অশোকনগর, 13 জুলাই: লকডাউনের সময় থেকেই বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা শুরু করেছিল রাজ্য CPI(M) কর্মীরা ৷ সেই উদ্যোগই বর্তমানে গণ রন্ধনশালা বা কমিউনিটি কিচেনে পরিণত হয়েছে ৷ রবিবার উত্তর 24 পরগনার অশোকনগরে একটি গণ রন্ধনশালার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অভিনেতা ও বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বাদশা মৈত্র জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন ৷
খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘ জনপ্রতিনিধিরা ভোটে দাঁড়ানোর সময় হলফনামায় কত সম্পত্তি দেখিয়েছিলেন আর এখন তাঁদের সম্পত্তি কত, তার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক । তাহলেই বোঝা যাবে কোন জনপ্রতিনিধি মানুষের জন্য কী করেছেন । প্রয়োজনে একটা নিরপেক্ষ কমিটি তৈরি করা হোক । সেই কমিটির অধীনে এই শ্বেতপত্র প্রকাশের কাজ শুরু করা হোক ।’’
রাজ্য সরকারের সমোলোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘যদি সরকারের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হত, তাহলে খাবারের জন্য মানুষকে লাইন দিতে হত না ৷ দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে গর্ব করে বেড়ানো হয়, ওই চাল কি মুখে দেওয়া যায়? রাজ্যের মানুষের বেহাল দশা বলেই দু’টাকা কেজি দরে চাল দিতে হচ্ছে আপনাদের ৷’’
আমফান দুর্নীতি প্রসঙ্গে বাদশা মৈত্র বলেন, ‘‘চারদিকে এখন আমফানের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলছেন । এটা কখনই মানা যায় না । ডাকাতি করে টাকা ফেরত দিলে অপরাধ লঘু হয়ে যায় না । তাহলে এখন থেকে সব চোর ডাকাতরা পুলিশের হাতে ধরা পড়লেই বলবে, আমি টাকা ফেরত দিয়ে দেব, আমাকে ছেড়ে দিন ।’’
রাজ্য সরকারের পাশাপাশি BJP-কেও দুষে তিনি বলেন, "আপনারা অনেকেই ভাবছেন এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে ভুল করেছি, তারা অনেকেই ক্ষমতায় BJP-কে আনার কথা ভাবছেন ৷ যদি তাই ভাবেন, তাহলে এটাও ভাবুন কত শ্রমিক না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছেন , কতজন পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন কাজ হারিয়ে ৷ রাজ্যের যুবকরা যে কাজ না পেয়ে বাড়িতে বসে রয়েছে ৷ এই দল যদি রাজ্যের ক্ষমতায় আসে, তাহলে কী হাল হতে পারে, সেটাও ভাবুন ৷"
একই সুরে কথা বলেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষও ৷ তিনিও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন ৷ কোরোনা চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য সরকারের গাফিলতি নিয়েও অভিযোগ করেন তিনি ৷ পাশাপাশি কোরোনায় আক্রান্ত রঞ্জিত মল্লিকের স্বাস্থ্যের বিষয়ে তিনি জানান, আপাতত সকলেই সুস্থ রয়েছেন ৷ কোয়েল মল্লিকের ছেলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে ৷ বাচ্চাটিকে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে ৷