হাবড়া, 29 এপ্রিল : সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিকর মন্তব্য । গ্রেপ্তার করা হল হাবড়ার এক যুবতিকে । ধৃতের নাম পম্পা সাধুখাঁ। পম্পার দিদি চন্দনা সাহার খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
লকডাউনে বহু মানুষ ঘরবন্দী। অনেকেই রুটিরুজি হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দুস্থ মানুষজনের খাদ্য সংকটের সুরাহা করতে হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কল্পতরু প্রকল্প চালু করেছেন। কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । ইতিমধ্যে হাবড়া শহরের মানুষকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । গতকাল দুপুরেও তৃণমূল কর্মীরা কনিউনিটি কিচেনে রান্না করা খাবার সকলের বাড়িতে পৌঁছে দেয় । হাবড়া পৌরসভার কৈপুকুর বিধান সরণি এলাকার বাসিন্দা পম্পা সাধুখাঁও সেই খাবার নেন। এরপরই কমিউনিটি কিচেনের রান্না করা খাবারের গুনগত মান নিয়ে অভিযোগ তোলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। খাবারের ছবি তুলে, আপত্তিকর মন্তব্য লিখে সোশাল মিডিয়া পোস্ট করেন তিনি । পরে তাঁর দিদি চন্দনা সাহার সঙ্গেও শেয়ার করেন সেই ছবি । দিদি চন্দনা ওরফে মাম সাহাও খাবারের গুণগত মান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে হাবড়ার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সিতাংশু দাস গতরাতেই পম্পা ও তাঁর দিদি চন্দনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পম্পাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে পম্পার দিদির খোঁজে তল্লাশি চলছে। হাবড়া থানার IC গৌতম মিত্র বলেন, "দু'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর মধ্যে পম্পা সাধুখাঁ নামে এক যুবতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চন্দনা সাহা ওরফে মামের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ।"
এবিষয়ে হাবড়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলিমেশ দাস বলেন, "প্রায় হাজার কুড়ি মানুষ গত তিনদিন রান্না করা খাবার খেয়েছেন। বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উদ্যোগ নিয়ে 30 হাজার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। কারও কোনও সমস্যা হয়নি। শুধুমাত্র পম্পা সাধুখাঁর খাবারে না কি মশা পড়েছিল। আমরা খাবার পালটে দেওয়ার পরও নাকি সেই খাবারেও মশা ছিল। তিনি ও তাঁর দিদি মুখ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। উভয়ের শাস্তি চাই ।"
আজ পম্পাকে বারাসত আদালতে তোলা হলে, পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।