পুরুলিয়া, 9 জুন : কোরোনা আবহের মধ্যেই বাস পরিষেবা চালু হল পুরুলিয়ায় । যাত্রীর সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র । জেলায় কোরোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জাঁকিয়ে বসেছে কোরোনা আতঙ্ক । বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না । বাসে যাতায়াত করছেন প্রয়োজনীয় কারণেই । নইলে বাইক নয়তো কোনও ছোটো গাড়িতেই কাজ সারছেন বাসিন্দারা । গ্রামেগঞ্জে যাত্রীদের সংখ্যা খুবই কম । তাই রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যাও কম । খুব সম্প্রতি সরকারি বাস পরিষেবা পুরুলিয়ায় চালু হয়েছে । সব রুটেই বাস চলাচল শুরু হলেও সংখ্যাটা নিতান্তই কম । এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তার আশায় দিন গুনছে বাস মালিক থেকে শুরু করে বাস চালক-কন্ডাক্টর । এদিকে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো কম যাত্রী নিয়েই সরকারি বাস চালাতে হবে ।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কর্মী অচিন্ত্য ভট্টাচার্য বলেন, "সবকটি রুটেই বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে । কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা অত্যন্ত কম । কোরোনা আবহে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বাসে যাতায়াত করছেন না । তাই পরিস্থিতি খুব খারাপ ।" অন্যদিকে বেসরকারি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য রঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "সবকটি রুটেই বেসরকারি বাস চালু হলেও, যাত্রীর বেশিরভাগ বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি যাত্রীর অভাবে । দীর্ঘ লকডাউনে তো বেসরকারি বাস পরিষেবা একেবারেই বন্ধ ছিল । ফলে সেই সময়টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে সকল বাস মালিকেরা । লকডাউনে খুললেই যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক নেই । যে বাসগুলি চলাচল করছে 10-12 যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে । এরফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন বাস মালিকরা । তার উপর রয়েছে কর্মীদের বেতন, ডিজেলের খরচ, বাস রক্ষণাবেক্ষণের খরচা তো আছেই । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সমস্ত বাস রাস্তায় নামবে ।
ইতিমধ্যে পুরুলিয়ায় 74 জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । দিনের পর দিন কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে পুরুলিয়ায় । জেলার মানুষও বর্তমানে অনেকটাই সচেতন । কেবল বিশেষ প্রয়োজনে রাস্তায় বেরোলেই মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দৈনন্দিন কাজকর্ম সারছেন জেলাবাসী । ফলে বেসরকারি বা সরকারি বাসে যাতায়াতের চেয়ে ছোটো গাড়ি বা মোটর সাইকেলকেই বেশি ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ ।