ETV Bharat / state

নাবালিকাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মাইকিং, হামলা তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠের - মাইকিংয়ের সময় হামলা তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠের

নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় আসল দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ও এই ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে আজ এলাকায় মাইকিং করা হয় । অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ । দত্তপুকুর এলাকার ঘটনা ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Oct 29, 2019, 11:49 PM IST

দত্তপুকুর, 29 অক্টোবর : নিখোঁজ হওয়ার দু'দিন পর পাশের গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ । পুলিশ জানায়, উদ্ধারের সময় নাবালিকার দেহে কোনও পোশাক ছিল না । এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলে, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে । তাই এই ঘটনার প্রতিবাদে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে মাইকে প্রচার করছিলেন কয়েকজন । অভিযোগ, সেই সময় দু'জন প্রচার গাড়ি আটকায় । তারপর আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করেন । দত্তপুকুর থানা এলাকার ঘটনা ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, 17 সেপ্টেম্বর মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিল 6 বছরের রিয়া(নাম পরিবর্তিত) । বাবা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন । ওই দিন সকাল বেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল রিয়া । তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তার । দু'দিন পর পাশের গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । তদন্তে জানা যায়, উদ্ধারের সময় ওই নাবালিকার শরীরে কোনও পোশাক ছিল না । পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ।

এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, আসল দোষীকে আড়াল করতেই ওই দু'জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তাই আসল দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ও এই ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে আজ এলাকায় মাইকিং করা হয় ৷ অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বেধড়ক মারধর করে মইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি । মইদুলের সঙ্গে তার এক সঙ্গীও ছিল । এর বিরুদ্ধে একজোট হয় এলাকাবাসীরা । তারা পালটা মারধর করে মহিদুলকে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দত্তপুকুর থানার পুলিশ । কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে তাড়া করে । এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

কিন্তু কে এই মইদুল ? স্থানীয়দের বক্তব্য, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মইদুল । তার একটি চায়ের দোকান আছে । শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনায় ওই স্থানীয় তৃণমূল নেতার যোগ রয়েছে । তার নির্দেশেই আসল দোষীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না ।

দত্তপুকুর, 29 অক্টোবর : নিখোঁজ হওয়ার দু'দিন পর পাশের গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ । পুলিশ জানায়, উদ্ধারের সময় নাবালিকার দেহে কোনও পোশাক ছিল না । এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলে, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে । তাই এই ঘটনার প্রতিবাদে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে মাইকে প্রচার করছিলেন কয়েকজন । অভিযোগ, সেই সময় দু'জন প্রচার গাড়ি আটকায় । তারপর আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করেন । দত্তপুকুর থানা এলাকার ঘটনা ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, 17 সেপ্টেম্বর মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিল 6 বছরের রিয়া(নাম পরিবর্তিত) । বাবা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন । ওই দিন সকাল বেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল রিয়া । তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তার । দু'দিন পর পাশের গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । তদন্তে জানা যায়, উদ্ধারের সময় ওই নাবালিকার শরীরে কোনও পোশাক ছিল না । পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ।

এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, আসল দোষীকে আড়াল করতেই ওই দু'জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তাই আসল দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ও এই ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে আজ এলাকায় মাইকিং করা হয় ৷ অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বেধড়ক মারধর করে মইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি । মইদুলের সঙ্গে তার এক সঙ্গীও ছিল । এর বিরুদ্ধে একজোট হয় এলাকাবাসীরা । তারা পালটা মারধর করে মহিদুলকে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দত্তপুকুর থানার পুলিশ । কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে তাড়া করে । এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

কিন্তু কে এই মইদুল ? স্থানীয়দের বক্তব্য, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মইদুল । তার একটি চায়ের দোকান আছে । শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনায় ওই স্থানীয় তৃণমূল নেতার যোগ রয়েছে । তার নির্দেশেই আসল দোষীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না ।

Intro:শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, প্রতিবাদ আন্দোলনের বৈঠক ডাকতেই হামলা, ভাঙচুর।

বারাসতঃ ছ'বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রামবাসীরা জোরালো আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলন আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা মাইকে প্রচার চালাচ্ছিলেন। সেই প্রচার গাড়িতে হামলা। তারপর পালটা হামলা ও ভাঙচুর। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের কদম্বগাছি বাজারে। অভিযোগ, এক চায়ের দোলানের মালিক মইদুল ইসলাম ও তাঁর এক সহযোগী প্রচার গাড়ি থামিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর করে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই কয়েকশো গ্রামবাসী একজোট হয়ে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মারধর করা হয় মইদুল ইসলাম এবং তার এক সহযোগীকে। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে কদম্বগাছি বাজার এলাকা। শুরু হয় পথ অবরোধ। টাকি রোডে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশকে তাড়া করেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে পুলিশ পিঠটান দেয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করলেও আসল অপরাধী এখনও অধরা। আন্দোলন জোরদার করার প্রচার চলাকালীন মহম্মদ নাজির আহমেদকে প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে মইদুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী। মইদুল কদম্বগাছি বাজারে চায়ের দোকান চালায়। মইদুল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ। এদিন উত্তেজিত জনতা মইদুল ইসলামের চায়ের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। আক্রান্ত মহম্মদ নাজির আহমেদ জানান, আমরা চাই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশ আসল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুক। কিন্তু পুলিশ কদম্বগাছির এক তৃণমূল নেতার ইশারায় প্রকৃত দেষীদের গ্রেপ্তার করেছে না।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবা ভিনরাজ্যে কাজ করেন। মা মানসিক ভারসাম্যহীন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন মা। ওই দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ির বাইরে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশু। দু'দিন পরে পাশের গ্রামে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহে কোনও পোশাক ছিল না। জামা ও প্যান্ট ডোবার ধারে পড়েছিল। মৃতদেহ পচে গেলেও বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিললবলে বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, ওই শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, আসল অপরাধীকে আড়াল করতেই নিরীহ দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। আসল অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন মাইকে প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে একজোট করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তখনই ওই প্রচারকারীদের উপর হামলা চালায়। তারপরই গোলমাল ছড়ায়। Body:শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, প্রতিবাদ আন্দোলনের বৈঠক ডাকতেই হামলা, ভাঙচুর।

বারাসতঃ ছ'বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রামবাসীরা জোরালো আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলন আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা মাইকে প্রচার চালাচ্ছিলেন। সেই প্রচার গাড়িতে হামলা। তারপর পালটা হামলা ও ভাঙচুর। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের কদম্বগাছি বাজারে। অভিযোগ, এক চায়ের দোলানের মালিক মইদুল ইসলাম ও তাঁর এক সহযোগী প্রচার গাড়ি থামিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর করে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই কয়েকশো গ্রামবাসী একজোট হয়ে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মারধর করা হয় মইদুল ইসলাম এবং তার এক সহযোগীকে। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে কদম্বগাছি বাজার এলাকা। শুরু হয় পথ অবরোধ। টাকি রোডে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশকে তাড়া করেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে পুলিশ পিঠটান দেয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করলেও আসল অপরাধী এখনও অধরা। আন্দোলন জোরদার করার প্রচার চলাকালীন মহম্মদ নাজির আহমেদকে প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে মইদুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী। মইদুল কদম্বগাছি বাজারে চায়ের দোকান চালায়। মইদুল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ। এদিন উত্তেজিত জনতা মইদুল ইসলামের চায়ের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। আক্রান্ত মহম্মদ নাজির আহমেদ জানান, আমরা চাই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশ আসল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুক। কিন্তু পুলিশ কদম্বগাছির এক তৃণমূল নেতার ইশারায় প্রকৃত দেষীদের গ্রেপ্তার করেছে না।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবা ভিনরাজ্যে কাজ করেন। মা মানসিক ভারসাম্যহীন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন মা। ওই দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ির বাইরে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশু। দু'দিন পরে পাশের গ্রামে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহে কোনও পোশাক ছিল না। জামা ও প্যান্ট ডোবার ধারে পড়েছিল। মৃতদেহ পচে গেলেও বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিললবলে বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, ওই শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, আসল অপরাধীকে আড়াল করতেই নিরীহ দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। আসল অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন মাইকে প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে একজোট করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তখনই ওই প্রচারকারীদের উপর হামলা চালায়। তারপরই গোলমাল ছড়ায়। Conclusion:শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, প্রতিবাদ আন্দোলনের বৈঠক ডাকতেই হামলা, ভাঙচুর।

বারাসতঃ ছ'বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রামবাসীরা জোরালো আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলন আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা মাইকে প্রচার চালাচ্ছিলেন। সেই প্রচার গাড়িতে হামলা। তারপর পালটা হামলা ও ভাঙচুর। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের কদম্বগাছি বাজারে। অভিযোগ, এক চায়ের দোলানের মালিক মইদুল ইসলাম ও তাঁর এক সহযোগী প্রচার গাড়ি থামিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর করে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই কয়েকশো গ্রামবাসী একজোট হয়ে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মারধর করা হয় মইদুল ইসলাম এবং তার এক সহযোগীকে। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে কদম্বগাছি বাজার এলাকা। শুরু হয় পথ অবরোধ। টাকি রোডে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশকে তাড়া করেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে পুলিশ পিঠটান দেয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করলেও আসল অপরাধী এখনও অধরা। আন্দোলন জোরদার করার প্রচার চলাকালীন মহম্মদ নাজির আহমেদকে প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে মইদুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী। মইদুল কদম্বগাছি বাজারে চায়ের দোকান চালায়। মইদুল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ। এদিন উত্তেজিত জনতা মইদুল ইসলামের চায়ের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। আক্রান্ত মহম্মদ নাজির আহমেদ জানান, আমরা চাই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশ আসল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুক। কিন্তু পুলিশ কদম্বগাছির এক তৃণমূল নেতার ইশারায় প্রকৃত দেষীদের গ্রেপ্তার করেছে না।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবা ভিনরাজ্যে কাজ করেন। মা মানসিক ভারসাম্যহীন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন মা। ওই দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ির বাইরে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশু। দু'দিন পরে পাশের গ্রামে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহে কোনও পোশাক ছিল না। জামা ও প্যান্ট ডোবার ধারে পড়েছিল। মৃতদেহ পচে গেলেও বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিললবলে বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, ওই শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, আসল অপরাধীকে আড়াল করতেই নিরীহ দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। আসল অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন মাইকে প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে একজোট করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তখনই ওই প্রচারকারীদের উপর হামলা চালায়। তারপরই গোলমাল ছড়ায়।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.