অশোকনগর, 3 অগাস্ট : জেলার সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সম্প্রতি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী । সেই ভার্চুয়াল বৈঠক থেকেই জেলার ক্রমবর্ধমান কোরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অশোকনগর স্টেট জেনেরাল হাসপাতালকে COVID হাসপাতাল করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল । স্বাস্থ্য দপ্তর তার প্রস্তুতিও শুরু করেছে । এরই মাঝে সোমবার অশোকনগর হাসপাতালকে COVID হাসপাতাল করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ । আজ তাঁরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান । পরে পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় । ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় । ঘটনাস্থানে আসেন অশোকনগর পৌরসভার প্রশাসক প্রবোধ সরকার ।
কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে কলকাতার পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা । প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । আগের থেকে এই জেলায় COVID টেস্টের সংখ্যাও বাড়ছে । বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যাও । ইতিমধ্যেই জেলার প্রতিটি মহকুমা হাসপাতাল ও স্টেট জেনেরাল হাসপাতালেও দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ । কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বারাসতের কদম্বগাছির COVID হাসপাতাল প্রথম থেকেই ছিল । পরে আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বারাসতের একটা নার্সিংহোমকে COVID হাসপাতালের ছাড়পত্র দেয় রাজ্য সরকার । ব্যারাকপুরে একটা COVID হাসপাতাল থাকলেও ব্যারাকপুর মহকুমা থেকে নৈহাটি স্টেট জেনেরাল হাসপাতাল ও খড়দহের বলরাম হাসপাতালকেও COVID হাসপাতাল করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ।
বারাসতের পর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত কোনও COVID হাসপাতাল নেই । তাই, অশোকনগর স্টেট জেনেরাল হাসপাতালকে COVID হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার । কিন্তু কিছু মানুষ তার বিরোধিতা শুরু করে । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অশোকনগর হাসপাতাল COVID হাসপাতাল হলে সাধারণ রোগের চিকিৎসা থেকে তারা বঞ্চিত হবে । পুলিশ অবশ্য প্রথমে COVID হাসপাতাল হওয়ার জরুরি দিকটা তুলে ধরে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে । কিন্তু বিক্ষোভকারীরা অনড় থাকায় পরে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় ।
অশোকনগর পৌরসভার প্রশাসক প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘অশোকনগরে COVID হাসপাতাল হওয়া জরুরি । সবাই মিলে যদি এগিয়ে না আসি, তাহলে কোরোনা আক্রান্তরা যাবে কোথায়? এতে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষেরই । কিন্তু স্রেফ রাজনীতির কারণেই কয়েকজন তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে । রাজনীতি করে যদি মানুষের ক্ষতি হয়, তাহলে সেই রাজনীতি কেন করব?’’