দত্তপুকুর, 29 অক্টোবর : নিখোঁজ হওয়ার দু'দিন পর পাশের গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ । পুলিশ জানায়, উদ্ধারের সময় নাবালিকার দেহে কোনও পোশাক ছিল না । এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলে, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে । তাই এই ঘটনার প্রতিবাদে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে মাইকে প্রচার করছিলেন কয়েকজন । অভিযোগ, সেই সময় দু'জন প্রচার গাড়ি আটকায় । তারপর আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করেন । দত্তপুকুর থানা এলাকার ঘটনা ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, 17 সেপ্টেম্বর মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিল 6 বছরের রিয়া(নাম পরিবর্তিত) । বাবা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন । ওই দিন সকাল বেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল রিয়া । তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তার । দু'দিন পর পাশের গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । তদন্তে জানা যায়, উদ্ধারের সময় ওই নাবালিকার শরীরে কোনও পোশাক ছিল না । পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ।
এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, আসল দোষীকে আড়াল করতেই ওই দু'জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তাই আসল দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ও এই ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে আজ এলাকায় মাইকিং করা হয় ৷ অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বেধড়ক মারধর করে মইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি । মইদুলের সঙ্গে তার এক সঙ্গীও ছিল । এর বিরুদ্ধে একজোট হয় এলাকাবাসীরা । তারা পালটা মারধর করে মহিদুলকে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দত্তপুকুর থানার পুলিশ । কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে তাড়া করে । এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
কিন্তু কে এই মইদুল ? স্থানীয়দের বক্তব্য, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মইদুল । তার একটি চায়ের দোকান আছে । শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনায় ওই স্থানীয় তৃণমূল নেতার যোগ রয়েছে । তার নির্দেশেই আসল দোষীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না ।