রিয়াকে ফাঁসানো হচ্ছে, বলছে চক্রবর্তীদের দানে গড়ে ওঠা পুরুলিয়ার তুন্তুড়ি গ্রাম

এককালে চক্রবর্তী পরিবারের রীতিমতো প্রভাব ছিল বাঘমুণ্ডিতে ৷ গ্রাম উন্নয়নে রিয়ার দাদু শিরিষ চক্রবর্তীর দান করেন জমি ৷ সেই জমিতেই গড়ে ওঠে গ্রামের স্কুল, হাসপাতাল, মন্দির ৷

পুরুলিয়া, 10 সেপ্টেম্বর: পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানার তুন্তুড়ি গ্রামের উচ্চশিক্ষিত পরিবার ওঁরা ৷ 12 টি মৌজার জমিদার পরিবারের মেয়ে রিয়া চক্রবর্তী ৷ তাঁর মাদক চক্রে গ্রেপ্তারের ঘটনায় হতবাক গ্রামের বাসিন্দারা ৷ তুন্তুড়ির রিয়াদের আদি বাড়িতেই থাকেন চক্রবর্তী পরিবারের অন্য সদস্যরা ৷ তাঁরা তো বটেই, মানুষেরও বক্তব্য, ফাঁসানো হয়েছে রিয়াকে ৷ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি তুলছেন তাঁরা ৷

এককালে চক্রবর্তী পরিবারের রীতিমতো প্রভাব ছিল বাঘমুণ্ডিতে ৷ গ্রাম উন্নয়নে রিয়ার দাদু শিরিষ চক্রবর্তীর দান করেন জমি ৷ সেখানেই গড়ে ওঠে গ্রামের স্কুল, হাসপাতাল, মন্দির ৷ চক্রবর্তীদের 332 বছরের পুরোনো দুর্গা পুজো হয় আজও ৷ এই পুজোতেই একত্রিত হত পরিবার ৷ আসতেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, পেশায় সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ৷ রিয়ার জন্ম যদিও বেঙ্গালুরুতে তবু 24 বছর আগে ছোট্টো রিয়াও একবার এসেছিলেন গ্রামে ৷ মনে করতে পারেন রিয়ার জ্যাঠতুতো ভাই শৈবাল চক্রবর্তী ৷

তিনি বলেন, "আমাদের উচ্চ শিক্ষিত জমিদার পরিবার ৷ তবে ইন্দ্রজিৎ কাকু কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকতেন ৷ দুর্গাপুজোর সময় বাড়ি আসতেন ৷ রিয়া বলিউডের তারকা হওয়ায় আমরা গর্বিত ৷ সেই মেয়ে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত, এটা মেনে নেওয়া যায় না ৷ ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক ৷"

গ্রামের মানুষও রিয়ার পাশে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, "রিয়ার পরিবার গ্রামে বহু উন্নয়নের কাজ করেছে ৷ তাঁদের পরিবারের দান করা জমিতেই গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মন্দির ৷ রিয়া চক্রবর্তীর মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনা মানতে পারছি না ৷"

গোটা দেশ যাই ভাবুক, রিয়ার পাশে আছে তাঁর পরিবার ও গ্রাম৷