বারাসত,11 এপ্রিল : বারাসত পৌরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় সম্ভ্রান্ত পরিবারের বসবাস। ওই এলাকাটি যথেষ্ট জনবহুল। অভিযোগ, এখানেই বছরের পর বছর ধরে প্রকাশ্যে মদ, জুয়া ও সাট্টার ঠেক চালাচ্ছিলেন শম্ভু দাস নামের এক ব্যাক্তি। সেই ঠেকে দিন-রাত ভিড় বাড়ছিল বহিরাগত লোকজনের। ফলে এলাকার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছিল। বহুবার এ বিষয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। উলটে জুটেছে হুমকি আর শাসানি (Protest of Gamblling in Barasat) ।
অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এবং পুলিশ প্রশাসনের নজরেও বিষয়টি আনা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও সাট্টার কারবারের বাড়বাড়ন্ত এতটুকু কমেনি। এসবের মধ্যেই এদিন সকালে ওই কারবারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান স্থানীয় যুবক সুবীর শীল। যিনি এবারের পৌরভোটে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই ওয়ার্ড থেকেই।
এরপর, জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করতেই ওই সাট্টা কারবারি ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর ওপর। মারধরের পাশাপাশি তরোয়াল হাতে যুবককে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীর বিরুদ্ধে। তবে, স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে হামলাকারীকে বাধা না দিলে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারত বলেই মনে করেন বাসিন্দারা। এরপরই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুন : থানাগুলি পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে অভিযোগ শুভেন্দুর
এদিকে, ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই বিষয়ে আক্রান্ত যুবক ও বিজেপি কর্মী সুবীর শীল বলেন,"পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সবকিছুই জানে। তা সত্ত্বেও এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনের মদত ছাড়া পাড়ার ভিতরে জুয়ার ঠেকের বাড়বাড়ন্ত অসম্ভব। এত সাহসও হত না সাট্টা কারবারির। আমরা চাই জুয়ার ঠেক বন্ধ করা হোক। সমাজ সুন্দরভাবে গড়ে উঠুক"। অন্যদিকে, জুয়ার ঠেক চলার কথা স্বীকার করলেও এর পিছনে রাজনৈতিক মদতের অভিযোগ নসাৎ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তাপস দাশগুপ্ত ৷