রায়গঞ্জ, 7 অক্টোবর : মাদক খাইয়ে সর্বস্ব লুট । অচৈতন্য অবস্থায় মহিলাকে বাসে করেই হাসপাতালে নিয়ে গেলেন সরকারি বাসের চালক ও কন্ডাক্টর । উত্তর দিনাজপুরের কানকি এলাকার 31 নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা । সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিন ঘণ্টা ধরে পাশে থাকলেন বাসের অন্য সহযাত্রীরাও ।
ফরাক্কাগামী একটি বাসে জলপাইগুড়ির রানিনগর থেকে এক BSF কর্মী তাঁর শ্বাশুড়িকে তুলে দেন । মালদহের মানিকচকে নামার কথা ছিল ওই মহিলার । বাসে এক ব্যক্তির পাশে বসেছিলেন তিনি । কিশানগঞ্জের কাছে 31 নম্বর জাতীয় সড়কে বাসটি জ্যামের মধ্যে পড়ে । সে সময় বাসের অন্য যাত্রীরা লক্ষ্য করেন, ওই মহিলা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন । সহযাত্রীরা এবং বাসের কন্ডাক্টর স্নেহাশিস রুদ্র ও চালক বিজয় সোরেন সে সময় ওই মহিলার চোখে-মুখে জল ছিটে দেন । তাঁকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন । কিন্তু জ্ঞান না ফেরায় তাঁকে চাকুলিয়া হাসপাতালে যান তাঁরা । সেখানে ওই মহিলাকে ভরতি করেন । পাশাপাশি BSF সূত্র ধরে ওই মহিলার বাড়িতে তাঁর অসুস্থতার খবর পৌঁছে দেন । শুধু তাই নয়, ওই মহিলা সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্ত বাস চালক, কন্ডাক্টর এবং যাত্রীরা চাকুলিয়া হাসপাতালে তিনঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেন ।
ওই মহিলা সুস্থ হওয়ার পর জানান, তাঁর পাশের আসনে বসা ব্যক্তি তাঁকে খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে অচৈতন্য করে দিয়েছিল । তাঁর সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালিয়েছে সে । হাতের সোনার বালা, কানের দুল ও ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে । পরে বাড়ির লোক এলে ওই মহিলাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের জলপাইগুড়ি ডিপোর বাস চালক বিজয় সোরেন ও কন্ডাক্টর স্নেহাশিস রুদ্রের এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাসের অন্য যাত্রীরা ।