ETV Bharat / state

কোরোনা সংক্রমণ আটকাতে লকডাউনের পরিধি বাড়ল বারাসতে

author img

By

Published : Jul 14, 2020, 8:25 PM IST

বারাসত-সহ উত্তর 24 পরগনায় হু হু করে বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ ৷ সেজন্য সংক্রমণ আটকাতে বারাসত পৌরসভার বাকি 27 টি ওয়ার্ডেও লকডাউন ঘোষণা করল পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড । আগেই এখানকার 8 টি ওয়ার্ডের একাংশ লকডাউনের আওতায় রয়েছে। বারাসতের পাশ্ববর্তী মধ্যমগ্রাম শহরেও বাড়ানো হল লকডাউন ৷

barasat municipality
লকডাউনের পরিধি বাড়ল বারাসতে

বারাসত,14 জুলাই : কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার লকডাউনের পরিধি বাড়ানো হল উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে। এখন বারাসত পৌরসভার 8 টি ওয়ার্ডের একাংশ লকডাউনের আওতায় রয়েছে। যেগুলো আবার রাজ্য সরকারের তরফে কনটেনমেন্ট জো়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । কিন্তু,বাকি ওয়ার্ডগুলোর বাজার, দোকানপাট-সহ সমস্ত কিছু সচল থাকায় ভিড় কিছুতেই এড়াতে যাচ্ছিল না। যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও ক্রমশ বাড়ছিল। তাই,সংক্রমণ ঠেকাতে পৌরসভার বাকি 27 টি ওয়ার্ডেও লকডাউনের পথেই হাঁটল পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড । তবে তা হবে সময়ভিত্তিক। আজ সর্বদলীয় বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সর্বসম্মতভাবে।


পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের জন্য বারাসত শহরে এই লকডাউন জারি হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বাজার,দোকানপাট খোলা থাকবে। দুপুর একটার পর জরুরি পরিষেবা ছাড়া কোনও কিছুই খোলা রাখা যাবে না। তবে,বন্ধ থাকবে পান,বিড়ি ও চায়ের দোকান। লকডাউনের আগে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে সচেতন করতে পৌরসভার তরফে চলবে প্রচারও। এর পাশাপাশি কোরোনা পরিস্থিতিতে বারাসতের মানুষের স্বার্থে সেফ হোম ও কোভিড হাসপাতাল চালু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা তা পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কোরোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে রাজ্যে। সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর 24 পরগনা। জেলায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে এখানে। পৌরসভার 8 টি ওয়ার্ডের একাংশকে কনটেনমেন্ট জো়ন করে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করার পরও সংক্রমণে লাগাম টানা যাচ্ছে না। এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল পৌর কর্তৃপক্ষের। তাই সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পরিধি বাড়ানোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয় পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড। আজ দুপুরে সর্বদলীয় বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। সর্বদলীয় বৈঠকে জেলা বামফ্রন্ট নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়,জেলা CPI(M) নেতা দেবব্রত বসু,BJP-র জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়রা যেমন হাজির ছিলেন তেমনই উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অশনি মুখোপাধ্যায়, চম্পক দাস ও অরুণ ভৌমিক। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বাড়ি থেকে বৈঠকের তদারকি করেন পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়।

লকডাউনের পরিধি বাড়ল বারাসতে
এই বিষয়ে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন উপ-পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন,"সমস্ত রাজনৈতিক দলই লকডাউনের পরিধি বাড়ানোর পক্ষে সম্মত হয়েছে। তাই আমরা বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের জন্য সময়ভিত্তিক লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছি বারাসত শহর জুড়ে। এই বিষয়ে বারাসতের SDO ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে আমাদের। আজ বিকেল থেকেই প্রচার চলবে এই বিষয়ে। সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন বাড়ানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে ।"এদিকে, পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছে বাম, BJP সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। এই বিষয়ে জেলা বামফ্রন্ট নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন,"মানুষের স্বার্থে সব সময় আমরা পাশে রয়েছি।এখন রাজনীতি করার সময় নয়। কিভাবে সংক্রমণ রোধ করা যায় সেদিকেই আমাদের সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে"। তবে,কোরোনা হাসপাতাল জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। একই সুর শোনা গিয়েছে BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাঁর কথায় "পৌরসভার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে লকডাউনের পরিধি বাড়ানো জরুরি ছিল"।

অন্যদিকে,বারাসতের পাশ্ববর্তী মধ্যমগ্রাম শহরেও সংক্রমণ বাড়ায় সেখানেও লকডাউনের পরিধি বাড়িয়ে সময় ভিত্তিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড। তবে,সেখানে লকডাউন 14 দিনের জন্য করা হয়েছে। এই সময়ে সকাল ছ'টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত শহরের সমস্ত বাজার ও দোকানপাট খোলা থাকবে। এরপর সচল থাকবে একমাত্র জরুরি পরিষেবায়। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই চালু হতে চলেছে এই লকডাউন।

বারাসত,14 জুলাই : কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার লকডাউনের পরিধি বাড়ানো হল উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে। এখন বারাসত পৌরসভার 8 টি ওয়ার্ডের একাংশ লকডাউনের আওতায় রয়েছে। যেগুলো আবার রাজ্য সরকারের তরফে কনটেনমেন্ট জো়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । কিন্তু,বাকি ওয়ার্ডগুলোর বাজার, দোকানপাট-সহ সমস্ত কিছু সচল থাকায় ভিড় কিছুতেই এড়াতে যাচ্ছিল না। যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও ক্রমশ বাড়ছিল। তাই,সংক্রমণ ঠেকাতে পৌরসভার বাকি 27 টি ওয়ার্ডেও লকডাউনের পথেই হাঁটল পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড । তবে তা হবে সময়ভিত্তিক। আজ সর্বদলীয় বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সর্বসম্মতভাবে।


পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের জন্য বারাসত শহরে এই লকডাউন জারি হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বাজার,দোকানপাট খোলা থাকবে। দুপুর একটার পর জরুরি পরিষেবা ছাড়া কোনও কিছুই খোলা রাখা যাবে না। তবে,বন্ধ থাকবে পান,বিড়ি ও চায়ের দোকান। লকডাউনের আগে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে সচেতন করতে পৌরসভার তরফে চলবে প্রচারও। এর পাশাপাশি কোরোনা পরিস্থিতিতে বারাসতের মানুষের স্বার্থে সেফ হোম ও কোভিড হাসপাতাল চালু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা তা পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কোরোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে রাজ্যে। সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর 24 পরগনা। জেলায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে এখানে। পৌরসভার 8 টি ওয়ার্ডের একাংশকে কনটেনমেন্ট জো়ন করে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করার পরও সংক্রমণে লাগাম টানা যাচ্ছে না। এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল পৌর কর্তৃপক্ষের। তাই সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পরিধি বাড়ানোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয় পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড। আজ দুপুরে সর্বদলীয় বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। সর্বদলীয় বৈঠকে জেলা বামফ্রন্ট নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়,জেলা CPI(M) নেতা দেবব্রত বসু,BJP-র জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়রা যেমন হাজির ছিলেন তেমনই উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অশনি মুখোপাধ্যায়, চম্পক দাস ও অরুণ ভৌমিক। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বাড়ি থেকে বৈঠকের তদারকি করেন পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়।

লকডাউনের পরিধি বাড়ল বারাসতে
এই বিষয়ে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন উপ-পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন,"সমস্ত রাজনৈতিক দলই লকডাউনের পরিধি বাড়ানোর পক্ষে সম্মত হয়েছে। তাই আমরা বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের জন্য সময়ভিত্তিক লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছি বারাসত শহর জুড়ে। এই বিষয়ে বারাসতের SDO ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে আমাদের। আজ বিকেল থেকেই প্রচার চলবে এই বিষয়ে। সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন বাড়ানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে ।"এদিকে, পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছে বাম, BJP সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। এই বিষয়ে জেলা বামফ্রন্ট নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন,"মানুষের স্বার্থে সব সময় আমরা পাশে রয়েছি।এখন রাজনীতি করার সময় নয়। কিভাবে সংক্রমণ রোধ করা যায় সেদিকেই আমাদের সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে"। তবে,কোরোনা হাসপাতাল জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। একই সুর শোনা গিয়েছে BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাঁর কথায় "পৌরসভার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে লকডাউনের পরিধি বাড়ানো জরুরি ছিল"।

অন্যদিকে,বারাসতের পাশ্ববর্তী মধ্যমগ্রাম শহরেও সংক্রমণ বাড়ায় সেখানেও লকডাউনের পরিধি বাড়িয়ে সময় ভিত্তিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড। তবে,সেখানে লকডাউন 14 দিনের জন্য করা হয়েছে। এই সময়ে সকাল ছ'টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত শহরের সমস্ত বাজার ও দোকানপাট খোলা থাকবে। এরপর সচল থাকবে একমাত্র জরুরি পরিষেবায়। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই চালু হতে চলেছে এই লকডাউন।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.