ETV Bharat / state

লকডাউন বাড়লেও সচেতনতা সেই তিমিরেই, বারাসতের বাজারে উপচে পড়া ভিড়

লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে তবুও সচেতনতা বাড়েনি মানুষের মধ্যে । বারাসতের বাজারগুলিতে নজরে এল উপচে পড়া ভিড় । সামাজিক দূরত্ব মানতেও দেখা গেল না কাউকে ।

aa
বারাসত বাজার
author img

By

Published : Apr 12, 2020, 3:30 PM IST

Updated : Apr 13, 2020, 5:39 PM IST

বারাসত, 12 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণ রুখতে গতকালই রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তা বাড়িয়ে করা হয়েছে 30 এপ্রিল পর্যন্ত । লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পরও সাধারণ মানুষের হুঁশ ফিরল কই? কোথায় পালটেছে ছবিটা? অন্তত জেলা সদর বারাসতের ছবি দেখে বোঝাই দায় যে রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে । পুরানো অভ্যাস মতোই ভিড় করে চলল বাজার করা । তারপরেই প্রশ্নগুলি মাথাচাড়া দিচ্ছে আরও বেশি করে । বাজারে কেনাকাটার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঠিক উলটো ছবিই ধরা পড়ল উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতের বাজারগুলিতে ।

অনেকের মধ্যেই যেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের "থোড়াই কেয়ার" ভাব । কর্ণপাতই করছেন না সেসব কথায় । বারাসতের বেশিরভাগ বাজারে চোখে পড়ল উপচে পড়া ভিড় । সজাগ হওয়ার বদলে একে অপরের গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই বাজার করতে ব্যস্ত ছিলেন ক্রেতারা । সবজি বাজার থেকে শুরু করে মাছের বাজার সব জায়গাতেই একই দৃশ্য । সজাগ হওয়া তো দূরের কথা,সামাজিক দূরত্বটুকুও বজায় রাখছেন না তাঁরা । আর এর ফল ভয়ানক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক মহলের তরফে । এর থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।

লকডাউনের জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধে না হয় সেই জন্য মুদি দোকান, বাজারসহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবাকে সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি, কোরোনা সংক্রমণ রুখতে পারস্পরিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন । কিন্তু, তারপরও মানুষ সচেতন না হওয়ায় নিজে রাস্তায় নেমে এই বিষয়ে হাতেকলমে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান । নির্দেশ দিয়েছিলেন কোরোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে । আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঠিক উলটো ছবি ধরা পড়েছে বারাসতের 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হাউজ়িং বাজারে ।

ওই এলাকার জাতীয় সড়কের পাশেই সবজি ও মাছের বাজার বসে । আজ সকাল হতেই দেখা গেল বাজার ভিড়ে ঠাসা । মানুষজন বেরিয়ে পড়েছেন উৎসবের মেজাজে বাজার করতে । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূর, অনেকে আবার সামান্য সুরক্ষাটুকু না নিয়েই চলে এসেছেন বাজার করতে । এভাবে গা ঘেঁষাঘেষি করে বাজার করা আখেরে বিপদ ডেকে আনবে না তো? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও প্রশাসনের সতর্কতামূলক প্রচারের পরও কবে মানুষের সচেতনতা ফিরবে ? এসব প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলকে । একই ছবি দেখা গেছে কাছারি মাঠ সংলগ্ন বাজার, হেলাবটতলা বাজার ও হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন বাজারেও ।

যদিও, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার দায় ক্রেতাদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন ব্যবসায়ীরা । তাঁদের কথায়, "সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করার কথা বারবার বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । কিন্তু, তারপরও কানে ঢুকছে না তাঁদের সেকথা । কতবার আর মানুষকে বলব? যাঁরা বোঝার তাঁদের দু'বার আর বলতে লাগে না । নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন । আর অনেকে আছেন কথাই শুনছেন না ।" গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে গতকালই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে আগামী দু'সপ্তাহ রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী । তারপরই মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন ।

বারাসত, 12 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণ রুখতে গতকালই রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তা বাড়িয়ে করা হয়েছে 30 এপ্রিল পর্যন্ত । লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পরও সাধারণ মানুষের হুঁশ ফিরল কই? কোথায় পালটেছে ছবিটা? অন্তত জেলা সদর বারাসতের ছবি দেখে বোঝাই দায় যে রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে । পুরানো অভ্যাস মতোই ভিড় করে চলল বাজার করা । তারপরেই প্রশ্নগুলি মাথাচাড়া দিচ্ছে আরও বেশি করে । বাজারে কেনাকাটার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঠিক উলটো ছবিই ধরা পড়ল উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতের বাজারগুলিতে ।

অনেকের মধ্যেই যেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের "থোড়াই কেয়ার" ভাব । কর্ণপাতই করছেন না সেসব কথায় । বারাসতের বেশিরভাগ বাজারে চোখে পড়ল উপচে পড়া ভিড় । সজাগ হওয়ার বদলে একে অপরের গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই বাজার করতে ব্যস্ত ছিলেন ক্রেতারা । সবজি বাজার থেকে শুরু করে মাছের বাজার সব জায়গাতেই একই দৃশ্য । সজাগ হওয়া তো দূরের কথা,সামাজিক দূরত্বটুকুও বজায় রাখছেন না তাঁরা । আর এর ফল ভয়ানক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক মহলের তরফে । এর থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।

লকডাউনের জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধে না হয় সেই জন্য মুদি দোকান, বাজারসহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবাকে সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি, কোরোনা সংক্রমণ রুখতে পারস্পরিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন । কিন্তু, তারপরও মানুষ সচেতন না হওয়ায় নিজে রাস্তায় নেমে এই বিষয়ে হাতেকলমে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান । নির্দেশ দিয়েছিলেন কোরোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে । আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঠিক উলটো ছবি ধরা পড়েছে বারাসতের 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হাউজ়িং বাজারে ।

ওই এলাকার জাতীয় সড়কের পাশেই সবজি ও মাছের বাজার বসে । আজ সকাল হতেই দেখা গেল বাজার ভিড়ে ঠাসা । মানুষজন বেরিয়ে পড়েছেন উৎসবের মেজাজে বাজার করতে । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূর, অনেকে আবার সামান্য সুরক্ষাটুকু না নিয়েই চলে এসেছেন বাজার করতে । এভাবে গা ঘেঁষাঘেষি করে বাজার করা আখেরে বিপদ ডেকে আনবে না তো? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও প্রশাসনের সতর্কতামূলক প্রচারের পরও কবে মানুষের সচেতনতা ফিরবে ? এসব প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলকে । একই ছবি দেখা গেছে কাছারি মাঠ সংলগ্ন বাজার, হেলাবটতলা বাজার ও হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন বাজারেও ।

যদিও, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার দায় ক্রেতাদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন ব্যবসায়ীরা । তাঁদের কথায়, "সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করার কথা বারবার বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । কিন্তু, তারপরও কানে ঢুকছে না তাঁদের সেকথা । কতবার আর মানুষকে বলব? যাঁরা বোঝার তাঁদের দু'বার আর বলতে লাগে না । নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন । আর অনেকে আছেন কথাই শুনছেন না ।" গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে গতকালই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে আগামী দু'সপ্তাহ রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী । তারপরই মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন ।

Last Updated : Apr 13, 2020, 5:39 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.