ETV Bharat / state

Jhalda Murder Eyewitness Death : তপন কান্দু খুনে প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, সুইসাইড নোটে মানসিক অবসাদের কথা - Niranjan Baishnab Suicide note

আজ সাতসকালে ঘরের মধ্যে থেকে মিলল তপন কান্দুর সঙ্গীর মৃতদেহ (Tapan kandu Murder Eyewitness Death) ৷ তিনি চোখের সামনে তপন কান্দুকে হত্যা করার দৃশ্যটি দেখেছিলেন ৷ পাওয়া গিয়েছে সুইসাইড নোট ৷

Niranjan Baishnab death in Purulia
তপন কান্দুর সঙ্গী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যু
author img

By

Published : Apr 6, 2022, 8:35 AM IST

Updated : Apr 6, 2022, 9:46 AM IST

ঝালদা, 6 এপ্রিল : অস্বাভাবিক মৃত্যু তপন কান্দুর সঙ্গী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর ৷ বুধবার সকালে ঝালদা শহরে তপন কান্দুর সঙ্গী নিরঞ্জন ওরফে সেফাল বৈষ্ণবের দেহ উদ্ধার (Jhalda Murder Eyewitness Death) হল । সকালে ছাত্ররা পড়তে এসে কড়া নেড়ে ডাক পায়নি সেফাল বৈষ্ণবের ৷ এরপর পড়শি, আত্মীয়রা এসে দরজার ফাঁক দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ৷

কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুনের দিন তিনি কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গেই ছিলেন । তাঁর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হলেও একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ সেখানে তাঁর নামে স্বাক্ষর করা রয়েছে ৷ মৃত্যুর আগে সেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণব তাঁর মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন ৷ নোটে তিনি লিখেছেন, "যেদিন থেকে তপনের মৃত্যু হয়, সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি ৷ যে দৃশ্যটি দেখেছি তা মাথা থেকে কোনো রকম বার হচ্ছে না ৷ ফলে রাত্রে ঘুম হচ্ছে না, খেতে মন যাচ্ছে না ৷ শুধু ঐ ঘটনাটাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে ৷"

Niranjan Baishnab Suicide Note
নিরঞ্জন ওরফে সেফাল বৈষ্ণবের সুইসাইড নোট

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder Case : আদালতের নির্দেশের 30 ঘণ্টা পার, ঝালদায় দেখা নেই সিবিআইয়ের

এমনকি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় পুলিশ তাঁকে বারে বারে ডেকে পাঠাচ্ছিল, সে কথাও তিনি লিখেছেন সুইসাইড নোটে ৷ এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ তিনি লিখেছেন, "তারপর পুলিশের বার বার ডাক ৷ আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি ৷ এইসব আমি সহ্য করতে না পারার জন্য আমি এই পথ বেছে নিলাম ৷" অন্য কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনো অভিযোগের কথা জানাননি তিনি ৷

পুরুলিয়ার ঝালদা শহরে বন্ধ ঘর থেকে মিলল তপন কান্দু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী সেফাল বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৌরসভা নির্বাচনে ঝালদা পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু ৷ সেখান থেকে জয়ী হন তপন কান্দু । এরপর 13 মার্চ ঝালদা শহর লাগোয়া গোকুলনগর গ্রামের অদূরে আততায়ীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর । এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি । তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের 6 সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট । এখনও পর্যন্ত 4 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তার মধ্যে রয়েছেন তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও তাঁর ছেলে দীপক কান্দু ৷ পারিবারিক চক্রান্তে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder Case : ঝালদা কাণ্ডে অডিয়ো ভাইরাল, এবার অস্বস্তিতে প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মী অমল কান্দু

ঝালদা, 6 এপ্রিল : অস্বাভাবিক মৃত্যু তপন কান্দুর সঙ্গী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর ৷ বুধবার সকালে ঝালদা শহরে তপন কান্দুর সঙ্গী নিরঞ্জন ওরফে সেফাল বৈষ্ণবের দেহ উদ্ধার (Jhalda Murder Eyewitness Death) হল । সকালে ছাত্ররা পড়তে এসে কড়া নেড়ে ডাক পায়নি সেফাল বৈষ্ণবের ৷ এরপর পড়শি, আত্মীয়রা এসে দরজার ফাঁক দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ৷

কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুনের দিন তিনি কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গেই ছিলেন । তাঁর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হলেও একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ সেখানে তাঁর নামে স্বাক্ষর করা রয়েছে ৷ মৃত্যুর আগে সেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণব তাঁর মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন ৷ নোটে তিনি লিখেছেন, "যেদিন থেকে তপনের মৃত্যু হয়, সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি ৷ যে দৃশ্যটি দেখেছি তা মাথা থেকে কোনো রকম বার হচ্ছে না ৷ ফলে রাত্রে ঘুম হচ্ছে না, খেতে মন যাচ্ছে না ৷ শুধু ঐ ঘটনাটাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে ৷"

Niranjan Baishnab Suicide Note
নিরঞ্জন ওরফে সেফাল বৈষ্ণবের সুইসাইড নোট

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder Case : আদালতের নির্দেশের 30 ঘণ্টা পার, ঝালদায় দেখা নেই সিবিআইয়ের

এমনকি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় পুলিশ তাঁকে বারে বারে ডেকে পাঠাচ্ছিল, সে কথাও তিনি লিখেছেন সুইসাইড নোটে ৷ এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ তিনি লিখেছেন, "তারপর পুলিশের বার বার ডাক ৷ আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি ৷ এইসব আমি সহ্য করতে না পারার জন্য আমি এই পথ বেছে নিলাম ৷" অন্য কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনো অভিযোগের কথা জানাননি তিনি ৷

পুরুলিয়ার ঝালদা শহরে বন্ধ ঘর থেকে মিলল তপন কান্দু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী সেফাল বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৌরসভা নির্বাচনে ঝালদা পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু ৷ সেখান থেকে জয়ী হন তপন কান্দু । এরপর 13 মার্চ ঝালদা শহর লাগোয়া গোকুলনগর গ্রামের অদূরে আততায়ীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর । এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি । তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের 6 সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট । এখনও পর্যন্ত 4 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তার মধ্যে রয়েছেন তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও তাঁর ছেলে দীপক কান্দু ৷ পারিবারিক চক্রান্তে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder Case : ঝালদা কাণ্ডে অডিয়ো ভাইরাল, এবার অস্বস্তিতে প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মী অমল কান্দু

Last Updated : Apr 6, 2022, 9:46 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.