বিষয়টি নিয়ে জেলাপরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন,"মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচির কোনও বিকল্প হবে না । তিনি যেভাবে একের পর এক সরকারি প্রকল্প সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তা এককথায় অনবদ্য । ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে । তাও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচির সুবিধা পেতে কারওর কোনও সমস্যা হলে সরকারি আধিকারিক কিংবা জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেন তিনি ।"
সরকারি এই কর্মসূচি নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির । এই বিষয়ে BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সরকার ও তৃণমূল পার্টি এখন একাকার হয়ে গেছে । কোনটা সরকারের কর্মসূচি । আর কোনটা তৃণমূলের কর্মসূচি তা বোঝাই এখন দায় । মানুষকে আরও একবার ধোকা দিতেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে । এসব করে খুব একটা সুবিধা হবেনা শাসকদলের ।"