ETV Bharat / state

কর্মতীর্থ প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্তি, গোবরডাঙায় ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ - গোবরডাঙা

কর্মতীর্থ ভবন নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙা থানার নকপুল এলাকা ৷

clash-between-police-and-people gobordanga
রণক্ষেত্র গোবরডাঙা
author img

By

Published : Jan 21, 2020, 4:18 AM IST

Updated : Jan 21, 2020, 6:30 AM IST

গোবরডাঙা , 21 জানুয়ারি : রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবন নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙা থানার নকপুল এলাকা ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগানোর চেষ্টা করে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ৷ কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় ৷ পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, "পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও র‍্যাফ ৷ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে ।"

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গোবরডাঙা থানার হাবড়া 1 নম্বর ব্লকের বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চয়েতের বাসিন্দা নির্মলা দাস । কয়েক বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয় । তাঁর 58 শতক জমি ছিল । প্রায় 22 বছর আগে নির্মলা দাস জীবিত অবস্থাতেই বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে তাঁর 58 শতক জমি দান করেছিলেন । স্থানীয়দের দাবি, ওই জমিতে তিনি বাজার ও মন্দির নির্মাণের কথা বলে গিয়েছিলেন । দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা 58 শতকের ওই ফাঁকা জমিটি সম্প্রতি উন্নয়নের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেয় বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত । সেই মতো সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় 2019 সালে ওই জমিতে কর্মতীর্থ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল । বর্তমানে কাজ প্রায় শেষের পথে । সামনে গেট তৈরির কাজ চলছে । প্রায় চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ।

গত সপ্তাহে সেখানে সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড লাগানো হয় । ওই বোর্ড দেখেই এলাকার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায় । গতকাল স্থানীয়দের একাংশ কর্মতীর্থের সামনে মছলন্দপুর-গাইঘাটা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । অন্যদিকে নকপুল লাগোয়া বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেও জড়ো হয় কয়েকজন । কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস সে সময় তালাবন্ধ ছিল ৷ কেউ না থাকায় তারা ফিরে আসে কর্মতীর্থের সামনে ৷ অভিযোগ, এর পরই কর্মতীর্থে তারা ভাঙচুর চালায় ৷ এমনকী ভবনের একটি দরজায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করে ৷ রাস্তায় টায়ার জড়ো করে তাতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷


খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় ৷ ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ । পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে ৷ তিন রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় ।

এ প্রসঙ্গে বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অসিত কুমার নাগ বলেন, "সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় কর্মতীর্থ হচ্ছে । ওখানে 80 জন বেকার যুবক দোকান পাবেন । তাছাড়া সভা সমিতি করার জন্য অডিটোরিয়াম থাকবে । কর্মতীর্থ প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে । কিন্তু ওই বোর্ড লাগানোর পর BJP-র লোকেরা গুজব ছড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে । হাবরা 1 নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, "স্থানীয় BJP-র লোকজন বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে স্থানীয়দের খেপিয়ে তুলেছে । আজকের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ ।

অন্যদিকে BJP-র হাবড়া উত্তর গ্রামীণ 1 নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ মল্লিক বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই । সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পুলিশ নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়েছে । "

গোবরডাঙা , 21 জানুয়ারি : রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবন নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙা থানার নকপুল এলাকা ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগানোর চেষ্টা করে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ৷ কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় ৷ পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, "পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও র‍্যাফ ৷ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে ।"

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গোবরডাঙা থানার হাবড়া 1 নম্বর ব্লকের বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চয়েতের বাসিন্দা নির্মলা দাস । কয়েক বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয় । তাঁর 58 শতক জমি ছিল । প্রায় 22 বছর আগে নির্মলা দাস জীবিত অবস্থাতেই বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে তাঁর 58 শতক জমি দান করেছিলেন । স্থানীয়দের দাবি, ওই জমিতে তিনি বাজার ও মন্দির নির্মাণের কথা বলে গিয়েছিলেন । দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা 58 শতকের ওই ফাঁকা জমিটি সম্প্রতি উন্নয়নের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেয় বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত । সেই মতো সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় 2019 সালে ওই জমিতে কর্মতীর্থ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল । বর্তমানে কাজ প্রায় শেষের পথে । সামনে গেট তৈরির কাজ চলছে । প্রায় চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ।

গত সপ্তাহে সেখানে সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড লাগানো হয় । ওই বোর্ড দেখেই এলাকার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায় । গতকাল স্থানীয়দের একাংশ কর্মতীর্থের সামনে মছলন্দপুর-গাইঘাটা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । অন্যদিকে নকপুল লাগোয়া বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেও জড়ো হয় কয়েকজন । কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস সে সময় তালাবন্ধ ছিল ৷ কেউ না থাকায় তারা ফিরে আসে কর্মতীর্থের সামনে ৷ অভিযোগ, এর পরই কর্মতীর্থে তারা ভাঙচুর চালায় ৷ এমনকী ভবনের একটি দরজায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করে ৷ রাস্তায় টায়ার জড়ো করে তাতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷


খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় ৷ ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ । পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে ৷ তিন রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় ।

এ প্রসঙ্গে বেড়গুম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অসিত কুমার নাগ বলেন, "সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় কর্মতীর্থ হচ্ছে । ওখানে 80 জন বেকার যুবক দোকান পাবেন । তাছাড়া সভা সমিতি করার জন্য অডিটোরিয়াম থাকবে । কর্মতীর্থ প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে । কিন্তু ওই বোর্ড লাগানোর পর BJP-র লোকেরা গুজব ছড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে । হাবরা 1 নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, "স্থানীয় BJP-র লোকজন বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে স্থানীয়দের খেপিয়ে তুলেছে । আজকের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ ।

অন্যদিকে BJP-র হাবড়া উত্তর গ্রামীণ 1 নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ মল্লিক বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই । সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পুলিশ নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়েছে । "

Intro:কর্মতীর্থ প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক, ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ

গোবরডাঙাঃ রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবন নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা থানার নকপুল এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থে ব্যাপক ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত জনতার সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, গোবরডাঙার পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।


পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা থানার হাবড়া-01 নম্বর ব্লকের বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চয়েতের বাসিন্দা নির্মলা দাসের বেশ কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর ৫৮ শতক জমি ছিল।প্রায় ২২ বছর আগে নির্মলা দাস জীবিত অবস্থাতেই বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে নকপুল এলাকায় তার ৫৮ শতক জমি দান করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি ওই জমিতে তিনি বাজার ও মন্দির নির্মাণের কথা বলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৫৮ শতকের এই ফাঁকা জমিটি সম্প্রতি উন্নয়নের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেয় বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই মতো সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় ওই জমিতে কর্মতীর্থ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। বর্তমানে এই কর্মতীর্থ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। সামনের গেট তৈরির কাজ চলছে। প্রায় চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।

গত সপ্তাহে ওই কর্মতীর্থের মধ্যেই সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড লাগানো হয়। এই বোর্ড দেখেই এলাকার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।সেই বিভ্রান্তি সোমবার সকালে চরম আকার নেয়। বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থের সামনে মছলন্দপুর-গাইঘাটা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। উত্তেজিত এলাকাবাসীদের একটা অংশ নকপুল লাগোয়া বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেও জড়ো হন। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস তালা বন্ধ থাকায় তাঁরা গালাগালি দিয়ে ফিরে আসেন। অভিযোগ তারপরই উত্তেজিত জনতা কর্মতীর্থে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ কর্মতীর্থের একটি দরজাতেও তাঁরা আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন।রাস্তায় প্রচুর টায়ার জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে গোবরডাঙা ও হাবড়া থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী, র‌্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে বলেও অভিযোগ। তারপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পাশাপাশি পুলিশ তিন রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বেশ কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ।

বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অসিত কুমার নাগ বলেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় কর্মতীর্থ হচ্ছে। ওখানে ৮০ জন বেকার যুবক স্টল পাবেন। তা ছাড়া সভা সমিতি করার জন্য অডিটোরিয়াম থাকবে। কর্মতীর্থ প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই বোর্ড লাগানোর পর বিজেপির লোকেরা গুজব ছড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। হাবরা-১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, স্থানীয় বিজেপির লোকজন বিভ্রান্তি মুলক প্রচার চালিয়ে স্থানীয়দের খেপিয়ে তুলেছেন।এদিনের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।বিজেপির হাবড়া উত্তর গ্রামীণ-১ মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ মল্লিক বলেন এদিনের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পুলিশ নির্মম ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে।Body:কর্মতীর্থ প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক, ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ

গোবরডাঙাঃ রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবন নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা থানার নকপুল এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থে ব্যাপক ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত জনতার সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, গোবরডাঙার পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।


পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা থানার হাবড়া-01 নম্বর ব্লকের বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চয়েতের বাসিন্দা নির্মলা দাসের বেশ কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর ৫৮ শতক জমি ছিল।প্রায় ২২ বছর আগে নির্মলা দাস জীবিত অবস্থাতেই বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে নকপুল এলাকায় তার ৫৮ শতক জমি দান করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি ওই জমিতে তিনি বাজার ও মন্দির নির্মাণের কথা বলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৫৮ শতকের এই ফাঁকা জমিটি সম্প্রতি উন্নয়নের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেয় বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই মতো সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় ওই জমিতে কর্মতীর্থ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। বর্তমানে এই কর্মতীর্থ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। সামনের গেট তৈরির কাজ চলছে। প্রায় চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।

গত সপ্তাহে ওই কর্মতীর্থের মধ্যেই সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড লাগানো হয়। এই বোর্ড দেখেই এলাকার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।সেই বিভ্রান্তি সোমবার সকালে চরম আকার নেয়। বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থের সামনে মছলন্দপুর-গাইঘাটা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। উত্তেজিত এলাকাবাসীদের একটা অংশ নকপুল লাগোয়া বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেও জড়ো হন। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস তালা বন্ধ থাকায় তাঁরা গালাগালি দিয়ে ফিরে আসেন। অভিযোগ তারপরই উত্তেজিত জনতা কর্মতীর্থে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ কর্মতীর্থের একটি দরজাতেও তাঁরা আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন।রাস্তায় প্রচুর টায়ার জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে গোবরডাঙা ও হাবড়া থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী, র‌্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে বলেও অভিযোগ। তারপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পাশাপাশি পুলিশ তিন রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বেশ কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ।

বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অসিত কুমার নাগ বলেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় কর্মতীর্থ হচ্ছে। ওখানে ৮০ জন বেকার যুবক স্টল পাবেন। তা ছাড়া সভা সমিতি করার জন্য অডিটোরিয়াম থাকবে। কর্মতীর্থ প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই বোর্ড লাগানোর পর বিজেপির লোকেরা গুজব ছড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। হাবরা-১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, স্থানীয় বিজেপির লোকজন বিভ্রান্তি মুলক প্রচার চালিয়ে স্থানীয়দের খেপিয়ে তুলেছেন।এদিনের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।বিজেপির হাবড়া উত্তর গ্রামীণ-১ মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ মল্লিক বলেন এদিনের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পুলিশ নির্মম ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে।Conclusion:কর্মতীর্থ প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক, ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ

গোবরডাঙাঃ রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবন নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা থানার নকপুল এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থে ব্যাপক ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত জনতার সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, গোবরডাঙার পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।


পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা থানার হাবড়া-01 নম্বর ব্লকের বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চয়েতের বাসিন্দা নির্মলা দাসের বেশ কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর ৫৮ শতক জমি ছিল।প্রায় ২২ বছর আগে নির্মলা দাস জীবিত অবস্থাতেই বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে নকপুল এলাকায় তার ৫৮ শতক জমি দান করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি ওই জমিতে তিনি বাজার ও মন্দির নির্মাণের কথা বলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৫৮ শতকের এই ফাঁকা জমিটি সম্প্রতি উন্নয়নের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেয় বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই মতো সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় ওই জমিতে কর্মতীর্থ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। বর্তমানে এই কর্মতীর্থ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। সামনের গেট তৈরির কাজ চলছে। প্রায় চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।

গত সপ্তাহে ওই কর্মতীর্থের মধ্যেই সংখ্যালঘু বিষয়ক উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড লাগানো হয়। এই বোর্ড দেখেই এলাকার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।সেই বিভ্রান্তি সোমবার সকালে চরম আকার নেয়। বাসিন্দারা নবনির্মিত কর্মতীর্থের সামনে মছলন্দপুর-গাইঘাটা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। উত্তেজিত এলাকাবাসীদের একটা অংশ নকপুল লাগোয়া বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেও জড়ো হন। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস তালা বন্ধ থাকায় তাঁরা গালাগালি দিয়ে ফিরে আসেন। অভিযোগ তারপরই উত্তেজিত জনতা কর্মতীর্থে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ কর্মতীর্থের একটি দরজাতেও তাঁরা আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন।রাস্তায় প্রচুর টায়ার জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে গোবরডাঙা ও হাবড়া থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী, র‌্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে বলেও অভিযোগ। তারপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পাশাপাশি পুলিশ তিন রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বেশ কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ।

বেড়গুম-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অসিত কুমার নাগ বলেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের টাকায় কর্মতীর্থ হচ্ছে। ওখানে ৮০ জন বেকার যুবক স্টল পাবেন। তা ছাড়া সভা সমিতি করার জন্য অডিটোরিয়াম থাকবে। কর্মতীর্থ প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই বোর্ড লাগানোর পর বিজেপির লোকেরা গুজব ছড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। হাবরা-১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, স্থানীয় বিজেপির লোকজন বিভ্রান্তি মুলক প্রচার চালিয়ে স্থানীয়দের খেপিয়ে তুলেছেন।এদিনের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।বিজেপির হাবড়া উত্তর গ্রামীণ-১ মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ মল্লিক বলেন এদিনের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পুলিশ নির্মম ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে।
Last Updated : Jan 21, 2020, 6:30 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.