বসিরহাট, 26 অগস্ট : সন্দেহের বশে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল বসিরহাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷ বসিরহাট মহকুমার কুলটি অঞ্চলের ঘোষপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনই পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে 24 বছরের যুবতিকে ৷
পূর্ব কলকাতার সায়েন্স সিটি এলাকার ধাপার বাসিন্দা অজয় মণ্ডলের একমাত্র কন্যা সুস্মিতা ৷ 5 বছর আগে বসিরহাটের লাল্টু ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর ৷ সুস্মিতা মণ্ডল নামে ওই তরুণীকে প্রায়ই নানা কারণে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন, অভিযোগ আত্মীয়দের ৷
অকারণ সন্দেহ, পণ নিয়ে ঝামেলা , বিয়ের পাঁচ বছর পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রতিটি কারণেই 24 বছরের যুবতির জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল স্বামী লাল্টু ৷ বিশেষ করে বাড়ির পাশে থাকা কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কোনওরকম কথা বললেও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করত লাল্টু, মারধরও করত সুস্মিতাকে, জানান মৃতার আত্মীয় ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, নিত্য অশান্তির কারণে সুস্মিতা কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করার ভয় দেখিয়েছিলেন ৷ এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকরাই আগুন ধরিয়ে দেয় তাঁর শরীরে ৷ চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা ৷ দেহের প্রায় 80 শতাংশ পুড়ে যায় সুস্মিতার ৷ কলকাতার নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ কিন্তু ঘন্টাদুয়েক পরই মৃত্যু হয় তাঁর ৷
সুস্মিতার ভ্রাতৃবধূ বলেন, ''বাড়িতে সেলাই কারখানা থাকায় নানা কারিগরের যাওয়া আসা ছিল নিয়মিত ৷ কেউ জল চাইলে সুস্মিতা যদি জলও দিতেন, লাল্টু তা মানতে পারত না ৷ সারাক্ষণ সন্দেহ করত ৷ 50 হাজার টাকা পণও নিয়েছিল সে বিয়ের সময় ৷''
সুস্মিতার আত্মীয়দের অভিযোগ, স্বামী লাল্টু, সুস্মিতার শ্বশুর কালিপদ ঘোষ, দেবর ও এক আত্মীয় পুড়িয়ে খুন করেছে তাঁদের মেয়েকে ৷ এই চারজনের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর পরিবারের সদস্যরা ৷