ভাটপাড়া, 12 ফেব্রুয়ারি: মেটিয়াবুরুজের কাপড় ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার ভাটপাড়ায় (body of a youth found in bhatapara) ৷ রবিবার ভাটপাড়া পৌরসভার 35 নম্বর ওয়ার্ডের ফিঙ্গাপাড়া এলাকায় ওই কাপড় ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করা হয় ৷ একটি ইটভাটা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহটি উদ্ধার হয়েছে ৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ ৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ৷
তাই দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কাপড় ব্যবসায়ী অরবিন্দ প্রসাদ ওরফে গুড্ডু (30) ৷ এক প্রতিবেশির কথায়, মৃত যুবকের বয়স 30 এবং সে মেটিয়াবুরুজের কাপড় ব্যবসায়ী ৷ প্রায় তিনমাস ধরে বন্ধ তাঁর ব্যবসা ৷ তাই আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক ৷ মৃত ওই যুবক ভাটপাড়া পৌরসভার 64 পল্লি এলাকার বাসিন্দা ৷ এইসব কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷
মৃত অরবিন্দ প্রসাদের স্ত্রী সুমনা প্রসাদ জানান, তিন মাস ধরে ব্যবসা বন্ধ থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিল। আগামী 20 তারিখ থেকে ফের ব্যবসা শুরু করার কথা ছিল । বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্য এই অরবিন্দ প্রসাদ। কারও সঙ্গে তাঁর কোনও বিবাদ আছে বলে তিনি জানেন না । তবে এই ঘটনা আত্মহত্যা বলে তিনি মনে করেন না । তাকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি মৃতের স্ত্রী'র ৷
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে রহস্যজনকভাবে রেল লাইন থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী ৷ কারণ, যুবকের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে 7 এমএম একটি পিস্তল, একটি কার্তুজের খোল এবং মনীষ রায় নামে এক ব্যক্তির নাম লেখা কাগজ পাওয়া যায় ৷ কে এই ব্যক্তি তা নিয়েই সন্দেহ দানা বেঁধেছে ৷ উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন ৷ মৃত অরবিন্দ প্রসাদের পকেট থেকে একটি কাগজে মনীষ রায় নামে এক ব্যক্তির নাম ও একটি ফোন নম্বর পায় ভাটপাড়া থানার পুলিশ ৷ কী কারণের মৃতের পকেটে প্রতিবেশী মনীষ রায়ের ফোন নম্বর লিখে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি ৷ এর মধ্যে কোন তৃতীয় কোনও ব্যক্তি আছে কি না, তার খোঁজো তদন্ত শুরু করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তিনি কোথায় পেলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহটি স্থানীয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।