ETV Bharat / state

Nursery Student Beaten: দুষ্টুমির 'শাস্তি', চড় মেরে নার্সারির পড়ুয়ার গালে দাগ বসালেন শিক্ষিকা

author img

By

Published : Dec 1, 2022, 10:54 PM IST

নার্সারির ছাত্রকে চড় মেরে গাল লাল করে 'সহবত' শেখালেন প্লে-স্কুলের শিক্ষিকা ৷ দুষ্টুমির শাস্তির জেরে আতঙ্কিত খুদে (Nursery Student Beaten)৷ প্রতিকার পেতে থানার দ্বারস্থ পরিবার ৷

Etv Bharat
চড় মেরে নার্সারির পড়ুয়ার গালে দাগ বসালেন শিক্ষিকা

বারাসত, 1 ডিসেম্বর: ক্লাসে সামান্য দুষ্টুমি করেছিল তিন বছরের শিশু । সেই অপরাধে তার গালে সপাটে চড় মেরে দাগ বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ক্লাস টিচারের বিরুদ্ধে । উত্তর 24 পরগনার বারাসতের এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা । বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায় (Alligation Against Teacher of Slapping Nursery Student in Barasat) । অভিযোগ, মারধর করা হলেও বিষয়টি চেপে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ । উলটে তা নিয়ে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন । গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশুর পরিবার । প্রতিকার চেয়ে বুধবার থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা । অভিযোগ পেয়েই ওই স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ । খতিয়ে দেখা হচ্ছে মারধরের বিষয়টি ।

বারাসত রথতলার যশোর রোডের পাশে রয়েছে বেসরকারি ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি । মূলত নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় এখানে । তিন বছরের যে পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সে নার্সারি ক্লাসের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে । আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, অন‍্যান‍্য দিনের মতো মঙ্গলবারও স্কুলে গিয়েছিল ওই পড়ুয়া । কিন্তু স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতেই দেখা যায় তার গালে হাতের দাগ বসে লাল হয়ে গিয়েছে । বুঝতে পারেন কেউ মারধর করেছে নিশ্চয় । তখন স্কুলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি । এরপরই বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সরব হতেই প্রিন্সিপাল উলটে শিশুটির উপর দায় চাপান ।

আরও পড়ুন : বকেয়া 3 মাসের বেতন, পড়ুয়াকে স্কুলে আটকে রাখার অভিযোগ

এমনকি শিশুটির শারীরিক অসুস্থতা এবং আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় বলে অভিযোগ ৷ শেষে এদিন দুপুরে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ । এই বিষয়ে আক্রান্ত শিশুর মা জয়িতা রায় বলেন,"কথায় কথায় আমার ছেলে দুষ্টুমি করেছে, তাঁর সহপাঠীকে মারধর করেছে, এই নিয়ে অভিযোগ করা হয় । অথচ তিন বছরের বাচ্চাকে যে মেরে গালে দাগ বসিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে একবারও জানানোর প্রয়োজন মনে করল না স্কুল কর্তৃপক্ষ । এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে কতটা দায়িত্ববান তাঁরা । এর একটা প্রতিকার হওয়া দরকার । নইলে আগামীতে শিশুর ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে ।"

পড়ুয়ার গালে চড় মারার ঘটনায় অভিভাবক ও প্রিন্সিপালের বক্তব্য

যদিও মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল সঙ্গীতা ভৌমিক বলেন, "আমাদের এখানে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় পড়ুয়ারত শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে । ওই শিশুটির হাইপার টেনশন রয়েছে । প্রেসক্রিপশনে তা লেখাও রয়েছে । ফলে সে দুষ্টুমি করলেও টিচাররা ধৈর্য সহকারে বিষয়টির মোকাবিলা করেন । মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি । তা সত্ত্বেও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে সেহেতু আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি । অভিযোগের সত্যতা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।"

আরও পড়ুন : স্কুলে শৌচালয়ের প্রাচীর ভেঙে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্র মোথাবাড়ি

বারাসত, 1 ডিসেম্বর: ক্লাসে সামান্য দুষ্টুমি করেছিল তিন বছরের শিশু । সেই অপরাধে তার গালে সপাটে চড় মেরে দাগ বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ক্লাস টিচারের বিরুদ্ধে । উত্তর 24 পরগনার বারাসতের এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা । বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায় (Alligation Against Teacher of Slapping Nursery Student in Barasat) । অভিযোগ, মারধর করা হলেও বিষয়টি চেপে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ । উলটে তা নিয়ে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন । গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশুর পরিবার । প্রতিকার চেয়ে বুধবার থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা । অভিযোগ পেয়েই ওই স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ । খতিয়ে দেখা হচ্ছে মারধরের বিষয়টি ।

বারাসত রথতলার যশোর রোডের পাশে রয়েছে বেসরকারি ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি । মূলত নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় এখানে । তিন বছরের যে পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সে নার্সারি ক্লাসের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে । আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, অন‍্যান‍্য দিনের মতো মঙ্গলবারও স্কুলে গিয়েছিল ওই পড়ুয়া । কিন্তু স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতেই দেখা যায় তার গালে হাতের দাগ বসে লাল হয়ে গিয়েছে । বুঝতে পারেন কেউ মারধর করেছে নিশ্চয় । তখন স্কুলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি । এরপরই বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সরব হতেই প্রিন্সিপাল উলটে শিশুটির উপর দায় চাপান ।

আরও পড়ুন : বকেয়া 3 মাসের বেতন, পড়ুয়াকে স্কুলে আটকে রাখার অভিযোগ

এমনকি শিশুটির শারীরিক অসুস্থতা এবং আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় বলে অভিযোগ ৷ শেষে এদিন দুপুরে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ । এই বিষয়ে আক্রান্ত শিশুর মা জয়িতা রায় বলেন,"কথায় কথায় আমার ছেলে দুষ্টুমি করেছে, তাঁর সহপাঠীকে মারধর করেছে, এই নিয়ে অভিযোগ করা হয় । অথচ তিন বছরের বাচ্চাকে যে মেরে গালে দাগ বসিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে একবারও জানানোর প্রয়োজন মনে করল না স্কুল কর্তৃপক্ষ । এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে কতটা দায়িত্ববান তাঁরা । এর একটা প্রতিকার হওয়া দরকার । নইলে আগামীতে শিশুর ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে ।"

পড়ুয়ার গালে চড় মারার ঘটনায় অভিভাবক ও প্রিন্সিপালের বক্তব্য

যদিও মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল সঙ্গীতা ভৌমিক বলেন, "আমাদের এখানে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় পড়ুয়ারত শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে । ওই শিশুটির হাইপার টেনশন রয়েছে । প্রেসক্রিপশনে তা লেখাও রয়েছে । ফলে সে দুষ্টুমি করলেও টিচাররা ধৈর্য সহকারে বিষয়টির মোকাবিলা করেন । মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি । তা সত্ত্বেও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে সেহেতু আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি । অভিযোগের সত্যতা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।"

আরও পড়ুন : স্কুলে শৌচালয়ের প্রাচীর ভেঙে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্র মোথাবাড়ি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.