মধ্যমগ্রাম, 24 ফেব্রুয়ারি: 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে সরকারের ৷ তার ফলে সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমপরিমাণ হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না ৷ শুক্রবার উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (DA Pending Due to Lakshmir Bhandar Likes Project) ৷ ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের লাগাতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি জানান, সকলকে একসঙ্গে সন্তুষ্ট করা যায় না ৷ তিনি জানান, কেন্দ্র যেগুলি দেয় না ৷ সেই প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকার দেয় ৷
চিরঞ্জিতের কথায়, ‘‘সকলকে তো আর সন্তুষ্ট করা যায় না ৷ আমাদের এখন প্রত্যেকের বাড়ি যেতে হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৷ সেই প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের টাকা লাগছে ৷ ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) যেগুলো দেয় না ৷ সেগুলো আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিই ৷ সেই কারণে বাজেটের একটা অংশের টাকা ওদিকে (সামাজিক প্রকল্প) চলে যাচ্ছে । তাই আমরা ডিএ-র পুরোটা দিতে পারছি না ৷’’
এরপরেই ডিএ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তোলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷ ফের উঠে আসে কেন্দ্রের কাছে 95 হাজার কোটি টাকা বকেয়ার প্রসঙ্গ ৷ তিনি জানান, কেন্দ্র সেই 95 হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দিলেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে ৷ তাহলে কি 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-প্রকল্পের বিপুল টাকা বরাদ্দের জন্যই ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না সরকারি কর্মচারীদের ? তা মেনে নিয়েছেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেকটা তাই !’’
আরও পড়ুন: প্রযোজককে ধরে পরিচালক বদলের চেষ্টা, 'অচেনা উত্তম' থেকে বাদ পড়েছিলেন হৈমন্তী
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুখ খুলে এদিন তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক । তৃণমূলে দুর্নীতিবাজদের থেকে সৎ লোকের সংখ্যা বেশি বলে দাবি করেন তিনি ৷ তৃণমূলের সৎ নেতা ও কর্মীদের চেষ্টাতেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প সফল হচ্ছে বলে দাবি করেন বারাসতের বিধায়ক ৷ এখানেও প্রশ্ন, সরকারি প্রকল্প যদি তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা পৌঁছে দেন, তাহলে সরকারি কর্মচারীরা কী করছেন ?
অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে বাগদার 'রঞ্জন' ওরফে চন্দন মণ্ডলের নতুন কীর্তি ফাঁস হওয়ার পরেই এ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ ঘোষ ৷ সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিযোগ যে কেউ করতে পারেন ৷ তার মানে এই নয় যে তা প্রমাণিত ৷’’