ETV Bharat / state

ত্রাণ বণ্টন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বোমাবাজিতে উত্তপ্ত দেগঙ্গা

author img

By

Published : Jun 16, 2020, 8:49 PM IST

দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মিন্টু সাহাজী ও তৃণমূল যুবর সভাপতি আনিসুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে বলে অভিযোগ । সেই বিবাদ থেমে থাকেনি আমফানের ত্রাণ বণ্টনেও । গতকাল আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেগঙ্গা । চলে বোমাবাজি ।

TMC
TMC

দেগঙ্গা, 16 জুন : আমফানের ত্রাণ বণ্টন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা । তৃণমূল যুব কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে । রাতভর দফায় দফায় চলে বোমাবাজি । তৃণমূল যুবর এক কর্মীর বাড়ির সামনে বোমা রাখা হয় । আজ সকালে সেখান থেকে কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ । ঘটনায় দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে । তদন্ত শুরু হয়েছে ।

অভিযোগ, দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মিন্টু সাহাজী ও তৃণমূল যুবর সভাপতি আনিসুর রহমানের বিবাদ দীর্ঘদিনের । সেই বিবাদ থেমে থাকেনি আমফানের ত্রাণ বণ্টনেও ।কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ চলছিল । অভিযোগ, বিবাদ চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকবার হাতাহাতি ও মারপিট হয় । গতকালও এই নিয়ে একপ্রস্থ বচসা হয় । সেইসময় বিষয়টি বেশি দূর এগোয়নি । কিন্তু রাত বাড়তেই আরও ভয়ানক চেহারা নেয় বিবাদ । তৃণমূল যুবর সভাপতির কয়েকজন অনুগামীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি চলে । অভিযোগের তির ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে । রাতভর দফায় দফায় চলে বোমাবাজি । যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা এক নম্বর পঞ্চায়েতের সিংয়ের আঁটি এলাকায় । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা ।

আজ সকালে এলাকার তৃণমূল যুবর কর্মী মিরাজ়উদ্দিন মণ্ডলের বাড়ির সামনে বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায় । যা ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে । খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে যায় । কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে । সেগুলি পুলিশের তরফে নিষ্ক্রিয় করা হয় । এই বিষয়ে মিরাজ়উদ্দিন বলেন, "কয়েকদিন ধরে এলাকায় বোমাবাজি করছে ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীরা । এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে তারা । ওদের দাদাগিরিতে এলাকার বাসিন্দারাও অতিষ্ঠ । এর প্রতিকার চাইছি আমরা । সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে ।”

আজ দুপুরে দেগঙ্গা থানায় দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে । অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ । দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে । ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হবে ।

দেগঙ্গার ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির । BJP-এর বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে মানুষ আজ অতিষ্ঠ । মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ চাইছে । সব জায়গাতেই এলাকার দখলদারি, সিণ্ডিকেটের কর্তৃত্ব, তোলা নিয়ে গন্ডগোল হচ্ছে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে । দেগঙ্গাতেও আমফানের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল বলে জানতে পেরেছি । এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে । তার জেরেই এই বোমাবাজির ঘটনা ।”

মিন্টু সাহাজীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে BJP-র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা এ কে এম ফারহাদ ।তাঁর পালটা জবাব, "তৃণমূল দল নিয়ে BJP-কে বেশি মাথা ঘামাতে হবে না । ওরা বরং নিজেদের দলের মধ্যে কী চলছে তাই নিয়ে বেশি ভাবুক । আমাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একজন লড়াকু নেত্রী রয়েছেন । তিনি তাঁর দলে কোনও অনৈতিক কাজ বরদাস্ত করেন না । আগামীদিনেও করবেন না । আমফানের ত্রাণ সঠিক পদ্ধতিতেই বণ্টন হচ্ছে সব জায়গায় । তাই দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। "

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিদ্যুৎ সংযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শাসনের চোলপুর ও মাগরি গ্রাম । সেখানেও দু'পক্ষের মধ্যে রাতভর বোমাবাজি চলে। এবার শাসন লাগোয়া দেগঙ্গাতেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল । যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসকদলের অভ্যন্তরে ।

দেগঙ্গা, 16 জুন : আমফানের ত্রাণ বণ্টন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা । তৃণমূল যুব কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে । রাতভর দফায় দফায় চলে বোমাবাজি । তৃণমূল যুবর এক কর্মীর বাড়ির সামনে বোমা রাখা হয় । আজ সকালে সেখান থেকে কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ । ঘটনায় দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে । তদন্ত শুরু হয়েছে ।

অভিযোগ, দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মিন্টু সাহাজী ও তৃণমূল যুবর সভাপতি আনিসুর রহমানের বিবাদ দীর্ঘদিনের । সেই বিবাদ থেমে থাকেনি আমফানের ত্রাণ বণ্টনেও ।কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ চলছিল । অভিযোগ, বিবাদ চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকবার হাতাহাতি ও মারপিট হয় । গতকালও এই নিয়ে একপ্রস্থ বচসা হয় । সেইসময় বিষয়টি বেশি দূর এগোয়নি । কিন্তু রাত বাড়তেই আরও ভয়ানক চেহারা নেয় বিবাদ । তৃণমূল যুবর সভাপতির কয়েকজন অনুগামীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি চলে । অভিযোগের তির ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে । রাতভর দফায় দফায় চলে বোমাবাজি । যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা এক নম্বর পঞ্চায়েতের সিংয়ের আঁটি এলাকায় । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা ।

আজ সকালে এলাকার তৃণমূল যুবর কর্মী মিরাজ়উদ্দিন মণ্ডলের বাড়ির সামনে বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায় । যা ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে । খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে যায় । কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে । সেগুলি পুলিশের তরফে নিষ্ক্রিয় করা হয় । এই বিষয়ে মিরাজ়উদ্দিন বলেন, "কয়েকদিন ধরে এলাকায় বোমাবাজি করছে ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীরা । এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে তারা । ওদের দাদাগিরিতে এলাকার বাসিন্দারাও অতিষ্ঠ । এর প্রতিকার চাইছি আমরা । সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে ।”

আজ দুপুরে দেগঙ্গা থানায় দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে । অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ । দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে । ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হবে ।

দেগঙ্গার ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির । BJP-এর বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে মানুষ আজ অতিষ্ঠ । মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ চাইছে । সব জায়গাতেই এলাকার দখলদারি, সিণ্ডিকেটের কর্তৃত্ব, তোলা নিয়ে গন্ডগোল হচ্ছে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে । দেগঙ্গাতেও আমফানের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল বলে জানতে পেরেছি । এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে । তার জেরেই এই বোমাবাজির ঘটনা ।”

মিন্টু সাহাজীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে BJP-র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা এ কে এম ফারহাদ ।তাঁর পালটা জবাব, "তৃণমূল দল নিয়ে BJP-কে বেশি মাথা ঘামাতে হবে না । ওরা বরং নিজেদের দলের মধ্যে কী চলছে তাই নিয়ে বেশি ভাবুক । আমাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একজন লড়াকু নেত্রী রয়েছেন । তিনি তাঁর দলে কোনও অনৈতিক কাজ বরদাস্ত করেন না । আগামীদিনেও করবেন না । আমফানের ত্রাণ সঠিক পদ্ধতিতেই বণ্টন হচ্ছে সব জায়গায় । তাই দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। "

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিদ্যুৎ সংযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শাসনের চোলপুর ও মাগরি গ্রাম । সেখানেও দু'পক্ষের মধ্যে রাতভর বোমাবাজি চলে। এবার শাসন লাগোয়া দেগঙ্গাতেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল । যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসকদলের অভ্যন্তরে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.