ETV Bharat / state

ভিকি যাদব হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী জেরার মুখে পড়া ঘনিষ্ঠ - আত্মঘাতী ভিকি যাদব

Bhatpara Murder Case: মৃত তরুণের ঘর থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে বলে খবর। যেখানে সে ভিকি যাদব খুনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে। শুধু তাই নয়, ভিকি যাদব খুনে অযথা তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে বলেও লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে। সুইসাইড নোটে আরও লেখা রয়েছে, 'আমি ভিকি ভাইয়ার খুনের ব‍্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে মিথ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে।'

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 25, 2023, 7:33 PM IST

ভাটপাড়া, 25 নভেম্বর: 'হ‍াম কুছ ন‍্যাহি জানতে হ‍্যায়, ভিকি ভাইয়াকে মার্ডার কা ৷' সুইসাইড নোটে এমনটাই লিখে আত্মঘাতী হলেন ভিকি যাদব খুনে পুলিশি জেরার মুখে পড়া বছর বাইশের তরুণ। আত্মঘাতী হরেরাম সাউ নিহত ভিকি যাদবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই খবর। ফলে তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ভিকি যাদব খুনে নয়া মোড় নিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

পরিবার সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনার পরপরই ওই যুবককে জগদ্দল থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ কয়েকবার। যা নিয়ে পুলিশি জেরার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। যদিও জিজ্ঞাসাবাদের শেষে যুবককে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় থানা থেকে। ঘটনার জেরে মুষড়ে পড়েছিলেন হরেরাম সাউ। পুলিশি জেরা সহ‍্য করতে না-পেরে শেষে বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলেই দাবি ৷ পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

মৃত যুবকের ঘর থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে বলে খবর। যেখানে সে ভিকি যাদব খুনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন হরেরাম। শুধু তাই নয়, ভিকি যাদব খুনে অযথা তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে বলেও লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে। সুইসাইড নোটে আরও লেখা রয়েছে, "আমি ভিকি ভাইয়ার খুনের ব‍্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে মিথ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাও যদি আপনাদের মনে হয়, এই খুনে আমার হাত রয়েছে, তাহলে ঠিক আছে, আমিও চললাম ভিকি ভাইয়ার কাছে। আমার কথা শুনুন। এই ঘটনায় আমার ও আমার পরিবারের কোনও যোগ নেই ৷" সুইসাইড নোটের শেষে ভাইয়ের উদ্দেশ্যে লেখা রয়েছে, "ছোটু তুই আমাকে বুঝিস। মাকে দেখে রাখিস।" যদিও সুইসাইড নোটটি মৃত হরেরাম সাউয়ের লেখা কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এই বিষয়ে হস্ত বিশারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে জগদ্দলের বাড়ি থেকে ভিকি ঘনিষ্ঠ ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ভিকি খুনে ধৃত অঙ্কিত সিং ওরফে রিঙ্কুর সঙ্গে মোবাইলে কয়েকবার কথা হয় হরেরাম সাউয়ের। তাও খুনের ঘটনার পরপর। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে আসার পর এই বিষয়ে জেরা করতেই তাঁকে ডাকা হয়েছিল জগদ্দল থানায়। এদিকে, শুধু জিজ্ঞাসাবাদের কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে জগদ্দল থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন

  1. খুনিদের সহযোগিতা করার অভিযোগ, ভাটপাড়া খুনে 2 জনকে পাকড়াও পুলিশের
  2. ছেলের ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু বাবার
  3. বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে ব্ল্যাকমেল, দুর্গাপুরের খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করল ধৃত মহিলা

ভাটপাড়া, 25 নভেম্বর: 'হ‍াম কুছ ন‍্যাহি জানতে হ‍্যায়, ভিকি ভাইয়াকে মার্ডার কা ৷' সুইসাইড নোটে এমনটাই লিখে আত্মঘাতী হলেন ভিকি যাদব খুনে পুলিশি জেরার মুখে পড়া বছর বাইশের তরুণ। আত্মঘাতী হরেরাম সাউ নিহত ভিকি যাদবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই খবর। ফলে তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ভিকি যাদব খুনে নয়া মোড় নিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

পরিবার সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনার পরপরই ওই যুবককে জগদ্দল থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ কয়েকবার। যা নিয়ে পুলিশি জেরার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। যদিও জিজ্ঞাসাবাদের শেষে যুবককে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় থানা থেকে। ঘটনার জেরে মুষড়ে পড়েছিলেন হরেরাম সাউ। পুলিশি জেরা সহ‍্য করতে না-পেরে শেষে বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলেই দাবি ৷ পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

মৃত যুবকের ঘর থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে বলে খবর। যেখানে সে ভিকি যাদব খুনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন হরেরাম। শুধু তাই নয়, ভিকি যাদব খুনে অযথা তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে বলেও লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে। সুইসাইড নোটে আরও লেখা রয়েছে, "আমি ভিকি ভাইয়ার খুনের ব‍্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে মিথ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাও যদি আপনাদের মনে হয়, এই খুনে আমার হাত রয়েছে, তাহলে ঠিক আছে, আমিও চললাম ভিকি ভাইয়ার কাছে। আমার কথা শুনুন। এই ঘটনায় আমার ও আমার পরিবারের কোনও যোগ নেই ৷" সুইসাইড নোটের শেষে ভাইয়ের উদ্দেশ্যে লেখা রয়েছে, "ছোটু তুই আমাকে বুঝিস। মাকে দেখে রাখিস।" যদিও সুইসাইড নোটটি মৃত হরেরাম সাউয়ের লেখা কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এই বিষয়ে হস্ত বিশারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে জগদ্দলের বাড়ি থেকে ভিকি ঘনিষ্ঠ ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ভিকি খুনে ধৃত অঙ্কিত সিং ওরফে রিঙ্কুর সঙ্গে মোবাইলে কয়েকবার কথা হয় হরেরাম সাউয়ের। তাও খুনের ঘটনার পরপর। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে আসার পর এই বিষয়ে জেরা করতেই তাঁকে ডাকা হয়েছিল জগদ্দল থানায়। এদিকে, শুধু জিজ্ঞাসাবাদের কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে জগদ্দল থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন

  1. খুনিদের সহযোগিতা করার অভিযোগ, ভাটপাড়া খুনে 2 জনকে পাকড়াও পুলিশের
  2. ছেলের ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু বাবার
  3. বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে ব্ল্যাকমেল, দুর্গাপুরের খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করল ধৃত মহিলা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.