নিউ ব্যারাকপুর, 28 মে : প্রায় তিনদিন পর কারখানার দোতলা সিঁড়ি থেকে মিলল নিখোঁজ চার শ্রমিকের দগ্ধ দেহ । আগুন লাগার ঘটনার পর থেকে অমিত সেন, সুব্রত ঘোষ, তণ্ময় ঘোষ, স্বরূপ ঘোষ নামে ওই চার শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন কারখানার ভিতরে । কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কারণে এতদিন কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি দমকল কর্মীরা । অবশেষে কারখানার ভিতর ড্রোন প্রবেশ করিয়ে নিখোঁজ ওই চার শ্রমিকের সন্ধান মেলে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দেহ সনাক্তকরণের জন্য মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে । পুলিশ মৃতদেহগুলি সনাক্তকরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ।
26 মে রাত তিনটে নাগাদ আগুন লাগে নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দার গেঞ্জি কারখানায় ৷ প্রথমে তিনতলার একাংশে আগুন লাগে ৷ এরপর তা ছড়ায় ওষুধের গুদামে ৷ কারখানায় ও গুদামে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেই সময় গেঞ্জি কারখানার 4 কর্মী আটকে পড়েন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দমকালের 15টি ইঞ্জিন ৷ আনা হয় আধুনিক রোবট । কিন্তু অত্যাধিক তাপে রোবট বিকল হতে পারে, এই আশঙ্কায় সেটিকে বাড়ির ভেতরে ঢোকানো যায়নি ৷ তবে বাইরে থেকে ব্যবহার করা হয় ৷ পরে ঘটনাস্থানে আনা হয় বুলডোজার । তা দিয়ে বাড়িটির পিছনের দিকের দেওয়ালের ভেঙে ধোয়ার কুণ্ডলী বের করতে তৎপর হন দমকল কর্মীরা । দমকলের ধারণা, গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের গুদামে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য বস্তু ছিল । সেই কারণে আগুনের ভয়াবহতা ক্রমশ বেড়েছে ।
আরও পড়ুন, 30 ঘণ্টা পরও গেঞ্জি কারখানায় জ্বলছে আগুন, খোঁজ নেই 4 শ্রমিকের
অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর কারখানার আগুন নেভাতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা । আগুন নেভার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে ড্রোন পাঠানো হলে ওই চার শ্রমিকের ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয় ।