দেগঙ্গা, 25 সেপ্টেম্বর: ডেঙ্গির হটস্পট উত্তর 24 পরগনায় আবারও মৃত্যু মশাবাহিত রোগে ৷ এবার দেগঙ্গায় ডেঙ্গির বলি হলেন এক যুবক ৷ মৃতের নাম সরিফুল ইসলাম (24) ৷ যুবকের মৃত্যুর পর সোমবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেগঙ্গার চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে রক্তের নমুনায় ডেঙ্গি এনএস-ওয়ান পজিটিভ লেখা থাকলেও, মৃত্যুর শংসাপত্রে সেপটিসেমিয়া উল্লেখ করা হয়েছে ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যুবকের চিকিৎসা চলাকালীন শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায় ৷ সেই কারণেই মৃত্যুর শংসাপত্রে সেপটিসেমিয়া উল্লেখ করা হয়েছেন ৷ তবে, পরিবারের দাবি ডেঙ্গি সংক্রমণের কারণেই সরিফুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যায় ৷ চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সরিফুল ইসলাম বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ৷ প্রথমে বাড়িতে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ কিন্তু, ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷
গত শনিবার তাঁকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে সরিফুল ইসলামের রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি এনএস-ওয়ান পজিটিভ ধরা পড়ে ৷ তড়িঘড়ি ওই যুবককে বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল থেকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই রবিবার রাতে মৃত্যু হয় সরিফুল ইসলামের ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর,ডেঙ্গি আক্রান্ত ওই যুবকের রক্তের প্লেটলেট 47 হাজারে নেমে এসেছিল ৷ ফলে চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি যুবককে ৷
আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যালে ভরতি মশার লার্ভা! ডেঙ্গি অভিযানে মেজাজ হারালেন ডেপুটি মেয়র
তা সত্ত্বেও মৃত্যুর শংসাপত্র বা ডেথ সার্টিফিকেটে কারণ হিসেবে সেপটিসেমিয়া উল্লেখ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু, কোথাও ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়নি ৷ অন্যদিকে, ডেঙ্গিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দেগঙ্গার চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমরুলি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ ইতিমধ্যে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা 38 হাজার পার হয়ে গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর ৷ গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে 6 হাজার পেরিয়ে গিয়েছে ৷ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে উত্তর 24 পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া ও মালদা জেলাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷