নিউ টাউন, 31 অক্টোবর: "প্রশাসনের সতর্ক থাকা উচিত ছিল ৷" একথা বলেও গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ের (Gujarat Bridge Tragedy) দায় থেকে সংশ্লিষ্ট সরকার ও কর্তৃপক্ষকে কার্যত আড়াল করার চেষ্টা করলেন বিজেপির সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ এমনকী, এই প্রসঙ্গে টেনে আনলেন বেশ কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া কলকাতার পোস্তায় নির্মীয়মান সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা থেকে শুরু করে সিওলের হ্যালোইন পার্টিতে বহু মানুষের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও !
ছটপুজো চলাকালীন রবিবার সন্ধে সাড়ে 6টা নাগাদ গুজরাতের মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীর উপর শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়ে ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় কমপক্ষে 140 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আহত অসংখ্য ৷ ভোটমুখী গুজরাতে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি ৷ আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ৷ শোনা যাচ্ছে, ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই সেতু মেরামতের জন্য সদ্য 2 কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল ! প্রশ্ন উঠছে, সেই টাকা আদৌ সংস্কারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল তো ? নাকি, সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন অন্য কেউ ?
আরও পড়ুন: গুজরাতে ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু বর্ধমানের যুবকের
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে ৷ কাটমানি তত্ত্ব তুলে ধরে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এই বিষয়ে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই সেতু কবে, কোন আমলে তৈরি হয়েছিল, তা তৃণমূলের নেতারা জানেন না বলেই কাটমানির কথা বলছেন ৷ তাঁর বক্তব্য, যাঁরা নিজেরা কাটমানি নিয়ে সারাক্ষণ কাজ করেন ৷ তাঁরা সব জায়গাতেই কাটমানি দেখবেন ৷ এটাই স্বাভাবিক ৷
দিলীপের আরও অভিযোগ, "রাজ্য রাজনীতিতে কিছু মানুষ সবসময়েই ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করেন ৷ তাঁরাই এমনটা করছেন ৷ ব্রিজ তো দক্ষিণ কোরিয়াতেও ভাঙে ৷ কলকাতাতেও ভাঙে ৷ যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে ৷ তবে, এটা ঠিক যে প্রশাসনের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল ৷" প্রসঙ্গত, গুজরাতে সেতু ভাঙা নিয়ে গুজরাত সরকারের মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতাদের মুখেও বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ শোনা গিয়েছে ৷ দিলীপও কার্যত একই সুরে কথা বললেন ৷ আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, হ্যালোইনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ব্রিজ ভাঙার কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ সেখানে একটি সরু গলির মধ্যে অসংখ্য মানুষের ভিড় বেলাগাম হয়ে পড়ায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৷