পুরুলিয়া, 7 সেপ্টেম্বর: ঋতু বদলের মরশুমে ভয় দেখাচ্ছে ডেঙ্গি ৷ এখনও নির্মূল হয়নি করোনা ৷ তারই মধ্যেই এবার শুরু হল আন্ত্রিকের প্রকোপ ৷ ঘটনাস্থল পুরুলিয়া (Purulia) জেলার বরাবাজার (Barabazar) ব্লক ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকেরই কুটুরকুমা গ্রামে শুরু হয়েছে আন্ত্রিকের প্রকোপ (Diarrhea) ৷ যার জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামের 18 থেকে 19 জন অসুস্থ রয়েছেন ৷ অসমর্থিত সূত্রের দাবি, আন্ত্রিকের কবলে পড়ে এলাকার এক বাসিন্দার মৃত্যুও হয়েছে ৷ যদিও সরকারিভাবে এই ঘটনার সত্যতা কেউ স্বীকার করেননি ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, আন্ত্রিকে আক্রান্তদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে কেউ জামশেদপুরের হাসপাতাল, কেউ পুরুলিয়া সদরের হাসপাতাল আবার কেউ বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ তবে, ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের অনেকে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ৷ সেইসঙ্গে, নতুন করেও অনেকের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি আক্রান্ত বাগনান সাব ইন্সপেক্টর, ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক
বরাবাজারের বিএমওএইচ ডা. রবীন সোরেন এই প্রসঙ্গে বলেন, "গত সাতদিনে পাঁচ থেকে ছ'জন অসুস্থ হয়েছেন ৷ বুধবারই ওই এলাকা থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে ৷ কুটুরকুমা গ্রামে একাধিক নলকূপ রয়েছে ৷ বাসিন্দারা মূলত ওই নলকূপের জলই পান করেন ৷ তবে, পুকুরের জল থেকে কোনওভাবে আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে ৷ তাই, নলকূপের পাশাপাশি পুকুর ও জলাশয়ের জলের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে ৷ কিন্তু, আন্ত্রিকের কারণে ওই এলাকায় কারও মৃত্যু হয়নি ৷ আন্ত্রিকে যাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁর আদতে রক্তাল্পতা সংক্রান্ত সমস্যা ছিল ৷"
উলটো সুর শোনা গিয়েছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সচিবের গলায় ৷ সুশীল মাহাত নামে ওই ব্যক্তি জানান, "আমি গত 5 সেপ্টেম্বর পুরুলিয়ার জেলাশাসককে চিঠি লিখে সমস্ত ঘটনার জানানোর পরও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে কালীপদ হাঁসদা (59) নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার মৃত্যু হয় ৷ এরপর বিকেলে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা ওই গ্রামে যান ৷ স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগীদের পুরুলিয়া, জামশেদপুরে 'রেফার' করা হচ্ছে, অথচ জেলা প্রশাসন কিছুই জানে না, এমন তো নয় ৷ আসলে প্রশাসন বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে ৷"