নিমতা, 9 ডিসেম্বর: জিতু কমল ও নবনীতা দাসের (Actor Jeetu Kamal and Nabanita Das) হেনস্তা-কাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা । শুক্রবার সকাল থেকে গেরুয়া শিবিরের এই বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচিকে ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে নিমতা থানা চত্বর।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এদিন থানার প্রবেশদ্বারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনের তরফে। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেয় নিমতা থানায় গিয়ে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার টেলি জগতের পরিচিত মুখ অভিনেতা জিতু কমল ও তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী নবনীতা দাসকে নিমতা থানা চত্বরেই হেনস্তার অভিযোগ উঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ।
এমনকী ধর্ষণ এবং প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আর এর সবকিছু পুলিশের সামনে ঘটলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ অভিনেতা দম্পতির । উলটে, দুষ্কৃতীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিমতা থানার এক এএসআই-এর বিরুদ্ধে । সমগ্র ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ওই টেলি অভিনেতা দম্পতি । বিষয়টি নিয়ে অভিনেতার স্ত্রী নবনীতা দাস সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) সরব হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র । শেষে চাপে পড়ে রাতের দিকে অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় নিমতা থানা ।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযুক্ত ম্যাটাডোর গাড়ির চালক-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। ফলে, সবমিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় চার। যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে সেই নিমতা থানার এএসআই-এর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া । অন্যদিকে, অভিনেতা দম্পতিকে হেনস্তার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবির (BJP)। শুক্রবার বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী (Bjp's State President of Mahila Morcha) তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নিমতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। থানার সামনে বসে পড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। যার জেরে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় থানা চত্বরে। যদিও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: 'পুলিশ কি দৌড়ে হাতে চুমু খেতে গিয়েছিল ?' কামড় কাণ্ডে তোপ সেলিমের
এই বিষয়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী বলেন, "রশিদ খানের পরিবারের হেনস্তা-কাণ্ড হোক কিংবা টেলি অভিনেতা দম্পতির হেনস্তা-কাণ্ড, পুলিশ-দুষ্কৃতী আঁতাত সব ক্ষেত্রেই। পুলিশের সামনেই যদি সেলিব্রেটিদের হেনস্তা হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী ? আমরা চাই, এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নইলে পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা আরও কমবে ।"