হাড়োয়া, 25 জুলাই : হাড়োয়ার যুবতিকে গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগের 48 ঘণ্টা পরেও অধরা চার অভিযুক্ত । আতঙ্কে বাড়িছাড়া ওই যুবতিই । প্রতিবেশীদের বাড়িতে তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকছেন । নতুন করে গোলমালের আশঙ্কায় রয়েছে চাপা আতঙ্ক ।
এলাকায় পুলিশের টহলদারি থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে । প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে । যদিও পুলিশের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এলাকা শান্তই আছে । বুধবার রাতে ঘটনার পর থেকে নতুন করে কোনও গোলমাল হয়নি । নির্যাতিতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষায় গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি । তাই, গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়েই নানা প্রশ্ন আছে ।
গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্তরা বুকফুলিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । গ্রামবাসীদের হুমকি দিচ্ছে । ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন শাসকদলের নেতারা । অনেকেই সরকারি ন্যায্য ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ।
সকালে রাস্তার ধার থেকে হাত-পা বাঁধা ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই যুবতিকে উদ্ধার করা হয় ৷ বুধবার সন্ধেয়র পরে গ্রামে তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় । অভিযোগ, তারপরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে এলাকায় বোমাবাজি করে । কয়েক জনকে মারধরও করে । আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেন পুরুষরা । তারপরই স্বামীকে খুঁজতে বের হন ওই যুবতি । আর তারপরই তিনি দুষ্কৃতীদের নির্যাতনের শিকার হন ।
উল্লেখ্য, 23 জুলাই সকালে এলাকার একটি মাছের ভেড়ির আলাঘরের পাশে রাস্তার ধারে 27 বছর বয়সি ওই যুবতিকে হাত-পা বাঁধা ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার কয়েকজন । খবর দেওয়া হয় হাড়োয়া থানায় ৷ পুলিশ এসে ওই যুবতিকে উদ্ধার করে হাড়োয়া হাসপাতালে ভরতি করে ৷