ETV Bharat / state

লাকি ড্রয়ের নামে অনলাইনে প্রতারণা, গায়েব টাকা

লাকি ড্রয়ের নামে অনলাইনে প্রতারণার শিকার যুবক ৷ খোয়ালেন টাকা ৷

author img

By

Published : Oct 19, 2019, 10:39 AM IST

যুবক

বারাসত, 19 অক্টোবর : অনলাইনে প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রায় 67 হাজার টাকা খোয়ালেন দত্তপুকুরের এক যুবক ৷ এই মর্মে তিনি বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর 24 পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর ৷

বেসরকারি একটি হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় সৌরভ হালদার নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটি করেন ৷ বুধবার একটি অনলাইন ওয়ালেটের নামে তাঁর ফোনে একটি মেসেজ আসে ৷ বলা হয়, লাকি ড্র প্রতিযোগিতায় তিনি একটি গাড়ি জিতেছেন ৷ কিছুক্ষণ পর একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে ৷ ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, গাড়ি নিতে না চাইলে দাম বাবদ নগদ 12 লাখ 60 হাজার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে ৷ তবে সেজন্য সৌরভকে তিন হাজার 500 টাকা জমা দিতে হবে ৷ তাঁর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় ৷ প্রথমে অবশ্য রাজি হননি সৌরভ ৷ দোনামনা করছিলেন ৷ কিন্তু, পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ালেট থেকে তাঁর সাম্প্রতিক কিছু অর্ডার সঠিকভাবে বলায় সেইসব তথ্য দেন সৌরভ ৷ এরপরই মোবাইলে পাঠানো মেসেজ থেকে জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে 67 হাজার 600 টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷

প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরে সৌরভ দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ একটি জেনেরাল ডায়েরি করে তাঁকে বারাসত থানার সাইবার সেলে যেতে বলা হয় ৷ গতকাল বারাসত থানায় অভিযোগ জানাতে যান সৌরভ ও তাঁর স্ত্রী অনামিকা ৷ পরে সৌরভ বলেন, "আমি ওই অনলাইন ওয়ালেট সংস্থাটিতে ফোন করি ৷ ওরা বলে, অনলাইন ওয়ালেট সংস্থা থেকে কোনও মেসেজ আসেনি ৷ কিন্তু, আমার প্রশ্ন তাহলে কী ভাবে প্রতারকরা আমার কেনাকাটার তথ্য পেল ? একাধিকবার ফোন করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷" অনামিকার বক্তব্য, তিন মাসের কন্যাকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা ৷ তিনি বলেন, "আমাদের সব টাকা শেষ হয়ে গেছে ৷ আমরা দিন আনি, দিন খাই ৷ খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ৷ " বিষয়টি নিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে ৷ যদি এরকম হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

বারাসত, 19 অক্টোবর : অনলাইনে প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রায় 67 হাজার টাকা খোয়ালেন দত্তপুকুরের এক যুবক ৷ এই মর্মে তিনি বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর 24 পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর ৷

বেসরকারি একটি হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় সৌরভ হালদার নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটি করেন ৷ বুধবার একটি অনলাইন ওয়ালেটের নামে তাঁর ফোনে একটি মেসেজ আসে ৷ বলা হয়, লাকি ড্র প্রতিযোগিতায় তিনি একটি গাড়ি জিতেছেন ৷ কিছুক্ষণ পর একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে ৷ ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, গাড়ি নিতে না চাইলে দাম বাবদ নগদ 12 লাখ 60 হাজার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে ৷ তবে সেজন্য সৌরভকে তিন হাজার 500 টাকা জমা দিতে হবে ৷ তাঁর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় ৷ প্রথমে অবশ্য রাজি হননি সৌরভ ৷ দোনামনা করছিলেন ৷ কিন্তু, পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ালেট থেকে তাঁর সাম্প্রতিক কিছু অর্ডার সঠিকভাবে বলায় সেইসব তথ্য দেন সৌরভ ৷ এরপরই মোবাইলে পাঠানো মেসেজ থেকে জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে 67 হাজার 600 টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷

প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরে সৌরভ দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ একটি জেনেরাল ডায়েরি করে তাঁকে বারাসত থানার সাইবার সেলে যেতে বলা হয় ৷ গতকাল বারাসত থানায় অভিযোগ জানাতে যান সৌরভ ও তাঁর স্ত্রী অনামিকা ৷ পরে সৌরভ বলেন, "আমি ওই অনলাইন ওয়ালেট সংস্থাটিতে ফোন করি ৷ ওরা বলে, অনলাইন ওয়ালেট সংস্থা থেকে কোনও মেসেজ আসেনি ৷ কিন্তু, আমার প্রশ্ন তাহলে কী ভাবে প্রতারকরা আমার কেনাকাটার তথ্য পেল ? একাধিকবার ফোন করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷" অনামিকার বক্তব্য, তিন মাসের কন্যাকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা ৷ তিনি বলেন, "আমাদের সব টাকা শেষ হয়ে গেছে ৷ আমরা দিন আনি, দিন খাই ৷ খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ৷ " বিষয়টি নিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে ৷ যদি এরকম হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

Intro:পে টি এমের লাকি ড্রয়ের নামে প্রতারনার অভিযোগ! ব্যাংকের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে একাউন্ট থেকে গায়ের হয়ে গেল ৬৭ হাজার ৬০০ টাকা! প্রতারিত হয়ে দত্তপুকুরের যুবক সৌরভ হালদার ও তাঁর স্ত্রী অনামিকার মাথায় হাত! জীবনের শেষ সঞ্চয় টুকু হারিয়ে এখন সাড়ে তিন মাসের কোলের শিশুকে নিয়ে তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের দরজায় দরজায়!এই আশায়,যদি টাকা ফেরত পাওয়া যায়!Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-পে টি এমের লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে প্রতারনার অভিযোগ!ব্যাংকের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে একাউন্ট থেকে গায়ের হয়ে গেল ৬৭ হাজার ৬০০ টাকা!প্রতারিত হয়ে দত্তপুকুরের যুবক সৌরভ হালদার ও তাঁর স্ত্রী অনামিকার মাথায় হাত!সঞ্চয়ের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে এখন সাড়ে তিন মাসের কোলের শিশুকে নিয়ে তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের দরজায় দরজায়!টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় এক থানা থেকে অন্য থানায় হন্যে হয়ে ঘুরছেন ওই দম্পতি!জানা গেছে, বেসরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় সৌরভ পে টি এম ও অন লাইনের মাধ্যমে জিনিসপত্র কিনতে অভ্যস্ত!১৬ অক্টোবর, তাঁর মোবাইলে পে টি এমের তরফে একটি মেসেজ আসে!সেই মেসেজে বলা হয়,লাকি ড্রয়ে একটি টাটা সাফারি গাড়ি জিতেছেন তিনি!এরপর‌ই,ওই যুবকের মোবাইলে অপরিচিতের ফোন আসে!ফোনে তাকে বলা হয়,গাড়ি না নিলে টাকা বাবদ ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন!টাকা দেওয়ার জন্য ব্যাংক একাউন্ট সহ তথ্য চাওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে! প্রথমে রাজি না হলেও পরে,তার কথাবার্তায় সন্দেহ না হ‌ওয়ায় সেই সমস্ত তথ্য দিয়ে দেন ওই যুবক!এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর একাউন্ট থেকে ৬৭ হাজার ৬০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়!মোবাইলে বেশ কয়েকটি মেসেজ আসার পর বিষয়টি নজরে আসে সৌরভের! গতকাল, দত্তপুকুর থানায় গেলে সেখানে একটি জেনারেল ডায়রি করেই পুলিশ হাত গোটায় বলে অভিযোগ!বলা হয়,বারাসত থানার সাইবার সেলে গিয়ে অভিযোগ জানাতে! সেইমতো,আজ দুপুরে সাড়ে তিন মাসের কোলের শিশুকে নিয়ে ওই দম্পতি হাজির হয় বারাসত থানায়! সেখানে প্রতারনার অভিযোগ করা হয়!থানা থেকে বেরিয়ে সৌরভ বলেন,"স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে পে টি এম ও অন লাইনে কেনাকাটা করতে জনগনকে উৎসাহ দিচ্ছেন, সেখানে পে টি এমের মতো সংস্থায় প্রতারনা হবে, ভাবতেই পারছিনা! আমাকে মেসেজ পাঠানোর পর অপরিচিত একজন ফোন‌ও করে!বলে,আপনি ৩ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিলেই লাকি ড্রয়ের গাড়ি পেয়ে যাবেন!তখন‌ও আমি তার কথায় গুরুত্ব দিইনি! কিন্তু,যখন আমাকে বলল,আপনি পে টি এমে কি কি জিনিস অর্ডার দিয়েছেন,তা হুবহু বলায় বিশ্বাস করলাম!ভাবলাম,পে টি এম থেকেই সত্যি হয়তো ফোন করেছে!তিন দফায় মোট ৬৭ হাজার ৬০০ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে"! তাঁর অভিযোগ,"পে টি এম কর্তৃপক্ষের থেকেই আমার যাবতীয় তথ্য পেয়েছে ওই অপরিচিত"!তা না হলে কিভাবে আমার তথ্য সে পাবে, প্রশ্ন সৌরভের!তাঁর আরও অভিযোগ,"প্রতারিত হ‌ওয়ার পর পে টি এম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এর কোনও দায় নিতে চায়নি! কোনও কিছু সহযোগিতাও করেনি"! সৌরভের স্ত্রী অনামিকা হালদার বলেন,"আমরা দিন আনি,দিন খাই!সব টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে"!বিপদে পড়েছি বলেই তো সাড়ে তিন মাসের কোলের শিশুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি!একথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে! তাঁর কথায়,"টাকা গায়েব হ‌ওয়ায় খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের!পে টি এমের কাছ থেকেই যদি আমরা ধোঁকা খায়, তাহলে বাঁচব কিভাবে!অন্যদিকে, এবিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে!যদি এরকম হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"!Conclusion:অন্যদিকে, এবিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে!যদি এরকম হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"!
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.