পুরুলিয়া, ৭মার্চ: চোলাই মদ কারবারের অভিযোগে আবগারি দফতর গ্রেফতার করার পরে, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন এক আদিবাসী যুবক শিকারী মুড়ার পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ করে পরিবার । সেই অভিযোগকে ঘিরে কার্যত ক্ষোভে ফুটছেন ওই এলাকার আদিবাসীরা । আর সেই ক্ষোভে যেন ঘি পড়ল গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করায়।
পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডির রবিডি গ্রামের আদিবাসী যুবক শিকারী মুড়ার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। রবিবার ওই গ্রামে মৃত শিকারীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছবিতে মাল্যদান করে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও করেন বলে জানা গিয়েছে। শিকারীর বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা জানান, শিকারীর পরিবারের অভিযোগ, আবগারি দফতর শিকারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে। ঘটনাটি সত্যিই খুবই দুঃখজনক (Police custody Death In Purulia)।
শিকারীর মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের শাস্তি, নূন্যতম পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনের স্থায়ী চাকরির দাবী তোলেন তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা রাঢ়বঙ্গ জোনের কনভেনর বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা, জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি গৌতম রায় প্রমুখ। যদিও ইতিপূর্বেই ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ যুবকের দেহ মিলল কুয়োয়
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসের ১৬ই ফেব্রুয়ারী বাঘমুন্ডির রবিডি গ্রাম থেকে চোলাই মদ কারবারের অভিযোগে বছর পঁচিশের শিকারী মুড়া নামে এক আদিবাসী যুবককে গ্রেফতার করে আবগারি দফতর। তারপর গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী শারীরিক অসুস্থতার কারণে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন গত ২০ ফেব্রুয়ারী মৃত্যু হয় শিকারীর। তারপরেই পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে শিকারীকে। এই একই দাবি সোশ্যাল মিডিয়াতে তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে এই অভিযোগকে উড়িয়ে দেয় প্রশাসন।