বনগাঁ, 13 সেপ্টেম্বর: বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । সেই বিতর্কের মাঝেই মুক্ত বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন বিধায়ক স্বপন মজুমদার । বুধবার তিনি উত্তর 24 পরগনার বনগাঁর কালিতলা বিশ্ববন্ধু শিক্ষা নিকেতনে এডুকেশন পরীক্ষা দেন । তবে বিধায়কের পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বনগাঁ পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল শেঠ ।
বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিধায়ক হওয়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশোনা শুরু করেছিলেন স্বপন মজুমদার । উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি সাধারণ বিষয় নিয়ে রবীন্দ্রমুক্ত বিদ্যালয় বোর্ডে ভর্তি হন । স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ রয়েছে বিধায়কের । এদিন পরীক্ষা দিয়ে বেরনোর সময় বেশ খোশমেজাজে দেখা গিয়েছিল তাঁকে । বিধায়কের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে স্কুল চত্বরে দেখা যায় বিধায়কের অনুগামীদের । পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে জানালেন পরীক্ষা ভালো হয়েছে ।
বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, "শিক্ষার কোনও বয়স হয় না ৷ শিক্ষা কখনও শেষ হয় না । আমরা যে যতটা জানি শিক্ষার জন্য ৷ সময় ও শ্রম দিয়ে আরও শিক্ষা অর্জন করলে সমাজ এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। গতবছর উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম । এ বছর আরও দুটি বিষয় পরীক্ষা দিচ্ছি । আজ এডুকেশন পরীক্ষা ছিল । আগামী 19 তারিখ রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা আছে ।"
2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর স্বপন মজুমদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার । যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় সেই সময় । কিন্তু মামলা করতে গিয়ে উলটে নিজেই বিপাকে পড়েন আলোরানি ।সম্প্রতি বনগাঁ পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল শেঠ সেই মামলায় রিপিটিশন করেন । যা ফের একবার সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছে । শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর ।
তারই মাঝে স্বপন মজুমদারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পৌরসভার পৌরপ্রধান । তিনি বলেন, "শিক্ষাক্ষেত্রে সব থেকে বড় দুর্নীতি হচ্ছে স্বপন মজুমদারের এইট পাস সার্টিফিকেট। তার এই সার্টিফিকেটটি জাল। আমরা রাজ্য সরকারের তদন্ত চাইছি ৷ এই জাল সার্টিফিকেটধারী লোককে কী করে পর্ষদ পরীক্ষায় বসতে দিল ।" যদিও এই বিষয়ে স্বপন মজুমদারের বক্তব্য, "তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে । আদালতে গিয়ে তাঁরা সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়েছে।"
আরও পড়ুন : একসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পাশ মা ও ছেলের, 40 নম্বর বেশি পেয়ে আক্ষেপ লতিকার