বারাসত, 4 ফেব্রুয়ারি: কোরোনা আবহে ভোটকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক, ফেসশিল্ড-সহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই এই সমস্ত সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে৷
তথ্য বলছে, এবারের ভোটে জেলায় প্রায় 55 হাজার ভোটকর্মী প্রয়োজন। এঁদের সুরক্ষিত রাখতে 75 লাখেরও বেশি মাস্ক, 60 হাজার ফেসশিল্ড-সহ নানা সামগ্রী কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এছাড়া, কোরোনার সংক্রমণ থেকে ভোটারদের রক্ষা করতেও যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে উত্তর 24 পরগনা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা 79 লাখ 75 হাজার 444 জন। এঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা 40 লাখ 40 হাজার 707, মহিলা ভোটারের সংখ্যা 39 লাখ 34 হাজার 537 এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা 200। গতবছর জেলায় যেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল 8 হাজার 447। সেখানে কোরোনা পরিস্থিতিতে ভোট হওয়ায় এবার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে চলেছে প্রায় 2 হাজার 517। ফলে,ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে 10 হাজার 994।
এছাড়া, ‘রিজার্ভ’ মিলিয়ে এবারের ভোটে প্রায় 55 হাজার ভোটকর্মীর প্রয়োজন। যার সিংহভাগই স্কুলশিক্ষক। এই বিপুল সংখ্যক ভোটকর্মীকে সুরক্ষিত রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে। না হলে ভোটপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে অনুমান প্রশাসনের একাংশের। তাছাড়া,কোরোনা সংক্রমণ রোধে যথাযথ পদক্ষেপ না করা হলে ভোটের সময় ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে প্রশাসনের৷ তাই ব্যবস্থাপনায় কোনওরকম ঘাটতি রাখতে চাইছেন না জেলা প্রশাসন।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কোরোনা সংক্রমণের নিরিখে যেহেতু কলকাতার পরই স্থান উত্তর 24 পরগনার, সেহেতু সংক্রমণের মাত্রা কমলেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কোন সামগ্রী কত পরিমাণে দরকার, তার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তাতে 75 লাখ 83 হাজার 222টি মাস্ক ও 8 হাজার 477টি ফেসশিল্ড কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, 17 লাখ 6 হাজার 354টি সাবানের পাশাপাশি সম-পরিমাণ গ্লাভস কেনা হবে। কেনা হবে 9 হাজার পিপিই কিট,15 হাজার বায়ো-মেডিকেল ডিসপোজেবেল ব্যাগ।
আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে প্রার্থীদের খরচ বৃদ্ধির অনুমতি নির্বাচন কমিশনের
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোরোনা আবহে ভোট হওয়ার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই ভোটের প্রস্তুতি চলছে। সেইসঙ্গে ভোটার ও ভোটকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’