পুরুলিয়া, 16 মে: লকডাউনের মধ্যে জেলার আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে মাস্ক তৈরির প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় । কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (DST) অধীনে সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনোভেশন হাব গঠন করা রয়েছে । মোট 20টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামকে টার্গেট করে গত এক বছর ধরে এই হাব থেকে তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ।
সেই লক্ষ্যে আদিবাসীদের স্বনির্ভর করে তুলতে একটি অন্যতম উদ্যোগ হল মাস্ক তৈরির প্রশিক্ষণ । পুরুলিয়া জেলার হুড়া ব্লকের লধুড়কা গ্রাম পঞ্চায়ত এলাকায় এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয় । শিবিরে যোগদান করেন বহু আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষ । মাস্ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে খাদ্যসামগ্রীও বিলি করা হয় । কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (DST) অধীনে থাকা পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য আগেও বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । যার মধ্যে আদিবাসীদের দিয়ে ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ চাষ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে l এমনকী 'বনৌষধি ভিলেজ' তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন তাঁরা । এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের যোগব্যায়ামও শেখানো হচ্ছে জেলার প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামগুলিতে ।
সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনোভেশন হাবের প্রশিক্ষকরা জানান, "বর্তমানে দেশজুড়ে জারি হওয়া দীর্ঘ লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন । রুজি-রোজগার বন্ধ । এই মুহূর্তে মানুষের সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারের । ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বোটানি ও রসায়ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের ও শিক্ষকদের হাতে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার তৈরি করে কম পয়সায় বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে । এছাড়াও জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে সেই স্যানিটাইজ়ার বিলিও করা হচ্ছে । আর এবার নতুন উদ্যোগ হল মাস্ক তৈরি করা । তাই আদিবাসীদের মাস্ক তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে শিবিরের আয়োজন করা হল । সামাজিক দূরত্ব মেনে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । লকডাউনের মধ্যে নিজেরা মাস্ক তৈরি করে কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হতে পারবেন আদিবাসী মহিলারা । এছাড়াও এদিন দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রীও বিলি করা হয় ।