পুরুলিয়া, 20 অগস্ট: বন্দুক উঁচিয়ে তৃণমূল জেলা পরিষদ সভাধিপতির হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ায় । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জন সমাবেশের মাঝে অত্যাধুনিক বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। গতকাল রাতে মনসা পুজোর বিসর্জনের সময় পুঞ্চা থানার লাখড়া গ্রামে সভাধিপতির বাড়ি ফেরার সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে ডিজে-বাজনার তালে উদ্দাম নাচ চলছিল। ভিড়ের মাঝে আটকে পড়ে সভাধিপতির গাড়ি । সেখানেই সভাধিপতি নিজের নিরাপত্তারক্ষীর অত্যাধুনিক বন্দুক হাতে নিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরই গতকাল থেকে ভাইরাল হতে থাকে ওই ভিডিওটি ।
এই বিষয়ে জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি সাফ বলেন, "এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হবে না। যা লেখার ইচ্ছে লিখে দিন।" তিনি আরও বলেন, "গুলি করতে গিয়েছিলাম তাও লিখে দিতে পারেন।"এই বিষয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, "সরকার তাদের, তাই যা ইচ্ছে তাই করছে। এটা আইনত অপরাধ। যেখানে গণতন্ত্র নেই, সেখানে পাওয়ারকে কাজে লাগিয়ে যা ইচ্ছে করছে। তৃণমূলের নেতারা গুন্ডায় পরিণত হয়েছেন। এই গুন্ডামি করে ওরা ভোটে জিতেছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।"
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় নেই তৃণমূলের স্থায়ী কার্যালয়, তালাবন্ধ ভাড়ার অফিস
তৃণমূল জেলা সভাধিপতির বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো । তিনি বলেন, "এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল । মানুষকে হুমকি দেওয়াটা কাম্য নয়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে ভালবেসে কাছে টেনে নেওয়ার কথা বলছেন। মানুষকে হুমকি দেওয়া তৃণমূলের পরিচয় নয়। নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক হাতে নেওয়া অপরাধ। তাই পুলিশ প্রশাসনকে তদন্ত করার জন্য বলব। এবং উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে দলগতভাবে বিষয়টি দেখব।’’ এর আগে 27 মার্চ প্রথম দফা নির্বাচনে পুরুলিয়া শহরের মুনসেফডাঙ্গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বিজেপির এসসি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি দীপক বাউরিকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারার হুমকি দেন সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ।