বারাসত, 18 অগস্ট: মেডিক্লেম (Mediclaim) থাকা সত্ত্বেও নগদে চিকিৎসার বিল মেটাতে রোগীর পরিবারকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ (Allegation of Taking Money to Discharge Patients) ৷ পাশাপাশি রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগও উঠছে। কাঠগড়ায় বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল (Barasat Private Hospital) ।
যার ফলে রোগী ছাড়াতে গিয়ে এখন মহা ফাপরে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন কার্যকলাপে রীতিমতো বিরক্ত রোগীর পরিবার। তাঁদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরবও হয়েছেন তাঁরা। যদিও, এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়নি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে,পায়ের সমস্যার চিকিৎসা করাতে শনিবার বারাসত রথতলা সংলগ্ন ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বছর আটচল্লিশের কবিতা বসু। কবিতাদেবীর বাড়ি বারাসতের ন'পাড়া এলাকায়। একদিন চিকিৎসা চলার পরই পরিবারের সদস্যরা রোগীর মেডিক্লেমের কাগজপত্র জমা করতে যায় হাসপাতালে। কিন্তু, সেই কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা না দিয়ে কাঠগড়ায় বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল
এরপরও বিষয়টি বারবার বলা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে একসময় চিকিৎসা বাবদ রোগীর পরিবারকে ষাট হাজার টাকার বিল ধরানো হয়। কিন্তু, নগদে সেই টাকা দিতে পরিবার অপারগ হওয়ায় রোগীকে হাসপাতালে আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এমনকী, নগদে চিকিৎসার বিল মেটাতে বারবার রোগীর পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। যার জেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। মেডিক্লেম থাকা সত্ত্বেও কীভাবে রোগীর পরিবারকে নগদে চিকিৎসার বিল মেটাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাপ দিতে পারেন ? রোগীর ছুটি হয়ে যাওয়ার পরও কীভাবেই বা তাঁকে আটকে রাখতে পারবেন ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ? এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
এই বিষয়ে কবিতার ছেলে শানু বসু বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই মায়ের মেডিক্লেমের কাগজপত্র জমা করা হয়নি। বারবার কাগজপত্র জমা নেওয়ার কথা বললেও কোনও ভ্রুক্ষেপ করেনি। এখন বলছে নগদে চিকিৎসার বিল না মেটালে রোগী ছাড়বে না। এটা তো একেবারে দাদাগিরি ! নগদে চিকিৎসার বিল মেটাতে না পারলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব দিচ্ছে, তাঁরাই লোনের ব্যবস্থা করে দেবে। যাতে তাঁরা চিকিৎসার টাকা পেতে পারে ৷"
আরও পড়ুন: অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ পুরুলিয়া সদর
অন্যদিকে, বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ রয়েছে তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বারাসত পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিষদ সদস্য অভিজিৎ নাগ চৌধুরী। তিনি বলেন, "শুধু মেডিক্লেম নয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।"