কলকাতা, 1 জুলাই: কাটমানির বিনিময়েই প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও হাইস্কুলে প্রায় 200 জনের চাকরি হয়েছে। শিক্ষাদপ্তরের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বাগদার বিধায়ক দুলাল বর । তাঁর দাবি, বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে জানানোর পরেও এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি, তৃণমূল নেত্রী দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে নজরুল মঞ্চে একটি বৈঠক করেন । সেখানেই তিনি দলীয় কাউন্সিলরদের কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন । এর পর থেকেই কাটমানি ইশুতে রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। তৃণমূল কর্মীদের কাটমানি প্রসঙ্গে দুলাল বাবু বলেন, "বাগদা বিধানসভার রামনগর গ্রামের জনৈক চন্দন মণ্ডল সাত থেকে 14 লাখ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও হাইস্কুলে অনেক ব্যক্তিকেই চাকরি দিয়েছেন । যদিও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ নেই।"
চাকরি পাওয়ার মূল শর্তই হল টাকা, এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ''এই বিধানসভায় ন্যূনতম 200 জনের চাকরি হয়েছে । চাকরি দেওয়ার নাম করে কাটমানি নিয়েছে চন্দন মণ্ডল।" দুলালবাবু বলেন, এই বিষয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি । বিষয়টি শুনে মুখ্যমন্ত্রী নীরব ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বলে জানান বাগদার বিধায়ক।
দুলাল বাবু আরও জানান, কাটমানি কাণ্ডে অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডলের বাড়ির কালীপুজো উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগদার বিধায়কের আরও অভিযোগ, চন্দন মণ্ডল শাসকদলের তহবিলে 50 হাজার টাকা দিয়ে সদস্যপদ নেওয়ায় দল কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এরই পাশাপাশি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন বিধায়ক । তিনি বলেন, "সাংবাদিকরা আছেন বলেই বিরোধীরা বেঁচে আছেন । অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর এ বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।"