পুরুলিয়া, 21 নভেম্বর: পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার আদিবাসী রাধানগর গ্রামে বাচ্চারা পড়াশুনা করে গাছের তলায় কখনও বা হরি মন্দিরে । আর দুপুরের খাবার খায় গাছের তলায় । কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেল বিদ্যালয়টির ছাদটির দশা শোচনীয় হয়ে পড়েছিল, তাই ব্লক প্রশাসনের তরফে বিদ্যালয়টির ছাদকে ভেঙে ফেলা হয় সংস্কারের জন্য । এর জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফে তিন লাখের কিছু বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয় । কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি ছাদের ওপর শুধু টিন চাপিয়ে দিলে চলবে না পুরো বিদ্যালয় টির সংস্কার করতে হবে সঠিকভাবে । তাই অর্থ বরাদ্দ হয়েও বিদ্যালয়ের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা । তাই এখন বাধ্য হয়ে ক্লাস চলছে পাশের হরি মন্দিরে (Purulia School)।
এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাই চন্দ্র মাঝি বলেন, "আমি এই বিদ্যালয় জয়েন করি 2017 সালে তখন থেকেই বিদ্যালয়টির অবস্থা বেহাল ছিল তারপর এই বছরের মার্চ মাসে সেটি সংস্কারের জন্য ভাঙা হয় ৷ কিন্তু টানাপোড়েনের জন্য কাজ এখন বন্ধ আছে ।" খোঁজ নিয়ে জানা গেল ওই বিদ্যালয়ের দু'জন শিক্ষক রয়েছেন । পড়ুয়ার সংখ্যা 41 ।
বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভঙ্কর দে বলেন, "বিদ্যালয়টির সংস্কারের জন্য যখন ভাঙা হয় তখন দেয়ালে একাধিক ফাটল দেখা যায় ৷ আমরা চেয়েছিলাম ছাদে টিনের শেড দিতে কিন্তু গ্রামবাসীরা কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না । কিন্তু ওই অশক্ত দেওয়ালে ছাদ ঢালাই সম্ভব নয় । গ্রামবাসীদের মধ্যে সোমনাথ মাঝি, ধীরেন টুডু , ভজেন্দ্র মাঝি বলেন, আমাদের এই একটি মাত্র স্কুল এখানে শুধু মাত্র টিনের ছাউনি দিলেই হবে না । সমগ্র বিদ্যালয় ভবনটি ভালো করে নির্মাণ করতে হবে ।
আরও পড়ুন: ফের চাঙড় খসে পড়ল পুরুলিয়ার স্কুলে, আতঙ্কিত শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা
আড়ষা ব্লকের বিডিও শঙ্খ ঘটক বলেন, "আমরা গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে এই অর্থে সমগ্র বিদ্যালয়টির পুননির্মাণ সম্ভব নয়, কিন্তু তারা বুঝতে চাইছেন ৷ তবু আমরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছি আশা করছি শীগ্রই সমস্যা মিটে যাবে ।" যাইহোক অতশত বোঝে না, কচিকাঁচারা । তারা ফের কবে বিদ্যালয়ে ফিরবে এই আশায় এখন উন্মুখ হয়ে রয়েছে ।