ঝালদা, 16 মার্চ : পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় 1 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Jhalda Councillor Murder Case) ৷ ধৃতের নাম দীপক কান্দু ৷ সে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো ৷ গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
রবিবার বিকেলে ঝালদার বাঘমুন্ডি রোডে পায়চারি করার সময় দুষ্কৃতীরা মোটরসাইকেলে করে এসে খুব কাছ থেকে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তারপর, তপন কান্দুকে রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হলে তিনি সেখানেই মারা যান। তপন কান্দু সদ্য সমাপ্ত পৌরভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী কাউন্সিলর৷ যেহেতু ঝালদা পৌরবোর্ড গড়া নিয়ে একটা জটিলতা ছিলই তাই এই খুনকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির রং লেগেছে। আর যা নিয়ে এখন ক্ষোভে ফুঁসছে পুরুলিয়া জেলাবাসী।
সদ্য পৌরসভা নির্বাচনে ঝালদা পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু এবং তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দু একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সম্পর্কে তাঁরা কাকা-ভাইপো ৷ তবে লড়াইয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু । তবে পৌরবোর্ড গঠিত হওয়ার আগেই রবিবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন কংগ্রেস কাউন্সিলর । রাজনৈতিক কারণেই এই খুন তা অনুমান করেই নিহতের দাদা নরেন কান্দু ও ভাইপোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় ঝালদা থানার পুলিশ ৷ জেরায় দীপক কান্দুর বয়ানে সন্দেহ হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷
আরও পড়ুন: কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে 6 সদস্যের সিট গঠন, ধৃত ভাইপোকে তোলা হল কোর্টে
ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের ঘটনায় ষড়যন্ত্র ও অস্ত্র ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ । খুনের ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । যদিও মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ ছিল বহুদিন ধরে । তার জেরেই এই খুন কি না তা জানতে তদন্তে নেমেছে ঝালদা থানার পুলিশ ৷ পুরুলিয়ার ঝালদাকাণ্ডে ধৃত দীপক কান্দুর 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের আদেশ দিলেন পুরুলিয়ার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। আজ দুপুর 2টো নাগাদ কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয় ।